শুক্রবার বিশ্ব ইজতেমা…… টঙ্গীর তুরাগ তীরে লাখো মুসল্লিদের ঢল।


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ১৫, ২০২৩, ৬:০৫ অপরাহ্ন / ২৩৭
শুক্রবার বিশ্ব ইজতেমা…… টঙ্গীর তুরাগ তীরে লাখো মুসল্লিদের ঢল।

শুক্রবার বিশ্ব ইজতেমা…… টঙ্গীর তুরাগ তীরে লাখো মুসল্লিদের ঢল।

সুমন খান:

বিশ্ব ইজতেমার প্রথমপর্ব শুরু হচ্ছে আজ শুক্রবার। এতে টঙ্গীর তুরাগমুখী হয়েছেন হাজার হাজার মুসল্লি। ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাড়কে দেখা দিয়েছে যানজট। ইজতেমার সব ধরনের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। ১৬০ একরের বিশাল ময়দানে টানানো হয়েছে সামিয়ানা। ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে মাঠে নিজ নিজ খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন মুসল্লিরা। ইজতেমা উপলক্ষে টঙ্গী ও আশপাশের এলাকায় ধর্মীয় উৎসব আমেজ বিরাজ করছে। আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ময়দানের চারপাশে বৃহস্পতিবার (১২ই জানুয়ারি) দুপুর ২টা থেকে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করেছেন বলে জানা গাছে।

এদিকে বিশ্ব ইজতেমাকে সামনে রেখে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে কর্মরত সকল চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের সকল ধরনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ময়দানে পানি সংকট নিরসনে নতুন গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও ইজতেমা উপলক্ষে বিশেষ ট্রেন, বাস, ফায়ার সার্ভিস, ট্রাফিক পুলিশ, বিদ্যুৎ, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ব্যাপক প্রস্তুতি হাতে নিয়েছে। ৩শ’ সিসি ক্যামেরাসহ তৈরি করা হয়েছে নিরাপত্তা বলয়। সার্বিক নিরাপত্তায় সাড়ে সাত হাজার পুলিশ মোতায়ন থাকবে। র‌্যাব ও আনসারসহ বিভিন্ন সংস্থা কাজ করবে। প্রতি বছরের মতো এবারও বয়ান থাকবে বাংলা, হিন্দি ও উর্দু ভাষায়।
টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে আগরতলা স্থলবন্দর সিমান্ত পথে দলে দলে আসছেন ভারতীয় মুসল্লি।ভারতীয় মুসল্লিরা ব্রাহ্মনবাড়িয়া আখাউড়া চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন। এখান থেকে বাসে কিংবা ট্রেনযোগে ইজতেমার ময়দানে আসছেন। মুসল্লিদের যাতায়াতে ৫ জোড়া বিশেষ ট্রেন পাশাপাশি রয়েছে, বিআরটিসি বাস।

উল্লেখ্য, ১৩ই জানুয়ারি শুরু হয়ে ১৫ই জানুয়ারি রোববার আখেরী মোনাজাতের মধ্যদিয়ে প্রথমপর্বের (আলমি শূরার) বিশ্ব ইজতেমার সমাপ্তি ঘটবে। মাঝে ৪দিন বিরতি দিয়ে ২০ জানুয়ারি দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাযের অনুসারী (ওয়াসিফুল ইসলামপন্থী) মুসল্লিরা বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয়পর্বে অংশ নেবেন। ২২ জানুয়ারি আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে এবারের বিশ্ব ইজতেমার সমাপ্তি ঘটবে ইনশাআল্লাহ।

“রাষ্ট্রপতি পদে বসার যোগ্যতা আমার নেই, এ মন্তব্য করেন, ….  ওবায়দুল কাদের”

সুমন খান –

গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন, রাষ্ট্রপতি  পদে বসার যোগ্যতা নিজের নেই বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আপনার নাম শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ওই পদে বসার যোগ্যতা আমার নেই।বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আন্দোলন নিয়ে আমরা সতর্ক থাকবো। তারা যাতে সহিংস পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে, সে ব্যাপারে আমরা নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করিনি। আমরা রাজপথে আছি। রাজপথ আমরা ছাড়বো না। জনগণের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব পালন করবো। গতকাল বিএনপির বৈঠক অনেক বড় হয়েছে। আমাদের আলোচনা সভাও বড় সমাবেশে রূপ নিয়েছে। বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে ওবায়দুল কাদের বলেন, পরের নির্বাচনে আমাদের নেতৃত্ব দেবেন শেখ হাসিনা। কিন্তু তাদের নেতা কে? গত নির্বাচনে তারা কামাল হোসেনের নেতৃত্বে নির্বাচন করেছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, গতকাল কোনো সহিংস পরিস্থিতি কোথাও হয়নি। ফরিদপুরে তাদের মিটিং থেকে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুড়েছে। বিষয়টি বেশিদূর গড়ায়নি। তারা শোভাযাত্রা করলে আমরা শান্তি সমাবেশ করবো।জামায়াত নিষিদ্ধ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, এটা আদালতের বিষয়। এ বিষয়ে আমরা সক্রিয় হওয়ার সিদ্ধান্ত নেইনি। আদালতের বিষয়ে দলীয় ভূমিকা যুক্তিসঙ্গত হবে না। তবে জামায়াত ছাড়া বিএনপি শক্তিহীন। বিএনপি-জামায়াত একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ।

একদিনেই হবে ড্রাইভিং লাইসেন্স………. বিআরটিএ । 
সুমন খান:
জল্পনা কল্পনা অবসান ঘটিয়ে নতুন একটি চমক উদ্যোগ নিচ্ছেন বিআরটিএ, মাত্র একদিনেই ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার সব কার্যক্রম শেষ করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। যুগ যুগ ধরে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে গ্রাহকরা ভোগান্তিতে পড়ছেন। এতদিন একটি লাইসেন্স পেতে বিআরটিএ কার্যালয়ে পাঁচ থেকে ছয় দিন ধর্ণা দিতে হতো। পাশাপাশি দালালের দৌরাত্ম্য তো আছেই।
ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে প্রথমধাপে একদিন এসে করতে হয় শিক্ষানবিশ লাইসেন্স। পরীক্ষা দিতে আসতে হয় দ্বিতীয়বার। পরীক্ষায় পাস করেলে তৃতীয়বার আসতে হয় আঙ্গুলের ছাপ দেওয়ার জন্য। এরপর আবার লাইসেন্সের আবেদন। এসব করতে এসে বিআরটিএ কার্যালয়ে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হতো। অবশেষে ভোগান্তি শেষ হচ্ছে গ্রাহকদের। আগামী ১৭ই জানুয়ারি থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার দিনই বায়োমেট্রিক নেবে রাজধানীর বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) সার্কেলগুলো। সম্প্রতি বিআরটিএ ঢাকা বিভাগ পরিচালকের (ইঞ্জিঃ) কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ১৭ই জানুয়ারি থেকে বিআরটিএ, ঢাকা মেট্রো-১ সার্কেল (পরীক্ষা কেন্দ্র জোয়ারসাহারা), ঢাকা মেট্রো-২ সার্কেল (পরীক্ষা কেন্দ্র- ইকুরিয়া), ঢাকা মেট্রো-৩ সার্কেল (পরীক্ষা কেন্দ্র- দিয়াবাড়ী, উত্তরা) ও ঢাকা জেলা সার্কেলের (পরীক্ষা কেন্দ্র- ইকুরিয়া) ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রার্থীদের একইদিনে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা ও বায়োমেট্রিক গ্রহণ করা হবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা ও বায়োমেট্রিক গ্রহণের সুবিধার্থে উল্লেখিত সার্কেলের প্রার্থীদের তাদের লার্নারে উল্লেখিত কাগজ-পত্রাদিসহ স্ব-স্ব পরীক্ষা কেন্দ্রে সকাল ৯টার পরিবর্তে সকাল ৮টায় উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।
নিপাহ ভাইরাসে মৃত্যু, কাঁচা খেজুরের রস এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে …….. ডা: তাহমিনা  শিরিন।
সুমন খান:
দেশে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বছরের প্রথম ১০ দিনের মধ্যে এই ভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এই তথ্য জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ই জানুয়ারি) আইইডিসিআর আয়োজিত ‘শীতের সংক্রামক রোগ এবং নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণ’ শীর্ষক সম্মেলনে এই কথা জানানো হয়। আইইডিসিআর জানায়, মৃত ব্যক্তি রাজশাহীর বাসিন্দা। ওই নারীর কাঁচা খেজুরের রস খাওয়ার ইতিহাস ছিল। এর আগে ২০২২ সালে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার তিনটি ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছিল। যার মধ্যে দুই জন মারা যান।
আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন বলেন, এদেশে বাদুড়ের লালা বা প্রস্রাবের মাধ্যমে নিপাহ ভাইরাস ছড়ায়। মানুষ যখন দূষিত কাঁচা খেজুরের রস পান করে তখন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। সেই ব্যক্তি থেকে তার পরিবারের সদস্য বা স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে এর সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। কাঁচা খেজুরের রস এবং আধা খাওয়া ফল খাওয়া উচিত নয়। আইইডিসিআর জানায়, নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত ৭১ শতাংশ মানুষ মারা যায়। তাই কাঁচা খেজুরের রস খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
সম্মেলনে বক্তারা আরও বলেন, নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ প্রকাশ পেতে রস খাওয়ার পর আট থেকে ৯ দিন সময় লাগে। মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণের ক্ষেত্রে লক্ষণগুলো ছয় থেকে ১১দিন পরে দেখা যায়। আইইডিসিআর-এর গবেষকদের মতে, খেজুরের রস গরম করার পর পান করা নিরাপদ। গুড়ও নিরাপদ। প্রতিষ্ঠানটি খেজুরের রস সংগ্রহকারীদের রস সংগ্রহের পর সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পরামর্শও দিয়েছে।