“হোসেনপুরে ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে বরই গাছ”


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১৪, ২০২২, ৫:৩৬ অপরাহ্ন / ৩২০
“হোসেনপুরে ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে বরই গাছ”

“হোসেনপুরে ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে বরই গাছ”
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি –
ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে প্রতিটি বরই গাছ। এরই মধ্যে মুকুল আসতে শুরু করেছে। ফুলের দরুণ বহুগুণ বেড়ে গেছে বরই গাছের সৌন্দর্য। কিশোরগঞ্জ হোসেনপুরে প্রতিটি বরই গাছে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। বড়ই ফুলের মিষ্টি ঘ্রাণে যেন হারিয়ে যায় মন। বরই ফুলের মিষ্টি ঘ্রাণে মৌমাছির ছুটোছুটি বাড়ছে। তাদের গুনগুন শব্দে মুখরিত চারপাশ। পরাগায়ণ ও মধু সংগ্রহের জন্য ব্যস্ত সময় পার করছে মৌমাছির ঝাঁক। টক-মিষ্টি স্বাদের বরই নারী-পুরুষ সবারই পছন্দ। এটি ‘কুল’ নামেও পরিচিত। যে যে নামে সম্বোধন করুক সকলের পছন্দের ফল এটি। বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে বরই গাছে ফুল আসে। ফল ধরতে ধরতে নভেম্বর-ডিসেম্বর। এ সময় কাঁচা পাকা বরই-এ ভরে থাকবে প্রতিটি গাছ। ছোট-বড় সবাই বড়ই খেতে ছুটে আসবে বড়ই গাছতলায়।
সরেজমিন দেখা গেছে,উপজেলা জগদল ,  পুমদী,গোবিন্দপুর ,জিনারী , আড়াইবাড়িয়া , জুড়ে বাগান থেকে শুরু করে বাড়ির আঙিনার বরই গাছগুলো ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে। নাক ফুলের মতো দেখতে বরই ফুলের রাজ্যে পিঁপড়াদের দৌড়াদৌড়ি আর মৌমাছিদের আনাগোনা বেড়েছে। যেখানে দেশি বরই থেকে শুরু করে কাশমেরী কুল ও আপেল কুলের বাগান শোভা পাচ্ছে। প্রতিটি বরই গাছে যেন ফুলের সমারোহ। ফুল থেকে উঁকি দিচ্ছে মুকুল। এমন সৌন্দর্য মুগ্ধ করছে প্রকৃতিপ্রেমী সবাইকে।
জীবন মিয়া জানান, বড়ই আমার অত্যন্ত পছন্দের ফল। সেই জন্যই কাশ্মিরি কুল বাগান করেছি। ফুল এসেছে পর্যাপ্ত। ফলও ধরতে শুরু করেছে। আশা করি ভালো ফলন পাবো। উপজেলার গোবিন্দপুর  ইউনিয়নের নৈপুররা  গ্রামের বাসিন্দা  মো. চান মিয়া  বাড়ির আঙিনায় রয়েছে ৩ টি দেশী বরই গাছ। প্রতিটি বরই গাছে শোভা পাচ্ছে ফুল ও ফুল থেকে বের হওয়া ছোট ছোট মুকুল। উপজেলা কৃষি অফিসার বলেন, হোসেনপুর  ২হ্যাক্টর  পরিমাণ জমিতে বরই চাষ হয়ে থাকে। এরমধ্যে ১ হেক্টর জমিতে কাশ্মিরি কুল বাগান রয়েছে। তিনি জানান, বরই চাষে তুলনামূলক কম খরচে অধিক লাভবান হওয়া যায়। পতিত জমি ফেলে না রেখে এমন জমিতে বরই গাছ রোপন করলে বাড়তি আয় করা সম্ভব।