“সাতক্ষীরা শ্যামনগরে ১২ নভেম্বরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে উপকূল দিবস ঘোষণাসহ চারদফা দাবিতে নানা কর্মসূচি পালিত”


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১৩, ২০২২, ৫:৩১ অপরাহ্ন / ২৮৬
“সাতক্ষীরা শ্যামনগরে ১২ নভেম্বরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে উপকূল দিবস ঘোষণাসহ চারদফা দাবিতে নানা কর্মসূচি পালিত”

“সাতক্ষীরা শ্যামনগরে ১২ নভেম্বরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে উপকূল
দিবস ঘোষণাসহ চারদফা দাবিতে নানা কর্মসূচি পালিত”

আজমাইন ইখতেদার তুরাজ, সাতক্ষীরা –

১২ নভেম্বরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে উপকূল দিবস
ঘোষণাসহ চার দফা দাবিতে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে নানা কর্মসুচি পালিত
হয়েছে। এ উপলক্ষে শনিবার (১২ নভেম্বর) উপজেলার নীলডুমুরে র‌্যালি, মানববন্ধন ও
আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ উপলক্ষে উপকুলীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি বিশাল র‌্যালি বের হয়ে
নীলডুমুর বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে বনবিভাগের অফিস
সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে মানববন্ধন ও আলোচনাসভায় মিলিত হয়।
উপকূলীয় প্রেসক্লাবের আয়োজনে এবং পরিবেশ উন্নয়ন ক্লাব, সুন্দরবন
স্টুডেন্টস সলিডারিটি টিম, সিডিও ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের
সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা ভাইস
চেয়ারম্যান প্রভাষক সাইদুজ্জামান সাইদ, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের
সভাপতি জি এম আকবর কবীর, উপকূলীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল হালিম,
বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, উপকূল বাঁচলে দেশ বাচঁবে। উপকূলীয় এলাকাকে বাদ দিয়ে
সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী হলো ধনী দেশগুলো,
কিন্তু তার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উপকূলের মানুষ। এভাবে চলতে থাকলে উপকূলীয়
এলাকা বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে।
চার দাবীর মধ্যে অন্যান্য দাবিগুলো হলো, উপকূলে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও
বাঁধ নির্মাণে স্থানীয়দের মতামত গ্রহণ, জলবায়ুর পরিবর্তনের জন্য দায়ী ধনী
দেশগুলোর নিকট থেকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ আদায় ও কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে বাধ্য করা
ও উপকূলীয় এলাকার উন্নয়নে পৃথক উপকূল উন্নয়ন বোর্ড গঠন।