সুন্দরবনে ফাঁদসহ নানা কৌশলে হরিণ শিকারে মেতেছে চোরা শিকারীরা। 


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ১, ২০২৩, ৬:০৩ অপরাহ্ন / ৬০৫
সুন্দরবনে ফাঁদসহ নানা কৌশলে হরিণ শিকারে মেতেছে চোরা শিকারীরা। 
সুন্দরবনে ফাঁদসহ নানা কৌশলে হরিণ শিকারে মেতেছে চোরা শিকারীরা। 
মোঃ শামীম হোসেন- খুলনা –
ফাঁদসহ নানা কৌশলে সুন্দরবনে হরিণ শিকারে মেতে উঠেছে চোরা শিকারীরা। এসব হরিণের মাংস আবার বন সংলগ্ন খুলনার দাকোপের বিভিন্ন এলাকায় হরহামেশা বিক্রি হচ্ছে। হরিণ শিকারের পাশাপাশি এসব শিকারীর কাছ থেকে অন্যান্য বণ্য প্রাণীও রেহাই পাচ্ছে না।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব ও পশ্চিম সুন্দরবনের কোল ঘেষা উপজেলার সুতারখালী, কালাবগী, নলিয়ান, কালিনগর, কৈলাশগঞ্জ, রামনগর, বানিশান্তা, ঢাংমারী, খেজুরিয়া ও লাউডোব এলাকা রয়েছে। এসব এলাকার চিহ্নিত কয়েকটি হরিণ শিকারী চক্রের সদস্যরা বেশ কিছুদিন যাবৎ সুন্দরবনে অবাধে ফাঁদসহ নানা কৌশলে হরিণ শিকার করে আসছে। বনবিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে চুরি করে সুন্দরবনে ঢুকে অনেক লম্বা ফাঁদসহ নানা কৌশলে হরিণ শিকার করে খুব সহজেই লোকালয়ে নিয়ে আসে ওই চক্রের সদস্যরা। পরে বিভিন্ন এলাকা থেকে অগ্রিম অর্ডার নেয়া লোকজনের নিকট কেজি প্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা দরে নগদ ও বাকিতে বিক্রি করছে। মাঝে মধ্যে বনবিভাগ ও কোস্টগার্ডের কাছে হরিনের মাংস ও চামড়াসহ এসব শিকারী চক্রের দুই একজন সদস্য ধরা পড়ে কয়েকটি মামলা খেলেও কখনও থেমে নেই হরিণ শিকার। এসব শিকারী চক্রের কোন কোন সদস্য আবার পালিয়েও যায় বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া স্থানীয় বেশ কয়েকজন ক্ষমতাশিন দলের প্রভাবশালী নেতা ও জন প্রতিনিধিরা এসকল শিকারী চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে ইচ্ছামত হরিণের মাংসসহ নানা সুযোগ সুবিধা নিয়ে থাকে বিধায় হরিণ শিকার কিছুতেই বন্দো হচ্ছে না বলে এলাকার সচেত মহলের অভিযোগ। এমনিভাবে চোরা শিকারীদের সুন্দরবনে হরিণ নিধন চলতে থাকলে আগামীতে এ চিত্রল মায়াবী হরিণ বিলুপ্ত হতে পারে বলে ওই মহল মনে করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকার একাধিক ব্যক্তি বলেন, চিহ্নিত হরিণ শিকারী চক্রের সদস্যরা প্রতি অমাবশ্যা ও পূর্নিমার গোনে গোপনে বনে ঢুকে ফাঁদসহ নানা কৌশলে হরিণ শিকার করে এলাকায় এনে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে। এবিষয়ে এলাকার কোন লোক মুখ খুললে এলাকার কথিত প্রভাবশালী নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের রোষানলে বিভিন্ন রকমের হয়রানির স্বীকার হতে হয়। শুধু হরিণ নয় এসব শিকারীর হাত থেকে সজারুসহ বনের অন্যান্য বণ্য প্রাণীও রেহাই পায় না। ওই চোরা চক্রের সদস্যদের নামে হরিণ শিকারের একাধিক মামলা থাকলেও তারা বহালতবিয়তে এই অপকর্ম চালিয়ে আসছেন বলে তারা জানান। এবিষয়ে কোষ্টগার্ড পশ্চিম জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেঃ কমান্ডার বিএন আব্দুর রহমান জানান, গত কয়েকদিন আগে ৩৬ কেজি হরিণের মাংসসহ এক ব্যক্তিকে বানিশান্তা বাজার থেকে আটক করা হয়। এছাড়া গত এক বছরে অভিযান চালিয়ে মোট ১৪৮ কেজি হরিণের মাংসসহ ৫টি চামড়া, ২টি মাথা, ৪টি পা ও ১টি ভুড়ি জব্দ করা হয়েছে। এঘটনায় ৫ জনকে আটকের পর মামলা দিয়ে কোর্ট হাজতে পাঠানো হয়। এ অভিযান সব সময়ে অবহ্যত থাকবে বলে তিনি জানান। এব্যাপারে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মোঃ শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, হরিণ শিকারীদের তৎপরতা আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছুদিন আগেও কয়েকজনকে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে কোর্ট হাজতে পাঠানো হয়েছে। তা ছাড়া কোষ্টগার্ডও আমাদের কাছে কয়েকজনকে হস্তান্তর করে। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া সোর্সের মাধ্যমে খবর নিয়ে চোরা শিকারী চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে আগাম ব্যবস্থাসহ আমাদের টহল অব্যহত আছে।
না ফেরার দেশে বর্ষিয়ান আওয়ামীলীগ নেতা শেখ আব্দুল মান্নান শোকাহত পরিবারের পাশে এমপি বাবু ।                    শেখ খায়রুল ইসলাম পাইকগাছা খুলনা প্রতিনিধি :
না ফেরার দেশে বর্ষিয়ান আওয়ামীলীগ নেতা শেখ আব্দুল মান্নান।শোকাহত পরিবারকে সান্তনা দিতে কবরস্থানে হাজির হলেন খুলনা-৬ সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবু।সফর সঙ্গী ছিলেন,উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু,চেয়ারম্যান শিয়াবুদ্দীন ফিরোজ বুলু,হরিঢালী পুলিশিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব শেখ রফিকুল ইসলাম সহ পাইকগাছা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন হতে আগত আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।উপস্থিত ছিলেন এলাকার সুধীজন মুরুব্বিজন মরহুমের আত্মীয়-স্বজন পাড়া-প্রতিবেশী সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী উপস্থিত ছিলেন। মরহুম শেখ আব্দুল মান্নানের জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হয় ৬ নং সলুয়া রামনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে।
খুলনার পাইকগাছায় আওয়ামীলীগের বিজয় মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত।
শেখ খায়রুল ইসলাম পাইকগাছা খুলনা প্রতিনিধি :
খুলনা-৬ সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবু বলেছেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আমরা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করি বিজয়ের মাসে এটাই হোক আমাদের দৃঢ় প্রত্যয়। শনিবার পাইকগাছার কপিলমুনিতে বাংলাদেশ  আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আয়োজিত  বিজয় মিছিল ও পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন, খুলনা-৬ সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবু।মিছিল শেষে ধান্য চত্বরে শেখ ইকবাল হোসেন খোকনের সভাপতিত্বে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।সেখানে ও প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা-৬ সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু।সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু,আওয়ামীলীগ  নেতা আনন্দ মোহন বিশ্বাস, ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়ার্দার, আবুল কালাম আজাদ,কাজল কান্তি বিশ্বাস,ভাইস চেয়ারম্যান শিয়াবুদ্দীন ফিরোজ বুলু প্রমূখ।