সময় পেরিয়ে গেলেও শুরু হয়নি তাহিরপুরে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের কাজ। হতাশায় ভুগছে সাধারণ কৃষক।
স্টাফ রিপোর্টারঃ-
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো শুরু হয়নি মাটিয়ান হাওরের সব চেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের কাজ। হতাশায় ভুগছে সাধারণ কৃষক। বিগত পাহাড়ি ঢলের ভাঙ্গনে এ উপজেলার সর্ববৃহৎ ক্লোজারে পরিনত হয়েছে মাটিয়ান হাওরের পাঁচ নাইল্লা নামক বাঁধটি।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর নীতিমালা অনুযায়ী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু করে ২৮ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও মাটিয়ান হাওরের ঝুঁকিপূর্ণ পাঁচ নাইল্লা বাঁধসহ কোন বাঁধেই এখনো কাজ শুরু হয়নি।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানাযায়, সম্প্রতি ঝুঁকিপূর্ণ পাঁচ নাইল্লা বাঁধটি সহ উপজেলার ৩০ গুরুত্বপূর্ণ বাঁধের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) কমিটি অনুমোদন হয়েছে। কিছু কিছু হাওরে বাঁধের কাজ শুরু হলেও ঢিলে ঢালা ভাবে চলছে কাজ। স্থানীয় মাটিয়ান হাওর পাড়ের কৃষকগণ জানায়, এ ফসল রক্ষা বাঁধের সাথে জড়িত মাটিয়ান হাওর পাড়ের কৃষকের জীবন জীবিকা ও স্বপ্ন। এ হাওরে ১৫ হাজার একর জমিতে বোর ধান রোপণ করা হয়েছে । এই সোনালী ফসলের উপর তাদের সারা বছরের খাবার, ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া সহ সামাজিক কর্মকাণ্ড জড়িত। কোন কারনে যদি ফসল হানি হয় তাহলে হাওর পাড়ে নেমে আসবে দুর্ভিক্ষ। অন্ধকার কালো মেঘে ডেকে যাবে হাওর পাড়ের প্রতিটি কৃষক পরিবার।
মাটিয়ান হাওর পাড়ের কৃষক সাবেক ইউপি সদস্য মিলন মিয়ার সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, আমার কৃষকরা অনেক স্বপ্ন নিয়ে হাওরে বোর ধানের চারা লাগাচ্ছি। কিন্তু এখনো মাটিয়ান হাওরের সব চেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ পাঁচ নাইল্লাসহ কোন বাঁধের কাজেই শুরু হয়নি। বিশেষ করে পাঁচ নাইল্লা বাঁধটি দেখলেই দুশ্চিন্তায় মাথা ঘুরে। তিনি পাউবো ও প্রশাসনের উদ্দেশ্যে আরোও বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধসহ সব কয়টি ফসল রক্ষার বাঁধ যেন সঠিক সময়ে সঠিক ভাবে নির্মাণের কাজ শেষ করা হয়। এবং পাঁচ নাইল্লার ক্লোজারের প্রতি ফসল না উঠা পর্যন্ত প্রশাসনের সার্বক্ষণিক নজর রাখতে হবে।
মাটিয়ান হাওর পাড়ের বড়দল গ্রামের সমাজসেবক সাঞ্জব উস্তার বলেন, পাঁচ নাইল্লা বাঁধটি কৃষকের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এখনো কাজ শুরু হয়নি এতে করে ঝুঁকিতে পড়ছে হাজারো কৃষকের স্বপ্ন সোনালী ফসল। কর্তৃপক্ষে খুব দ্রুত কাজ শুরু করতে হবে। এবং এ বাঁধটির জন্য গত বছরের তুলনায় বরাদ্দ বাড়াতে হবে। সঠিক সময়ের ভিতরে মজবুত কাজ হতে হবে। এছাড়াও ফসল রক্ষায় মারাত্মক ঝুঁকি পড়বে।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড তাহিরপুর উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী শওকত উজ্জামান বলেন, আমরা ২২ডিসেম্বর প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠন করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রেরণ করেছি। এর মধ্যে তিনি ৩০টি পিআইসি’র অনুমোদন দিয়ে কাজের উদ্বোধন করে গেছেন অনেক আগেই। বাকী কমিটিগুলো খুব শীগ্রই যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দিবেন। তাহিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসান উর দৌলা বলেন, মাটিয়ান হাওরে ৩ হাজার ১শত ৫০ হেক্টর জমিতে বোর ধান চাষ করা হয়েছে। কৃষকের সোনালী ফসল রক্ষায় সরকার আন্তরিক। আমরা কৃষকের সোনালী ফসল রক্ষায় সব সময় কৃষকের পাশে থাকবো। প্রকৃতি অনুকূলে থাকলে কৃষক তার সোনালী ফসল ঘরে তুলবে ইনশাআল্লাহ। এ ব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা বলেন, কমিটি গঠনে কিছু টা সময় বিলম্ব হচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেকগুলা কমিটি অনুমোদন হয়েছে। অনেক জায়গায় কাজও শুরু হয়েছে। আগামী দুইএক দিনের মধ্যেই পাঁচ নাইল্লা বাঁধের কাজ শুরু হবে আশা করছি।
![](https://www.asroypratidin.com/wp-content/uploads/2023/01/10.Madhobpur-Hobigonj-Awami-Leader-300x141.jpg)
মাধবপুরের আ.লীগ নেতার আঃ রাজ্জাকে’র দাফন সম্পন্ন হয়।
নাহিদ মিয়া,মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি –
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা আ.লীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও শাহজাহান পুর ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রাজ্জাক গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উনার নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন। (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
শুক্রবার(১৩-জানুয়ারি) সকাল ১০টায় উপজেলার গোয়াছনগর মাদ্রাসা মাঠে উনার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। সে
গোয়াছনগর গ্রামের মৃত একরাম হোসেনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাকের মৃত্যুকালে উনার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী, ৪ ছেলে ২ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন থেকেই বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন।
মরহুমের জানাজার নামাজে উপস্থিত ছিলেন, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আলমগীর চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক এড. সুলতান মাহমুদ, উপজেলা আ.লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এস,এম মুসলিম, চুনারুঘাট উপজেলা আ.লীগের সভাপতি এড. আকবর হোসেন জিতু, পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহের, মাধবপুর উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক, মাধবপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস -চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ, উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মুজাহিদ বিন ইসলাম, মাধবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের আহবায়ক মোঃএরশাদ আলী, উপজেলা আ.লীগের আইন সম্পাদক এড. মুহিত মিয়া, শাহজাহানপুর ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ চৌধুরী, ধর্মঘর ইউপি চেয়ারম্যান পারুক আহমেদ, আ.লীগ নেতা মাখন চকদার, রফিক মিয়া, এবং উপজেলার ও বিভিন্ন ইউনিয়নের আ.লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ কয়েকটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ইমাম,মুয়াজ্জিন, সাংবাদিক বৃন্দ এলাকার জনসাধারন উপস্থিত ছিলেন।
মরহুমের জানাজার নামাজ পড়ান, নাসির নগর উপজেলার খান্দুরা দরবার শরীফের পীর আলহাজ্ব সৈয়দ জোবায়ের কামাল। জানাজা শেষে উনাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
বার্তা প্রেরক
নাহিদ মিয়া
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।
০১৭৫০০০৪৬৭৫
০১৭৫২১৮২৪৬৭
![](https://www.asroypratidin.com/wp-content/uploads/2023/01/10.Tahirpur-Sunamgonj-crime-300x135.jpg)
তাহিরপুরে রাস্তার পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
শওকত হাসান, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ-
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে অভিযান পরিচালনা করে রাস্তার পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আসাদুজ্জামান রনি। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় উপজেলার বালিজুরী ইউনিয়নের আনোয়ারপুর বাজারস্থ অস্থায়ী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে এলাকার রাস্তার পাশে গড়ে ওঠা পাকা-আধপাকা ২৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করাসহ দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের টাকাটুকিয়া ও বাদাঘাট ইউনিয়নের শিমুল বাগান এলাকায় ১০শতাংশ জায়গা উচ্ছেদ করা হয় ।
উচ্ছেদ অভিযানে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আসাদুজ্জামান রনি, বালিজুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজাদ হোসেন, ইউপি সদস্য বাবুল মিয়া, উপজেলা ভুমি অফিসের উপসহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিশিত ভট্টাচার্য, সার্ভেয়ার রাজশ্রী রায় সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা ভুমি অফিসের উপসহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিশিত ভট্টাচার্য জানান, এই উচ্ছেদের পূর্বে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য দখল করে অবস্থানকারীদের বলা হয়েছিল। কিন্তু অবৈধভাবে গড়ে তোলা স্থাপনা সরিয়ে না নেওয়ায় আজ সকালে মানুষ দিয়ে এ সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। তিনি আরও বলেন, উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার পূর্বে সার্ভেয়ারের মাধ্যমে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমির সীমানা নির্ধারণ করে লাল দাগ দিয়ে চিহ্নিত করা হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আসাদুজ্জামান রনি এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সরকারী সম্পত্তির উদ্ধারে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এতে কারো কোনো আপত্তি শুনা হবে না। সবাইকে নিজ নিজ উদ্দ্যোগে সরকারি সম্পত্তি দখলে থাকলে ছেড়ে দিতে হবে। না হয় আমাদের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
শওকত হাসান, সুনামগঞ্জ
০১৭১৭৯৮৬২৩২
আপনার মতামত লিখুন :