শিশু থেকে বৃদ্ধ,দিনমজুর থেকে উচ্চবিত্ত,নগরীর সকল শ্রেণী পেশার মানুষের আস্থাভাজন মানবিক “মেয়র টিটু


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ৫, ২০২৪, ১:০৯ পূর্বাহ্ন / ৯৪৪
শিশু থেকে বৃদ্ধ,দিনমজুর থেকে উচ্চবিত্ত,নগরীর সকল শ্রেণী পেশার মানুষের আস্থাভাজন মানবিক “মেয়র টিটু

রিপোর্ট-মোঃ আমিনূর ইসলাম রাব্বি, ব্যুরো প্রধান, ময়মনসিংহ বিভাগ

দেশের ৮ম বিভাগ বৃহত্তর ময়মনসিংহ। ১১৩ বছরের পুরনো ময়মনসিংহ পৌরসভা ২০১৮ সালের ১৪ ই অক্টোবর উন্নীত হয় সিটি কর্পোরেশনে। পরে বেশ কিছুদিন মসিকের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মোঃ ইকরামুল হক টিটু। এর আগে বিলুপ্ত পৌরসভার একটানা ১০ বছর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১ম সিটি কর্পোরেশনের ভোট হয় ২০১৯ সালের ৫ ই মে। তখন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মোঃ ইকরামুল হক টিটু নির্বাচিত/ বিজয়ী হলেও ভোট হয় সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে। মেয়র টিটু, দীর্ঘ মেয়াদে দায়িত্ব পালনকালে তাহার সর্বাত্মক প্রচেষ্টার মাধ্যমে নগরীর বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন ও চলমান রেখেছেন। নাগরিকদের বিভিন্ন প্রয়োজনে সার্বিক সহযোগিতার মাধ্যমে নিরলস কাজ করেগেছেন তিনি।

 

 

 

শিশু থেকে বৃদ্ধ, দিন মজুর থেকে উচ্চবিত্ত সকল শ্রেণী পেশার মানুষের/নাগরিক সুবিধার জন্য তাহার মানবিকতার দৃষ্টান্ত বিরল। সকলের সাথেই তাহার আচরণ ছিলো সৌহার্দ্যপূর্ণ। তিনি কাওকে কখনও অবহেলা করেন নি,বরং সমস্যার কথা শুনা মাএই তার পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে গেছেন সমাধানের জন্য। বিশেষ করে ছিন্নমূল পথশিশুকিশোরীর,দুঃস্থ,অসহায়,খেটে খাওয়া দিনমজুর, বিধবা নারী, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী,
নারীদের স্বাবলম্বী করন সহ তাদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন ও চলমান রেখেছেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে

 

 

 

ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের সকল শ্রেণীর পেশার নাগরিকের অত্যন্ত প্রিয় আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন মেয়র টিটু। নাগরিকদের সকল প্রয়োজনে পাশে থেকে আজ তিনি নিজেকে এ অবস্থানে নিয়ে এসেছেন। অগ্নিকান্ড, বন্যা,মহামারী করোনা সহ যেকোনো সংকটে সর্বদা নিজেকে মানুষের সেবায় নিয়োজিত রেখেছেন তিনি।

 

 

 

 

বিশেষ করে বিশ্ব মহামারী করোনা সংকটে অনেককেই দূরে থেকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে, সেসময় তিনি নিজের জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে মানুষের পাশে সশরীরে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকল কার্যক্রমের তদারকি করেছেন এবং মানুষের কাছে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি উপহার দিয়েছিলেন তিনি। তাছাড়া অনেক নেতা,জনপ্রতিনিধি গনকে করোনাকালীন সময়ে এলাকাতে কম পাওয়া গেলেও মেয়র টিটুকে সার্বক্ষণিক পাশে পেয়েছিলেন নগরীর মানুষ। করোনাকালীন সময়ে প্রায় ৯৫% মানুষকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হয়েছে।নিয়মিত অফিসে ও নিজ বাসায় নগরীর মানুষের বিভিন্ন সমস্যার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনা এবং সাধ্যমত সহজোগিতা ও সমাধানের কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখা, এটা তাহার দৈনন্দিন কাজের রুটিন।

বিভিন্ন জনমতে, বর্তমান চলমান রাজনীতির এক বিপরীত চরিত্র মেয়র টিটু।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক মানব কল্যাণের মিশন বাস্তবায়নই মেয়র টিটুর একমাএ অঙ্গীকার। আর এ কারনেই তিনি দল মত নির্বিশেষে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য এক মানবিক ব্যক্তিত্ব। সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব নেওয়ার পর তাহার সুদক্ষ পরিকল্পনায় পরিবর্তন ঘটেছে নগরীর সড়ক ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার অবকাঠামোয়। বিশেষ করে- বিলুপ্ত পৌরসভার ২১ টি ওয়ার্ড এর সাথে নতুন করে ১২ টি ইউনিয়ন পরিষদের অংশ একএে যুক্ত করে মোট ৩৩ টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত সিটি কর্পোরেশনের যোগাযোগ ব্যবস্থা সড়ক নির্মান ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন এসেছে।

প্রতিদিন প্রায় ৫০০ টন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা হয়েছে নগরীর বিভিন্ন স্থানে। এছাড়া মেডিকেল বর্জ্য, পয়ঃবর্জ্য ও গৃহস্থালির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নেওয়া হয়েছে পৃথক উদ্যোগ যার সুফল ভোগ করছেন নগরবাসী। নগরীর ১৭১ কিলোমিটার সড়কে স্থাপন করা হয়েছে এলইডি সড়ক বাতি। নাগরিক স্বাস্থ্য সেবায় ১ টি নগর মাতৃসদন এবং ৩ টি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে, পাশাপাশি ইপিআই,কৃমি নিয়ন্ত্রণ, ভিটামিন এ + ক্যাম্পেইন শতভাগ বাস্তবায়ন করেছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে ইতোমধ্যে ১৬ কিলোঃ খাল গুলোর অবৈধ দখল, উচ্ছেদ কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও চলমান রেখেছেন।

প্রজন্মের মাঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ছড়িয়ে দিতে ব্রিজের পাশে স্থাপন করেছেন জয় বাংলা চত্বর। ব্রহ্মপুত্র নদীর পাড়ে স্থাপন করেছেন মিনি চিড়িয়াখানা।
টাউন হল অডিটোরিয়াম স্থাপন করেছেন বঙ্গবন্ধু গ্যালারি,রাস্তার বিভিন্ন পয়েন্টে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, সিটি কর্পোরেশনে ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালু ও ৫ টি সেবাকে অনলাইনের আওতায় আনা,সহ নগরীতে স্মরণকালের সর্বাধিক উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়ন ও চলমান রয়েছে মেয়র টিটুর সুদক্ষ নেতৃত্বে।

বর্তমানে মসিকের সড়ক ড্রেনেজ অবকাঠামো নির্মাণ ও নাগরিক সেবা উন্নত করনে ১৫৭৫ কোটি টাকার প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রায় ৭০০ কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। এতে তৈরি হচ্ছে ৯০ কিলোমিটার বিসি রোড, ১৬১ কিলোমিটার আরসিসি রোড, ১.৬১ কিলোমিটার সিসি রোড, ১৭৯ কিলোমিটার ড্রেন, ৯.৬৬ কিলোমিটার পাইপ ড্রেন, ১০ কিলোমিটার ফুটপাত, কালভার্ট সহ বিভিন্ন অবকাঠামো। এছাড়াও মসিকের অন্যান্য প্রকল্প থেকে ৯২ কিলোমিটার নতুন রাস্তা এবং ৪৫ কিলোমিটার ড্রেনের কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে এবং এর সুফল ভোগ করছেন জনগন। মেয়র টিটুর নেতৃত্বে ২০২১-২০২২ ও ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সম্পাদনে স্থানীয় সরকার বিভাগের ১২ টি সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে ২য় স্থান অর্জন করেছে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন। ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে একজন সুদক্ষ স্মার্ট কারিগর মোঃ ইকরামুল হক টিটু। তিনি ময়মনসিংহ সিটি মেয়র ছাড়াও ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে ময়মনসিংহের আওয়ামী রাজনীতির গতিশীলতাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
নগরীর বিভিন্ন উন্নয়ন ও মানবকল্যাণে মেয়র টিটু’র কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন ময়মনসিংহের নগরবাসী।