Dhaka ০৭:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

” নীলফামারীতে ছড়িয়ে পড়েছে চোঁখ ওঠা”রোগ “

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:৩১:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০২২
  • ৫৩২ Time View
নীলফামারীতে ছড়িয়ে পড়েছে চোঁখ ওঠা”রোগ “
বিকাশ রায় বাবুল, বিশেষ প্রতিনিধি,  নীলফামারী :
নীলফামারীতে “চোখ ওঠা” রোগ আকারে ছড়িয়ে পরেছে। আবহাওয়া জনিত কারনে প্রতি বছর সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়েই এ রোগ বেশী হয়ে থাকে । জেলার সকল উপজেলা থেকে বেশ কিছুদিন ধরে সব বয়সী মানুষের এ রোগে আক্রন্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে মেডিকেলে গুলোতে চিকিৎসা সেবা নিতে  আসা চোখ ওঠা রোগীর সংখ্যা বেশী । তাছাড়া গ্রামাঞ্চলের শিশুদের মাঝেই এ রোগটি বেশি ছড়াচ্ছে। পরিবারে একজনের সংক্রমন দেখা দিলে সেই পরিবারের সকলেই আক্রান্ত হচ্ছে ।
 এ বিষয়ে কথা হলে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, এটি একটি ভাইরাস জনিত রোগ। তাছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত কাপর,টিসু,ক্লোজ কন্টাক্টের মাধ্যমে এ রোগ ব্যাপক আকারে ছড়াচ্ছে। এ রোগে চোখে ব্যাথা অনুভব হয়, চোখ জ্বালা পড়া করে  ,চোখ খচ খচ করে,জল ঝরে,চোখ চুলকাতে থাকে। চোখের পাতা জরো লাগে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।এমন রুগী থেকে  দূরত্ব মেনা চলাই ভালো। ঔষধ ছাড়াই কারো কারো  এ রোগ সেরে য়ায়। ৩ থেকে ৭ দিনে  এ রোগ সেরে যায় ।
এক সপ্তাহের মধ্যে যদি এ রোগ না সারে তাহলে বিলম্ব না করে দ্রুত ডাক্তার এর পরামর্শে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে চিকিৎসা গ্রহন করতে হবে। রোগের প্রতিশেধক হিসেবে ড্রপ ব্যবহার করা যেতে পারে। চোঁখ ওঠা রোগীকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় কনজাংঙ্কটিভিজি বা কনজাঙ্কটিভা বলে। এই  রোগটি মুলত ভাইরাসের কারনে হয়ে থাকে। বর্তমানে মেডিকেলে আসা রুগীকে  প্রতিষেধক (ড্রপ) ঔষুধ দেয়া হচ্ছে। তাছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তিকে কালো রংঙের চশমা ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। বিচলিত হওয়ার কিছু নেই এ মাসের শেষের দিকে এ রোগের প্রাদুর্ভাব কমতে পারে।
তারিখঃ ১৮/১০/২২
০১৭১৭০৬১০৭০
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

পদন্নতিতে পুনরায় বৈষম্যের শিকার জনতা ব্যাংক অধিকাংশ কর্মকর্তা

” নীলফামারীতে ছড়িয়ে পড়েছে চোঁখ ওঠা”রোগ “

Update Time : ০৪:৩১:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০২২
নীলফামারীতে ছড়িয়ে পড়েছে চোঁখ ওঠা”রোগ “
বিকাশ রায় বাবুল, বিশেষ প্রতিনিধি,  নীলফামারী :
নীলফামারীতে “চোখ ওঠা” রোগ আকারে ছড়িয়ে পরেছে। আবহাওয়া জনিত কারনে প্রতি বছর সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়েই এ রোগ বেশী হয়ে থাকে । জেলার সকল উপজেলা থেকে বেশ কিছুদিন ধরে সব বয়সী মানুষের এ রোগে আক্রন্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে মেডিকেলে গুলোতে চিকিৎসা সেবা নিতে  আসা চোখ ওঠা রোগীর সংখ্যা বেশী । তাছাড়া গ্রামাঞ্চলের শিশুদের মাঝেই এ রোগটি বেশি ছড়াচ্ছে। পরিবারে একজনের সংক্রমন দেখা দিলে সেই পরিবারের সকলেই আক্রান্ত হচ্ছে ।
 এ বিষয়ে কথা হলে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, এটি একটি ভাইরাস জনিত রোগ। তাছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত কাপর,টিসু,ক্লোজ কন্টাক্টের মাধ্যমে এ রোগ ব্যাপক আকারে ছড়াচ্ছে। এ রোগে চোখে ব্যাথা অনুভব হয়, চোখ জ্বালা পড়া করে  ,চোখ খচ খচ করে,জল ঝরে,চোখ চুলকাতে থাকে। চোখের পাতা জরো লাগে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।এমন রুগী থেকে  দূরত্ব মেনা চলাই ভালো। ঔষধ ছাড়াই কারো কারো  এ রোগ সেরে য়ায়। ৩ থেকে ৭ দিনে  এ রোগ সেরে যায় ।
এক সপ্তাহের মধ্যে যদি এ রোগ না সারে তাহলে বিলম্ব না করে দ্রুত ডাক্তার এর পরামর্শে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে চিকিৎসা গ্রহন করতে হবে। রোগের প্রতিশেধক হিসেবে ড্রপ ব্যবহার করা যেতে পারে। চোঁখ ওঠা রোগীকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় কনজাংঙ্কটিভিজি বা কনজাঙ্কটিভা বলে। এই  রোগটি মুলত ভাইরাসের কারনে হয়ে থাকে। বর্তমানে মেডিকেলে আসা রুগীকে  প্রতিষেধক (ড্রপ) ঔষুধ দেয়া হচ্ছে। তাছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তিকে কালো রংঙের চশমা ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। বিচলিত হওয়ার কিছু নেই এ মাসের শেষের দিকে এ রোগের প্রাদুর্ভাব কমতে পারে।
তারিখঃ ১৮/১০/২২
০১৭১৭০৬১০৭০