“ডিমেনশিয়া /স্মৃতিভ্রংশ”- ডাঃ পীযুষ মজুমদার, এম.বি.বি.এস,বি.সি.এস এম,ডি, নিউরোমেডিসিন।


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ২৫, ২০২৩, ৭:১৬ অপরাহ্ন / ৩৫১
“ডিমেনশিয়া /স্মৃতিভ্রংশ”- ডাঃ পীযুষ মজুমদার, এম.বি.বি.এস,বি.সি.এস এম,ডি, নিউরোমেডিসিন।
“ডিমেনশিয়া /স্মৃতিভ্রংশ”- ডাঃ পীযুষ মজুমদার, এম.বি.বি.এস,বি.সি.এস এম,ডি, নিউরোমেডিসিন।
আমার চেম্বারের অভিজ্ঞতা থেকে:-  
 জনাব রশিদ তালুকদার দীর্ঘ ৩৬ বছর শিক্ষকতার জীবন থেকে অবসরে গেছেন প্রায় ১০ বছর। তার বাড়ির লোকজন বলছে গত তিন বছর ধরে তিনি জিনিস পত্র হারিয়ে ফেলছেন, টাকা পয়সার হিসাব তেমন মনে রাখতে পারছেন না। ইদানীং এই সমস্যা আরো বেশি প্রকট হয়েছে। সকালে কি খেয়েছেন তা দূপুর পেরোতেই বিকেলে ভুলে যান। এ নিয়ে পরিবারের সদস্যরা কখনো হাসাহাসি আবার রাগারাগি ও করে। নিজের এ অবস্থায় তিনি বিমর্ষ হয়ে যান এবং খিটখিটে স্বভাবের হয়ে যাচ্ছেন।
….এই রোগটির নামই “ডিমেনশিয়া “যা সহজ ভাষায় স্মৃতিভ্রংশ বা চিত্তভ্রংশ বলে থাকে।
১। ডিমেনশিয়া কি?
(ক) এটি একটি “নিউরো সাইকিয়াট্রিক” রোগ যেখানে মস্তিষ্কের স্নায়ুক্ষয় বা দীর্ঘদিন স্নায়ুর অকার্যকারিতার জন্য আক্রান্ত ব্যাক্তির স্মৃতি, বুদ্ধি এমনকি ব্যাক্তিত্বও লোপ পায়। এটি একটি দীর্ঘ মেয়াদি ও ক্রমবর্ধমান রোগ।
২। কাদের হয়?
(ক) জরিপে দেখা গেছে ৬৫ বছরের বেশি ৫ শতাংশ ও ৮৫ বছরের বেশি লোকদের ২০ শতাংশ লোকেরা এই রোগে আক্রান্ত হয়। এছাড়াও যেকোনো বয়সে যেকোনো বয়সের লোক রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এমনকি বাংলাদেশে ২০১৫ সালে এই রোগের আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৫ লাখ। যাহা ২০৩০ সালে বেড়ে এর সংখ্যা ৯ লাখ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
৩। এই রোগের কারণ কি?
(ক) কিছু ডিমেনশিয়া আছে যেটা ক্রমবর্ধমান এবং এদের সম্পূর্ণ রুপে ভালো করা যায় না। যেমন: আলঝেইমার’স রোগ, লিউ- বডি, ফ্রন্টোটেম্পোরাল, ভাস্কুলার ডিমেনশিয়া, পারকিনসন সিনড্রোম ইত্যাদি। এদের মধ্যে কিছু লোকের বংশগতভাবে ও হয়ে থাকে।
৪। সেকেন্ডারি ডিমেনশিয়া:
এই রোগের সম্পূর্ণভাবে নিরাময় সম্ভব।
(ক)পুষ্টিহীনতা:- শরীরে আয়রন, ফলিক এসিড, ভিটামিন বি১, বি৬, বি১২ এর স্বল্পতা, এলকোহল, নিকোটিন।
(খ) ইনফেকশন: এনসেফালাইটিস, সিফিলিস ও এইডস।
(গ) মেটাবলিক: ডায়বেটিস, থাইরয়েডের রোগ ও অন্যান্য হরমোন জনিত রোগ।
(ঘ)ডিপ্রেশন ও সিজোফ্রেনিয়া।
(ঙ) মস্তিষ্কের টিউমার ও আঘাতজনিত রোগ।
৫। রোগের লক্ষণ:
(ক) সাম্প্রতিক ঘটনা, নাম,চেহারা ভুলে যাওয়া।
(খ) অল্পসময়ের মধ্যে একই প্রশ্ন পুনরাবৃত্তি করা।
(গ) জিনিসপত্র হারিয়ে ফেলা বা ভুল স্থানে রাখা।
(ঘ) অনুভূতি ও ব্যাক্তিত্বের পরিবর্তন।
(ঙ) মনোযোগ নষ্ট হওয়া।
(চ) হারিয়ে যাওয়া।
(ছ) সরল সিদ্ধান্ত গ্রহণে কঠিন হয়ে যাওয়া
(জ) অনেক সময় নিকট আত্মীয়দের চিনতে না পারা।
৬। রোগ নির্নয় ও চিকিৎসা:-
(ক) বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই রোগ সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব নয়। তবে দ্রুত রোগ নির্ণয় এবং সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এর ক্রমবর্ধমান গতিকে রোধ করা যায়। এজন্য পারিবারিক ও সামাজিক জনসচেতনতা হওয়া দরকার।
৭। রোগ প্রতিরোধ:-
(ক) ডায়বেটিস, কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা।
(খ) অ্যালকোহল,ধুমপান পরিত্যাগ করা।
(গ)সবসময় ঘরে বসে না থেকে নিজের পছন্দের কাজ করা।সামাজিক কার্যক্রমে নিজেকে জড়িত রাখা।
(ঘ)বয়স অনুযায়ী সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করা।
(ঙ) হরমোন জনিত রোগ ও পুষ্টিহীনতা নিয়ন্ত্রণ করা।
(চ) পরিবারের সদস্যদের এই রোগ সম্পর্কে অবিহিত করতে হবে এবং রোগীর প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে উঠতে হবে।
(ছ)পারিবারিক ও সামাজিক জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
ফেনীর নতুন সিভিল সার্জন ডাঃ শিহাব উদ্দিন ।
আবুল হাসনাত রিন্টু, ফেনী:
ফেনী জেলার নতুন সিভিল সার্জন হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ডা. মো. শিহাব উদ্দিন। সোমবার (২৩ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আলমগীর কবিরের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে সিভিল সার্জন পদে পদায়ন করা হয়েছে। রোববার (২৯ জানুয়ারি) তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন।
এর আগেও তিনি ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ডা. শিহাব উদ্দিন বলেন, আমি করোনাকালীন দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর ছাগলনাইয়াতে কাজ করেছি। মানুষকে সেবা দেওয়ার জন্য অতীতে যেভাবে কাজ করেছি এখনও করতে চাই। পুনরায় ফেনীতে ফিরতে পেরে আমি আনন্দিত। কারণ ফেনীর অনেক মানুষ পরিচিত। কাজ করতে সুবিধা হবে। ফেনীর স্বাস্থ্যসেবা আরও বেগবান করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কাজ করে যেতে চাই।
এর আগে তিনি গত বছরের জানুয়ারীতে ঝালকাঠিতে নতুন সিভিল সার্জন হিসেবে ডা. মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিনকে নিয়োগ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ফেনীতে অস্ত্র ঠেকিয়ে জোরপূর্বক সম্পত্তি রেজিস্ট্রি নেওয়ার অভিযোগ ।
আবুল হাসনাত রিন্টু, ফেনী প্রতিনিধি –
ফেনীর সোনাগাজীতে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের ৩ কোটি টাকা মূল্যের ভিটে-বাড়ির রেজিস্ট্রি দলিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন বিচারক। গতকাল সোমবার দুপুরে ফেনীর যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ বেলাল উদ্দিন এ আদেশ দেন। তার আদেশে গত ২৮ ডিসেম্বর মতিগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রি অফিসের ৭৭৯১নং দানপত্র ও ৭৭৯২ নাম্বার সাবকবলা দালিলের ১৯১ শতক ভূমির ওপর এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ ডিসেম্বর রাতের আঁধারে অস্ত্র ঠেকিয়ে এই সংখ্যালঘুর পরিবারের জমি রেজিস্ট্রি করে নেয়ার বিষয়ে মতিগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রার ও প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা রেজিস্ট্রারের কাছে লিখিত অভিযোগ ও ৬ ভূমিদস্যুর বিরুদ্ধে সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করেন। সোমবার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার দলিল দুটি বাতিলের আদেশ চেয়ে আদালতে সাব-রেজিস্ট্রার সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সোনাগাজী উপজেলার চরছান্দিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রপ্ত শিক্ষক ইউপির ২নং ওয়ার্ডের রামকুমার মহাজন বাড়ির অভয় চরন দাশের ছেলে রবিন্দ্র দাসের ১৯১ শতক ভূমি পার্শ্ববর্তী কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার মুচাপুর গ্রামের মোস্তফা মিঞার ছেলে আলমগীর হোসেন, সোনাগাজী পৌরসভার চরচান্দিয়া এলাকার মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে যুবদলের ক্যাডার ৪০ মামলার আসামি খুরশিদ আলম, চরচান্দিয়া ইউনিয়নের সেরাজুল হকের ছেলে নাছির উদ্দিন ও একই এলাকার সওদাগর বাড়ির মৃত সেরাজুল হকের ছেলে হারুনুর রশিদ, শাহআলম ও দেলোয়ার হোসেন মতিগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রার আকরাম হোসেন রিয়াদের যোগসাজশে দুটি দলিলে রেজিস্ট্রি করে নেয়। যার বাজারমূল্য তিন কোটি টাকা। এর আগে ভূমিদস্যুরা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে রবিন্দ্র কুমার দাশের কাছ থেকে তার জাতীয় পরিচয়পত্র, ছবি ও জমির সব দালিলসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাতিয়ে নেন। এরপর তারা তাকে বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রেখে হত্যা ও লাশ গুমের ভয় দেখিয়ে ২৮ ডিসেম্বর রাত ৭টায় অস্ত্র ঠেকিয়ে দলিলে স্বাক্ষর ও তা রেজিস্ট্রি করিয়ে নেয়।
ভুুক্তভোগী রবিন্দ্র দাস এ বিষয়ে ফেনী জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ফেনী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শুষেন চন্দ্র শীল, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদের সভাপতি শুকদেব নাথ তপন, জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা রেজিস্ট্রারের কাছে লিখত অভিযোগ করেন। ফেনী পুলিশ সুপার জাকির হাসান জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতের নিষেধাজ্ঞা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে আইনগত সব ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাইরোলাইসিস প্রক্রিয়ায় ফেনীতে পলিথিন থেকে তেল উৎপাদন করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফেনী ভূঁইয়া ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল।
আবুল হাসনাত রিন্টু, ফেনী:
পাইরোলাইসিস প্রক্রিয়ায় পলিথিন বর্জ্য থেকে তেল উৎপাদন করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফেনী ভূঁইয়া ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল।
প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে তেল উৎপাদন করতে ফুয়েল রিকোভারী পলিথিন রিডিউজ পাইরোলাইসিস প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের দাবি, পাঁচশ’ কেজি পলিথিন থেকে ২০০ লিটার গ্রিন ওয়েল উৎপাদন করতে সক্ষম হচ্ছেন তারা। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা আশা করছেন এই প্রকল্পটি স্থায়ী করা গেলে পরিবেশের জন্য ভয়াবহ হুমকি ফেলে দেওয়া পলিথিন বর্জ্য জ্বালানি তেল হয়ে উঠবে।পরিবেশও বাঁচবে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কনসালটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. আলমগীর হোসাইন বলেন, প্রতিবছর দেশে যে বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হচ্ছে সেটি থেকে উৎপাদিত জ্বালানি তেল গৃহস্থালি ছাড়াও ব্যবহার করা যাবে কল-কারখানায়।বাজার করতে ব্যবহৃত পলিথিন ব্যাগ, বাসা-বাড়িতে ব্যবহৃত প্লাস্টিক খালি বোতল, ব্রাশ, প্রসাধনীর খালি প্যাকেট, খাবারের মোড়কের প্যাকেট, স্যালাইনের প্যাকেট, পানির খালি বোতল, কোমল পানীয় বোতল, বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের অপচনশীল প্লাস্টিক দ্রব্য মেশিনে দিয়ে তেল উৎপাদন করা হবে।
এ বিষয়ে মো. আলমগীর হোসাইন জানান, আগামী ৩ বছরের জন্য এ প্রজেক্ট পরিচালনা করবেন তারা। এ মেশিনে রিয়েক্টর, এয়ারব্যাগ, কুলিং সিস্টেম, ড্রাপটিং সিস্টেম, গিয়ার বক্স, গ্যাস ওয়াটার, ওয়েল ট্যাংক, প্রেসার গ্রেস, টেম্পারেচার মিটার, ইমারজেন্সি ভার সহ মোট ১১টি যন্ত্রের মাধ্যমে কোনোপ্রকার ধোঁয়া ও বায়ুদূষণ ছাড়া পলিথিনকে রিডিউজ করে বাষ্পের সাহায্যে পাইরোলাইসিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তেল উৎপাদন করা হবে।এ মেশিনটি চালাতে ১০ জন অপারেটর প্রয়োজন। তবে পরীক্ষামূলক উৎপাদনে ১ জন অপারেটর, ১ জন ম্যানেজার, ২জন এসিস্ট্যান্ট দিয়ে প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এখানে চাহিদামত পলিথিন সংগ্রহ হলে রিসাইক্লিনের ও রিডিউজের মাধ্যমে পাইরোলাইসিস করে প্রতিদিন ৫০০ কেজি পলিথিন থেকে ২০০ লিটার গ্রিন ওয়েল তেল উৎপাদন করা সম্ভব হবে।
ফেনীস্থ পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট তানভীর আহমেদ জানান, ফেনী পৌরসভার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ পরিবেশ উন্নয়ন সংস্থা অরবিট হেলথ অ্যান্ড এনভায়রমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন। যদি ঠিকমত হাসপাতাল ও গৃহস্থালি বর্জ্যের পলিথিন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ভূঁইয়া ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনালকে সাপ্লাই দিতে পারে তা হলে সরকারের লক্ষ্য বাস্তবায়ন হবে। দেশ পরিবেশ দূষণ থেকে অনেকাংশে বাঁচবে।
ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী বলেন, পলিথিন আমাদের পরিবেশের জন্য ভয়াবহ হুমকি স্বরুপ। এটি আমাদের পরিবেশকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। পলিথিন থেকে প্রক্রিয়া করে তেল উৎপাদনের যে প্রক্রিয়া এটির বিষয়ে আমরা আরো আশাবাদী।