সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে কয়লা চুরি বন্ধে শুল্ক ষ্টেশনে কয়লা পরিবহন বন্ধের ডাক দেয়া হয়।


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ২৫, ২০২৩, ৬:৫২ অপরাহ্ন / ৫২৪
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে কয়লা চুরি বন্ধে শুল্ক ষ্টেশনে কয়লা পরিবহন বন্ধের ডাক দেয়া হয়।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে কয়লা চুরি বন্ধে শুল্ক ষ্টেশনে কয়লা পরিবহন বন্ধের ডাক দেয়া হয়।
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ-
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের চারাগাও শুল্ক ষ্টেশনের তিন শতাধিক আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী জিম্মি হয়ে পড়েছেন এলাকার একটি চিহ্নিত কয়লা চোর সিন্ডিকেটের হাতে।
কয়লা চুরি বন্ধের দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের বড়ছড়া ও চারাগাও শুল্ক ষ্টেশনে কয়লা পরিবহন বন্ধের ডাক দেয়া হয়।
পরে এ নিয়ে সকাল ১১টায় গ্রুপের সভাপতি হাজী আলকাছ উদ্দিন খন্দকার এর নেতৃত্বে উপজেলার চারাগাও শুল্ক ষ্টেশনের বৈঠাখালী নদীর তীরে আমদানিকারক, ব্যবসায়ী, লোড, আনলোড শ্রমিক ও শ্রমিক সরর্দারদের নিয়ে কয়লা চুরি বন্ধে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন, গ্রুপের উপদেষ্টা ও তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী আবুল হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক অমল কান্তি কর, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জিয়াউল হক, তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ ইফতেখার হোসেন, গ্রুপের কার্যনির্বাহী সদস্য ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব খসরুল আলম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন খন্দার লিটন, গ্রপের সহ-সভাপতি হাজী ফরিদ গাজী, কোষাধক্ষ হাজী জাহের আলী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের, প্রচার সম্পাদক হাজি ছিদ্দিক মিয়া, উত্তর শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও আমদানিকারক আলী হায়দার, ইউপি চেয়ারম্যান হাজী এম ইউনুছ আলী প্রমুখ।
ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, তারা কয়লা চুরি করেই ক্ষান্ত হয়না ওই চোরাইকৃত কয়লা অন্য কাউকে কিনতে দেয়না। শুধুমাত্র তারাই কিনতে পারবে চোরাইকৃত এসব কয়লা। চারাগাও শুল্ক ষ্টেশনে চুরির কারনে দিন দিন এই ষ্টেশনে ব্যবসায়ীরা আসার সংখ্যা কমে যাচ্ছে। কারন তাদের চোখের সামনেই এই সিন্ডিকেট কয়লা চুরি করালেও কেউ এর প্রতিবাদ করার সাহস পায়না।
সভায় বক্তারা বলেন, গত কয়েক বছর ধরে চারাগাও শুল্ক ষ্টেশনের একটি চিহ্নিত চোর সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি হয়ে বছরে কোটি কোটি টাকার লোকসান গুনতে হচ্ছে আমদানিকারক ও এখানে আসা ব্যবসায়ীদের । এ চক্রটি স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় থেকে শুল্ক ষ্টেশনে গত কয়েক বছর ধরে কয়লা পরিবহনের সময় কয়লা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। কেউ তাদের এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বললে রাতের আধারে তাদের বাহিনী দিয়ে নির্যাতনসহ নানা ধরণের হয়রানী করা হয় আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের। এসব বিষয়ের উপর জোড়ালে প্রতিবাদ করে চারাগাও শুল্ক ষ্টেশন দিয়ে আমদানি কার্যক্রম বন্ধ করার হুশিয়ারিও দেন আমদানিকারকগণ।
সভা শেষে বৈঠাখালী থেকে ফেরার পথে আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি হাজি আলকাছ উদ্দিন খন্দকার, অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মোহাম্মদ ইফতেখার হেসেন, বিশিষ্ট আমদানিকারক জিয়াউল হকের সহযোগীতায় চুরি করে বিভিন্ন যায়গায় স্তুপ করে রাখা ১০ লক্ষ টাকা মূল্যের ৪ মে.টন চোরাই কয়লা জব্দ করা হয়।
এ সময় কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের উপদেষ্টা হাজী আবুল হোসেন খান, সভাপতি হাজী আলকাছ উদ্দিন খন্দকার, অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, আজকের পর থেকে কোন কয়লা চুরির ঘটনা ঘটলে তার দায়ভার বহন করবে কয়লা পরিবহনের সংশ্লিষ্ট শ্রমিক সর্দারগণ। এবং যেখানে যার দখলেই চোরাই কয়লা পাওয়া যাবে তার বিরুদ্ধে গ্রুপ কর্তৃক মামলা দায়ের করা হবে।
শওকত হাসান, সুনামগঞ্জ
০১৭১৭৯৮৬২৩২
২৪.১.২৩
শিক্ষা কর্মকর্তা প্রত্যয়ন দেন না বলে ব্যাংক ঋণ নিতে পারছেন না প্রাইমারী শিক্ষকেরা।
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি –
মাধবপুরে উপজেলা শিক্ষা অফিসার(ইউইও) এর অসহযোগীতার কারনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা ব্যক্তিগত প্রয়োজন পূরনে তাদের বেতনের বিপরীতে ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারছেন না।ব্যাংক ঋণ নিতে শিক্ষা অফিসারের সুপারিশ অত্যাবশ্যক হলেও নিয়ম না থাকার অজুহাত তুলে শিক্ষা অফিসার সুপারিশ না করায় বিপত্তিতে পড়েছেন শত শত শিক্ষক। শিক্ষা অফিসার বলেছেন শিক্ষকদের ব্যাংক ঋণ গ্রহনের সুপারিশ করার কোনো নিয়ম নেই।
একাধিক শিক্ষক জানিয়েছেন তারা তাদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক প্রয়োজনে বেতনের বিপরীতে ঋণ নিতে আগ্রহী হলেও উপজেলা শিক্ষা অফিসার ছিদ্দিকুর রহমানের অনমনীয় মনোভাব ও অসহযোগীতার কারনে ঋণ সুবিধা নিয়ে প্রয়োজন মেটাতে পারছেন না।বাধ্য হয়ে অনেকেই চড়া সুদে মহাজনদের কাছ থেকে বন্দকী ও সুদী ঋণ নিয়ে সুদে আসলে পরিশোধ করতে গিয়ে সর্বশান্ত হচ্ছেন।অনুসন্ধানে জানা গেছে প্রাথমিক শিক্ষকদের মাসিক বেতন সোনালী ব্যাংক মাধবপুর শাখা থেকে প্রদান করা হয়।ওই ব্যাংকের সাথে বর্তমানে
মাধবপুর উপজেলার বিভিন্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অন্তত ৪৫০ জন শিক্ষকের ঋণ লেনদেন রয়েছে বলে ব্যাংক সূত্র নিশ্চিত করেছে।গত কদিনে আরো অন্তত ৫০ জন শিক্ষক ঋণ নেওয়ার জন্য সোনালী ব্যাংকের ওই শাখায় যোগাযোগ করেছেন জানিয়ে সূত্রটি জানায় শিক্ষা কর্মকর্তার সুপারিশ সম্বলিত প্রত্যয়ন না থাকায়  ব্যাংকের পক্ষে এসব শিক্ষকদের ঋণ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।প্রায় ৬ মাস ধরে শিক্ষা কর্মকর্তা শিক্ষকদের ঋণ আবেদনে সুপারিশ করছেন না বলে একাধিক শিক্ষক জানিয়েছেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র শিক্ষা কর্মকর্তা ব্যাংক ঋণ প্রাপ্তির আবেদনে শিক্ষা কর্মকর্তার সুপারিশ না করার বিষয়টি স্বীকার করে বলেছে ব্যাংক ঋণ গ্রহণ করার জন্য শিক্ষকদের আবেদনে সোনালী ব্যাংকের সংস্লিষ্ট শাখা প্রত্যয়নপত্র চাইতে পারে না।এটা চাওয়ার কোনো অধিকার তাদের নেই।শিক্ষা অফিস শিক্ষকদের স্যালারি স্টেইটমেন্ট দিতে পারে।প্রত্যয়ন দিতে শিক্ষা অফিসের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
তাহলে এর আগে ৪৫০ জন শিক্ষক কিসের ভিত্তিতে ব্যাংক ঋণ পেলেন এমন প্রশ্নের কোনো জবাব দিতে পারেনি সূত্র।পার্শ্ববর্তী একটি উপজেলার শিক্ষা অফিসারের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে বলেন শিক্ষকদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক নানা প্রয়োজনে ঋণ গ্রহণ আবশ্যক হতেই পারে।বিষয়টি এমন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলেই আর জটিলতা তৈরী হয় না।সোনালী ব্যাংক মাধবপুর শাখার ব্যবস্থাপক গাজীউল হাসান জানান, ‘শিক্ষকদের আমরা ঋণ সুবিধা দিতে আগ্রহী।শিক্ষকেরাও ঋণ নিতে আসেন।কিন্তু ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী কিছু শর্ত রয়েছে।শর্ত পূরণ হচ্ছে না বলেই আমরা ঋণ মঞ্জুর করতে পারছি না।তবে শিক্ষকদের বিভিন্ন প্রয়োজনে ঋণ গ্রহণ আবশ্যক হতেই পারে।’
এ ব‍্যাপারে মাধবপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার ছিদ্দিকুর রহমান জানান, সুপারিশ বা প্রত্যয়ন দেওয়ার নিয়ম নেই তাই দেওয়া হয় না।তাহলে আগে যেসব শিক্ষক ব্যাংক ঋণ নিয়েছেন তাদেরকে কোন নিয়মে দিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আগে দিয়েছি,এখন দেই না।’
##
বার্তা প্রেরক
নাহিদ মিয়া
মাধবপুর,(হবিগঞ্জ)
০১৭৫২১৮২৪৬৭