সিলেটে হঠাৎ শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১, ২০২৪, ১২:৩৬ অপরাহ্ন / ৬৭
সিলেটে হঠাৎ শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি

মোঃ মোহন আহমদ স্টাফ রিপোর্টার :: রবিবার ( ৩১ মার্চ) রাতে সিলেট নগরে দমকা বাতাসহ শিলাবৃষ্টি হয়েছে, এসময় ছোট ছোট বজ্রপাতও হয়েছে।
নগরের ফুটপাতগুলোতে ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে বসা ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের জিনিসপত্র ভিজে যায়। এতে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা নিম্নআয়ের লোকজনও খানিকটা বিড়ম্বনায় পড়েন। তবে কিছুটা হলেও দূর হয় নগরের ধুলাবালি।

আকাশ থেকে পড়া বড় বড় শিলাখণ্ডের আঘাতে নগরের অনেক বাসাবাড়ির জানালার কাচ ভেঙে গেছে। যানবাহনেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রায় ১৫ মিনিট ধরে এই ঝড় হয়।

সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, বছরের এই সময়ে ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টিকে কালবৈশাখী বলা হয়ে থাকে। কালবৈশাখীতে শিলাবৃষ্টি হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চৈত্রের শেষ ও বৈশাখের শুরুতে দক্ষিণ-পশ্চিমা মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে কালবৈশাখী হয়। এ সময় বৃষ্টির ফোঁটাগুলো পড়ার সময় প্রায়ই মাঝপথে বাতাসের ঊর্ধ্বমুখী চাপের মধ্যে পড়ে। ফলে বৃষ্টির ফোঁটাগুলো নিচে নামতে নামতে তার কিছু অংশ আবার ওপরে উঠতে শুরু করে এবং আরও ঠান্ডা হতে থাকে। ঘনীভূত পানির ফোঁটাগুলো আরও ভারী হয়ে আবার নিচে নামতে থাকে এবং আবার গরম বাতাসের ঊর্ধ্বমুখী চাপে পড়ে তার কিছু অংশ আবার ওপরে উঠতে থাকে। কয়েকবার ওঠানামা করতে করতে পানির ফোঁটাগুলোর কিছু অংশ ছোট ছোট বরফখণ্ডে পরিণত হয়। এগুলো বেশি ভারী বলে আর ওপরে উঠতে পারে না। বৃষ্টির ধারার সঙ্গে নিচে নেমে আসে। এটাই শিলাবৃষ্টি। শিলাবৃষ্টির প্রধান শর্ত প্রচণ্ড গরম। চৈত্র–বৈশাখ মাসে এ রকম গরম পড়ে। ফলে কালবৈশাখীর সময় শিলাবৃষ্টি হয়।