Dhaka ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“ফেনী সদর হাসপাতালে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে”

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:১৬:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০২২
  • ৩৬১ Time View
“ফেনী সদর হাসপাতালে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে”
আবুল হাসনাত রিন্টু, ফেনী প্রতিনিধি,
ফেনীতে বেড়েছে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ। চলতি মাসে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ২৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। পূর্বের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছেন ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আসিফ ইকবাল। তিনি আরো বলেন, প্রতিদিনই গড়ে জেনারেল হাসপাতালে আসছেন রোগীরা। এদের মধ্যে কেউ কেউ চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে গেলেও গুরুতর অসুস্থ অনেককে হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে।বর্ষাকাল এলেই এডিস মশার প্রকোপ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যায়। তবে এ বছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে বৃষ্টি হওয়ায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। শুধু সরকারি হাসপাতাল নয়, ফেনীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালেও ভর্তি হচ্ছে ডেঙ্গু আক্রান্তরা। ফেনী ডায়বেটিক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, গত দুই সপ্তাহে ফেনী ডায়াবেটিক হাসপাতালে ৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। গত ১১ অক্টোবর থেকে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে ফেনী পৌরসভার ১৮টি ওয়ার্ডে মশক নিধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
পৌর মেয়র স্বপন মিয়াজী জানান, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধে ৬টি ফগার মেশিনের মাধ্যমে ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ওষুধ ছিটানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে পৌরসভা। ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে পৌরবাসীর প্রতি সহযোগিতা কামনা করে মেয়র বলেন, পরিষ্কার ও বদ্ধ পানি এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র। তাই বাসা-বাড়ির আশপাশে ডাবের খোসায়, ফুলের টবে, ছাদে, ফ্রিজের নিচের ট্রেতে যাতে পানি জমে না থাকে সেদিকে পৌরবাসীকে খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়া ফেনী পৌরসভার পক্ষ থেকে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হবে বলে জানান পৌর মেয়র।তবে এডিস মশার প্রাদুর্ভাব রোধে পৌরসভার পক্ষ থেকে মাঝে মাঝে মশক নিধন ওষুধ প্রয়োগ করা হলেও পৌর এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে নিয়মিত এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার দাবি পৌর নাগরিকদের। ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা বলেন, শুধুমাত্র পৌর এলাকায় মশক নিধন ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। ইউনিয়ন পর্যায়ে একদমই করা হয় না। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে এলাকাভিত্তিক মশক নিধন ওষুধ প্রয়োগও জরুরী। জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান বলেন, নিজের বাড়িঘর, অফিসের আশপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখলে এডিস মশার জন্মাতে পারবে না। ডেঙ্গুর ভয়াবহতার কথা উল্লেখ করে সবাইলে সচেতন থাকার আহবান জানিয়ে জেলাপ্রশাসক বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সব রাস্তা-ঘাট, অফিস, আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাড়িসহ সরকারি বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে ও অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

মোরেলগঞ্জে ইকো-ভিলেজ ও পারমাকালচার বিষয়ক ২ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত।

“ফেনী সদর হাসপাতালে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে”

Update Time : ০৬:১৬:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০২২
“ফেনী সদর হাসপাতালে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে”
আবুল হাসনাত রিন্টু, ফেনী প্রতিনিধি,
ফেনীতে বেড়েছে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ। চলতি মাসে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ২৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। পূর্বের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছেন ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আসিফ ইকবাল। তিনি আরো বলেন, প্রতিদিনই গড়ে জেনারেল হাসপাতালে আসছেন রোগীরা। এদের মধ্যে কেউ কেউ চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে গেলেও গুরুতর অসুস্থ অনেককে হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে।বর্ষাকাল এলেই এডিস মশার প্রকোপ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যায়। তবে এ বছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে বৃষ্টি হওয়ায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। শুধু সরকারি হাসপাতাল নয়, ফেনীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালেও ভর্তি হচ্ছে ডেঙ্গু আক্রান্তরা। ফেনী ডায়বেটিক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, গত দুই সপ্তাহে ফেনী ডায়াবেটিক হাসপাতালে ৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। গত ১১ অক্টোবর থেকে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে ফেনী পৌরসভার ১৮টি ওয়ার্ডে মশক নিধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
পৌর মেয়র স্বপন মিয়াজী জানান, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধে ৬টি ফগার মেশিনের মাধ্যমে ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ওষুধ ছিটানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে পৌরসভা। ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে পৌরবাসীর প্রতি সহযোগিতা কামনা করে মেয়র বলেন, পরিষ্কার ও বদ্ধ পানি এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র। তাই বাসা-বাড়ির আশপাশে ডাবের খোসায়, ফুলের টবে, ছাদে, ফ্রিজের নিচের ট্রেতে যাতে পানি জমে না থাকে সেদিকে পৌরবাসীকে খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়া ফেনী পৌরসভার পক্ষ থেকে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হবে বলে জানান পৌর মেয়র।তবে এডিস মশার প্রাদুর্ভাব রোধে পৌরসভার পক্ষ থেকে মাঝে মাঝে মশক নিধন ওষুধ প্রয়োগ করা হলেও পৌর এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে নিয়মিত এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার দাবি পৌর নাগরিকদের। ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা বলেন, শুধুমাত্র পৌর এলাকায় মশক নিধন ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। ইউনিয়ন পর্যায়ে একদমই করা হয় না। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে এলাকাভিত্তিক মশক নিধন ওষুধ প্রয়োগও জরুরী। জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান বলেন, নিজের বাড়িঘর, অফিসের আশপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখলে এডিস মশার জন্মাতে পারবে না। ডেঙ্গুর ভয়াবহতার কথা উল্লেখ করে সবাইলে সচেতন থাকার আহবান জানিয়ে জেলাপ্রশাসক বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সব রাস্তা-ঘাট, অফিস, আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাড়িসহ সরকারি বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে ও অভিযান পরিচালনা করতে হবে।