“সুনীতি প্রতিষ্ঠা ও কল্যাণ সমিতি”র বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখল ও দোকানপাট নির্মাণের অভিযোগ।


প্রকাশের সময় : মার্চ ৭, ২০২৩, ৮:১৯ অপরাহ্ন / ৪৬৫
“সুনীতি প্রতিষ্ঠা ও কল্যাণ সমিতি”র বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখল ও দোকানপাট নির্মাণের অভিযোগ।

“সুনীতি প্রতিষ্ঠা ও কল্যাণ সমিতি”র বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখল ও দোকানপাট নির্মাণের অভিযোগ।
সানজিম মিয়া – গংগাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি
রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার বকশিগঞ্জ বাজার সংলগ্ন সরকার অনুমোদিত একটি ক্লাবের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখল করে দোকানপাট নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের মনিরাম (মুন্সিপাড়া) গ্রামের বাবুল আখতার উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কার্যালয় ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক বরাবর উক্ত ক্লাবের নিবন্ধন বাতিলসহ ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত আবেদন করেন।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুনীতি প্রতিষ্ঠা ও কল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা মৃত মোফাজ্জল হোসেন (চটকু সাহেব) ও জমি দাতা মৃত আফজালুল হক (হিরু) উভয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়েছিল। তাদের মৃত্যুর পর প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে কমিটির সদস্যরা ২০০৬ বা ২০০৭ সাল নাগাদ নিজেদের সুবিধামত সেটি অন্যত্র স্থানান্তর করে বকশিগঞ্জ তালুকভূবন নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ হিসেবে ভাড়া দেয়। পরবর্তীতে ১৯ সালে জমিজমার দাম বৃদ্ধি পেলে বাবুল আখতারের ব্যাক্তিগত ৩ শতাংশ জমি জবর দখল করে দোকানপাট নির্মাণ করেন কমিটির সদস্যরা।
মামলার প্রেক্ষিতে কোর্টের আদেশে তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে আলমবিদিতর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম ৩ শতক বাদির এবং ৩ শতক বিবাদীর দখলে আছে উল্লেখ করে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। অভিযোগপত্রেও তাই ছিলো। ক্লাবের সদস্য আব্দুল মালেক,শহিদুল ইসলাম,এনামুল হক,আব্দুল জলিল,মোখলেছুর রহমান,আবদুল কাদের ৬ জন মিলে ৩ শতক জবরদখল করে দোকানপাট নির্মাণ করেছেন।
এ ব্যাপারে গংগাচড়া উপজেলা সহকারী সমাজ সেবা কর্মকর্তা হানিফ উদ্দিন আহম্মদ জানায়, উক্ত ক্লাবের বিষয়ে ডিডি স্যার প্রতিবেদন চেয়েছিল আমরা তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন পাঠিয়ে দিয়েছি।
ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা ও উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তার বক্তব্যে এবং প্রতিবেদন পর্যালোচনা করেও ব্যাবস্থা গ্রহণে গড়িমসির কারন জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয় রংপুর সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক আব্দুল মতিনের সাথে। তিনি বিষয়টি শুনেও কোনও সদুত্তর দেননি।

সানজিম মিয়া
গংগাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি
০১৩১৫-১৫৭২৭২
নীলফামারীর ডিমলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে পোকাযুক্ত ও নিম্নমানের চাল বিতরণ।
ডিমলা ( নীলফামারী) প্রতিনিধি –
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ এই শ্লোগানে দেশের অসহায় ও অতিদরিদ্রদের মাঝে ১৫টাকা কেজি দরে চাল বিতরণকৃর্ত (এফএফপি) চালে পোকা এবং নিম্নমানের চাল বিক্রয়ের অভিযোগ মিলেছে। তবে দপ্তরিক জটিলতায় চাল পৌছে নি ২টি ডিলার পয়েন্টে।
অফিস সূত্রে জানা গেছে উপজেলায় ৪১ জন ডিলারের মাধ্যমে ২০ হাজার ৫ শত ৩৯ জন সুবিধা ভোগীর মাঝে খাদ্য অধিদপ্তরের অধিনে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী (এফএফপি) আওতায় এ চাল বিক্রয় করে আসছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী’র দীর্ঘদিনের পুরাতন, পচা, ইটের টুকরা মেশানো, দুর্গন্ধ ও পোকাযুক্ত নিম্নমানের চাল বিক্রি করছে। এসব চাল ডিমলা উপজেলার খাদ্যগুদাম সরবরাহ করেছে বলে জানিয়েছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী’র ডিলারগণ।
টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের সুবিধাভোগী মো. ফরহাদ হোসেন, খবির উদ্দিন, আবুল কালামসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, আগে ১০ টাকা চালের কেজি নিয়েছে সেগুলো অনেক ভালো ছিল কিন্তু ১৫ টাকা কেজি নিচ্ছে তবুও পুরনো, পঁচা, দুর্গন্ধ ও পোকাযুক্ত চাল। ডিলারকে বলেছি কিন্তু ওনার তো কিছু করার নেই। ওনারা বলেছে আমাদের কিছুই করার নেই যে চাল আসে সেই চাল  আমরা বিক্রয় করি।
দক্ষিণ খড়িবাড়ী গ্রামে রাশিদা বেগম বলেন, মুই গরিব মানসি হামার শেখের বেটি হাসিনা মাই অল্প টাকাত চাউল দিছে সেই চাউলের ভাত খাবারে পাওনা পোঁকা, পঁচা, চাউলে গোন্ধ আইসে। মানসি গিলার(ডিলারের নিকট) এত্তি আসনুং ওমা তো ফিরি দেইল।
এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ডিলার পয়েন্টগুলোয় ভালো চালের আশায় তারা প্রতিবাদ করে আসছেন। কিন্তু বিষয়টি নজরে নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আর পঁচা চাল ফেরত দিতে ক্রেতারা গেলে উল্টো ডিলারের অসদাচরণের স্বীকার হচ্ছেন সুবিধাভোগীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ডিলার জানান, খাদ্যগুদাম থেকে আমাদের বিক্রয় পয়েন্টে যে চাল সরবরাহ করা হচ্ছে বেশি ভাগেই চালে পোকা, ভাঙ্গা, ছত্রাকযুক্ত। এবিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। কিন্তু অবগত করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না।
উপজেলা খাদ্য ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-এলএসডি) মোছা. কাজল রেখা বলেন, গোডাউন থেকে যে চাল সরবরাহ করা হয়েছে সে চালে কোনো পোঁকা নেই। রাতারাতি পোঁকা আসতে পারে। আর খাদ্যদ্রবে পোঁকা আসবে এটাই স্বাভাবিক। তার কিছু পরেই তিনি বলেন, দুই একটা বস্তায় পোঁকা থাকতে পারে বলে ফোন কেটে দেন।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. এনামুল হক বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এলএসডির সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেব।
নীলফামারী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. হারুন-অর-রশিদ  বলেন, নিম্নমানের চালের ব্যাপারে তার কাছে এখনো কোনো উপকারভোগী এবং ডিলারগণ কিছুই জানাননি। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এবং এলএসডির সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।

পরিকল্পনার অভাবে কোটি কোটি টাকা গচ্ছা দিতে হবে। 

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি –
সঠিক পরিকল্পনার অভাবে ডোমার উপজেলার চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে নতুন অনেক স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে। এতে সরকারের কোটি কোটি টাকা ঘাটতি যাচ্ছে। কয়েক বছর আগে পরিকল্পনা মাফিক ভবনসহ স্থাপনা গুলি নির্মাণ না করায় এগুলি ভেঙ্গে ফেলে পুনরায় অন্য স্থানে নির্মাণ কাজ করা হবে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য ওয়াসফিট, উদ্ধতন উপসহকারী প্রকৌশলী, ক্যারেস ও সিকলাইন কার্যালয়। প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে উদ্ধতন উপসহকারী প্রকৌশলী, ক্যারেস ও সিকলাইন কার্যালয়টি স্থাপন করা হলেও এইচ,এন,এম কোম্পানির কাছে ৩ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। ওই ভবনটি পুনরায় স্থাপন করতে সরকারকে আবারো কোটি টাকা গচ্ছা দিতে হবে। এ ব্যাপারে রেলের কোন কর্মকর্তা মুখ খুলতে রাজি হচ্ছে না মোঃ রবিউল ইসলাম চিলাহাটি প্রতিনিধি মোবাইল নাম্বার 01714947175