বাঁশখালী গন্ডামারার আলোচিত চেয়ারম্যান লেয়াকত আলীর বহিষ্কারাদেশ পত্যহারের পর ফের সক্রিয় দলীয় কার্যক্রমে


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩, ১০:১২ অপরাহ্ন / ১৮২
বাঁশখালী গন্ডামারার আলোচিত চেয়ারম্যান লেয়াকত আলীর বহিষ্কারাদেশ পত্যহারের পর ফের সক্রিয় দলীয় কার্যক্রমে

মোঃ রেজাউল আজিম বাঁশখালী.

গত ২০ই ডিসেম্বর বুধবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, সেই  ২০২১ সালের ১০ই জানুয়ারি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য থাকাকালে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জেরে লেয়াকত আলীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।

সরকার পতনের অসহযোগ আন্দোলনকে সফল করতে বহিষ্কৃত নেতাদের মধ্যে যারা ত্যাগী ও দলের হয়ে নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে বিএনপির হয়ে কাজ করে আসছে তাদেরকে দলে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি। দলকে শক্তিশালী করতে স্থানীয় নেতাদের আবার দলে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। চেয়ারম্যান লেয়াকত আলীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হলেও তিনি নানাভাবে রাজনৈতিক কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন। তিনি টানা তিন তিনবার বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে গন্ডামারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সর্বশেষ, ২০২২ সালের ১৫ জুন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রার্থী শিহাব সিকদারকে পরাজিত করে গন্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। রাজনৈতিক ও অন্যান্য মামলায় গ্রেফতার হলে, চলতি বছরের ৬ মার্চ লেয়াকত আলীকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লেয়াকত আলীর কাছে আমাদের প্রতিবেদক জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে ২০টিরও অধিক রাজনৈতিক মামলা রয়েছে। বহিষ্কারাদেশ আমার কর্মকান্ডকে ঠেকাতে পারেনি, আমি দলের জন্য জীবন বাজি রেখে অদ্যাবদি কাজ করে যাচ্ছি। এখন বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হওয়ায় আমি নিজেকে গর্বিত, পরীক্ষিত, ত্যাগী ও সম্মানীত মনেকরছি এবং আমার প্রাণপ্রিয় সংগঠনের একজন সদস্য পরিচয়ে মৃত্যুবরণের সুযোগ পেলাম। আমি অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে আমার নেতা আগামীদিনের রাষ্ট্র-নায়ক তারেক রহমানের প্রতি অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমি দলের দুঃসময়ে সবসময় রাজপথে ছিলাম, আছি এবং থাকবো।

তিনি প্রতিবেদকের প্রশ্নের জবাবে আরো বলেন, আমার বিরুদ্ধে ২০টিরও অধিক রাজনৈতিক গায়েবী মামলা রয়েছে। সম্প্রতি আরো ৩/৪টা গায়েবী মামলায় আমাকে আসামী করা হয়েছে। আমি কোনো অপরাধ করিনি, আমার অপরাধ আমি বিএনপি করি! আমার বাড়িতে প্রতিদিন বাঁশখালীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার বিএনপির নেতা-কর্মীরা আমার সাথে দেখা করতে আসে শুধু আমাকে ভালোবাসে বলে, আমি দেশের জন্য কাজ করি, জনগণের জন্য কাজ করি। আমি নিজে অন্যায় করিনা, কাউকে অন্যায় করতে প্রশ্রয়ও দেয় না। আমি বড় নেতা বা মন্ত্রী হতে চাইনা, আমি বড় একটা জানাযার জন্য আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করতেছি।

চলিত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি একটি সাজানো নাটক! আমরা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ বা ভোট দিয়ে নাটকের নাট্যকার ও অভিনয়কারী হতে চাইনা। এ কেমন নির্বাচন? যেখানে বিরোধী দলের কোনো প্রার্থী নেই, স্বতন্ত্র বলেন, নৌকা বলেন সব প্রার্থী তারা তারাই। আমাদের নেতা-কর্মীরা এই সাজানো নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য কেন্দ্রেও যাবেনা।