সাতক্ষীরায় শেষ হলো বিশে^র সর্ববৃহৎ হাতে লেখা কুরআন শরীফের দুই দিন ব্যাপী প্রদর্শনী শেষ হয়েছে।


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ১৯, ২০২২, ৭:৪৭ অপরাহ্ন / ৩৯৫
সাতক্ষীরায় শেষ হলো বিশে^র সর্ববৃহৎ হাতে লেখা কুরআন শরীফের দুই দিন ব্যাপী প্রদর্শনী শেষ হয়েছে।

সাতক্ষীরায় শেষ হলো বিশে^র সর্ববৃহৎ হাতে লেখা কুরআন শরীফের দুই দিন ব্যাপী প্রদর্শনী শেষ হয়েছে।

আজমাইন ইখতেদার তুরাজ, সাতক্ষীরা-

৪০৫ কেজি ওজনের ১৪২ পাতার কুরআন শরীফ হাতে লিখে সবাইকে অবাক
করল ব্যবসায়ী হাবিবুর সাতক্ষীরায় বিশে^র
সর্ববৃহৎ হাতে লেখা ৪০৫ কেজি ওজনের ১৪২ পাতার কুরআন
শরীফ হাতে লিখে সবাইকে অবাক করল ব্যবসায়ী হাবিবুর । তার
লেখা কুরআন শরীফের দুই দিন ব্যাপী প্রদর্শনী শেষ হয়েছে
রবিবার সন্ধ্যায়। শনিবার (১৭ই ডিসেম্বর) সকালে সাতক্ষীরা
শহরের মেহেদীবাগস্থ মসজিদে কুবা কমপ্লেক্সে এই সর্ববৃহৎ
কুরআন শরীফ প্রদর্শনী’র উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা জেলা
আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ¦
নজরুল ইসলাম।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ হাতে লেখা কুরআন শরীফটি এক নজরে দেখার
জন্য দিনভর দলে দলে মানুষ মাসজিদে কুবা কমপ্লেক্সে ছুটে যান।
একে অপরের মুখে কথা ছিল এমন হাতে লেখা কুরআন শরীফটি
আগে কখনো দেখিনি। কুরআন শরীফটি সাদা কাগজে লাল,নীল
সহ বিভিন্ন রঙের কালিতে শোভা বর্ধন করে পবিত্র কুরআনে
পরিনত হয়েছে। সাতক্ষীরা শহরের মেহেদীবাগ মসজিদে কুবা
কমপ্লেক্সে কুরআন শরীফ প্রদর্শনী দেখার জন্য বেশ আগে থেকেই
স্থানীয় সহ পাশ্ববর্তী এলাকার লোকজন জড়ো হতে থাকে। পুরুষ,
মহিলা, শিশু, কুরআন প্রেমিক সহ সব বয়সের মানুষ
উপস্থিতিতে মেহেদীবাগ এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
মূলত, সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকার হাবিবুর রহমান এক
সময়ে শিক্ষকতা করলেও বর্তমানে তিনি একজন ব্যবসায়ী।
তিনি ২০১৬ সালের পহেলা জানুয়ারি কুরআন শরীফ হাতে লেখা
শুরু করে চলতি বছরের অর্থাৎ ২০২২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর লেখা শেষ
করেন। এ কুরআন শরিফের দৈর্ঘ্য ৩৩৫ সেন্টিমিটার, প্রস্থ ২৬৪

সেন্টিমিটার, ওজন ৪০৫ কিলোগ্রাম। দীর্ঘ ৬ বছর ৮ মাস ২৩
দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে ১৪২ পাতার কুরআন শরীফ হাতে
লিখেছেন তিনি। এতে ৩,৪০৮টি আর্ট পেপার ও ৬৬০টি কলম
ব্যবহার করেছেন তিনি।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ হাতে লেখা কুরআন শরীফের লেখক মো:
হাবিবুর রহমান বলেন, “এ কুরআন শরীফের পিছনে যে বিষয়ে
অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে আমি যখন ২০১৩ সালে সমাজসেবায়
কম্পিউটার চীফ ইন্সট্রাক্টর ছিলাম, ওখানে আমি প্রতিবন্ধী
বাচ্ছাদের দেখে একটা হাসপাতাল বানানোর চিন্তা মাথায়
আসে। যেহেতু আমার এ্যাবিলিটি ছিলোনা, ভাবছিলাম
আমি এমন কিছু করব যেটা বিশ^ রেকর্ড করবে। যা সহৃদয়বান
কোন ব্যক্তি এসে বা সংস্থার সাহায্যে তারই অর্থ নিয়ে আমি
আমার হাসপাতালটি করতে পারব। ২০১৩ সালের চিন্তা থেকে
আল্লাহ এক সময় কুরআনের ব্যাপারটা মাথায় আনলো। তখন
২০১৬ সালের পহেলা জানুয়ারী থেকে আমি আমার কুরআন
শরীফটি লেখা শুরু করি। তারপর দীর্ঘ ৬ বছর ৮ মাস ২৩ দিন পর
২০২২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর লেখা শেষ করি। এখন আমি চাই কোন
সহৃদয়বান ব্যক্তি আমার এই কুরআন শরীফ নিয়ে হাদিয়া স্বরূপ
আমাকে কিছু অর্থ দেয়। তাহলে সেই অর্থ দিয়ে আমি
প্রতিবন্ধী বাচ্ছাদের জন্য একটা হাসপাতাল নির্মাণ করতে
পারব।”
তিনি চান কুরআন শরীফটি আরো ব্যাপক আকারে পরিচিতি
লাভ করুক এবং সে জন্য তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ সহ
গণমাধ্যম কর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। জেলা পরিষদের
চেয়ারম্যান আলহাজ¦ নজরুল ইসলাম জানান, “বিশ্বের সবচেয়ে
বৃহৎ হাতে লেখা কুরআন শরীফের প্রদর্শণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত
থেকে ইতিহাসের সাক্ষী হতে পেরে ভাল লাগছে।”