সময় ও ব্যয় বাড়ল এক্সপ্রেসওয়ে ও কালুরঘাট সেতু নির্মাণ প্রকল্পের।


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ১৭, ২০২২, ৭:৪৬ অপরাহ্ন / ৬৩৬
সময় ও ব্যয় বাড়ল এক্সপ্রেসওয়ে ও কালুরঘাট সেতু নির্মাণ প্রকল্পের।

সময় ও ব্যয় বাড়ল এক্সপ্রেসওয়ে ও কালুরঘাট সেতু নির্মাণ প্রকল্পের।
মোঃ ইব্রাহিম শেখ চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ

নগরীর লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেঁষে কালুরঘাট সেতু থেকে চাক্তাই খাল পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বাড়নোর প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে ভার্চ্যুয়ালি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা
কমিটির সভায় এ সংক্রান্ত দুইটি পৃথক প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে করে এ দুই প্রকল্পের মোট ব্যয় ৮৭৯ কোটি
৭ লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকার। যার মধ্যে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ ব্যয়
বাড়ানো হয়েছে ৬৪৯ কোটি ২ লাখ ৪৩ হাজার ৯১ টাকা। আর কালুরঘাট সেতু থেকে চাক্তাই খাল পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ ব্যয়
বাড়ানো হয়েছে ২৩০ কোটি ৫ লাখ ১ হাজার ১১৬ টাকা। প্রকল্পের সময় বাড়নো হয়েছে দুই বছর।
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান
জানান,সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৩৭তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন
গণপূর্ত অধিদপ্তর কর্তৃক ‘চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজার থেকে শাহ্-আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
নির্মাণ’ প্রকল্পের ডাব্লিউডি-ওয়ান প্যাকেজের পূর্ত কাজের ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ৬৪৯ কোটি ২ লাখ ৪৩ হাজার ৯১
টাকা ব্যয় বাড়ানোর ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। চুক্তির মূল্য ছিল ৩ হাজার ৭২০ কোটি ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৭২৮
টাকা। ব্যয় বেড়ে মোট টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৩৬৯ কোটি ৭ লাখ ১০ হাজার ৮১৯ টাকা।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন গণপূর্ত অধিদপ্তর কর্তৃক ‘কর্ণফুলী নদীর তীর বরাবর কালুরঘাট সেতু থেকে চাক্তাই
খাল পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ’ প্রকল্পের ডাব্লিউডি-ওয়ান প্যাকেজের পূর্ত কাজের ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ২৩০ কোটি ৫ লাখ
১ হাজার ১১৬ টাকা ব্যয় বাড়ানোর ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। মূল চুক্তির মূল্য ছিল ৭৮৯ কোটি ২৪ লাখ ৩৯
হাজার ৭৭৮ টাকা। ব্যয় বেড়ে মোট টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৯ কোটি ২৯ লাখ ৪০ হাজার ৮৯৪ টাকা।
এর আগে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নকশা ‘সংশোধন’ করে আরও ১০৪৮ কোটি টাকা (আগের ব্যয়ের চেয়ে ৩২ শতাংশ)
ব্যয় ও দুই বছর মেয়াদ বাড়িয়ে প্রকল্পটি সংশোধন করতে পরিকল্পনা কমিশনের প্রস্তাব পাঠিয়েছিল সিডিএ। চলতি বছরের
১৩ সেপ্টেম্বরে সংস্থাটির সেই প্রস্তাব মেনেই প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত
সভায় তা অনুমোদন দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম মহানগরের আলোচিত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ পাঁচ বছর শেষে
এবার নকশা পাল্টিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। ফলে এই প্রকল্পটির শেষ করতে বাড়াতে হয়েছে বড় অঙ্কের অর্থ ও সময়।

চট্রগ্রাম বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাচ্ছেন ‘বীর নিবাস’। 
মোঃ ইব্রাহিম শেখ চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ

মাথা গোঁজার ঠাঁই পাচ্ছেন অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারা। দেশের প্রায় ৩০ হাজার মুক্তিযোদ্ধা পাচ্ছেন
‘বীর নিবাস’। চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলাতেও ৭৮৪ জন মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারকে ঘর উপহার দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বিজয় মাস ডিসেম্বরেই শতাধিক মুক্তিযোদ্ধার কাছে ঘরের চাবি তুলে দেয়া হবে। অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বিধবা স্ত্রী ও সন্তানদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ঘরগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর হলেও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর এমন মমতায় ভীষণ খুশি তারা।
চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফ্ফর আহমদ পূর্বদেশকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি উপজেলায় গরীব ও জমি আছে ঘর নেই এমন মুক্তিযোদ্ধাদের ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ঘর করে দিচ্ছে। এ উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। মহানগরেও অনেক অসহায় মুক্তিযোদ্ধা আছে তারাও যাতে ঘর পান সে দাবি রাখছি। বর্তমান সরকার ও প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে সবসময় আছেন।’
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য দেশব্যাপী ৩০ হাজার বাসস্থান (বীর নিবাস) নির্মাণের প্রকল্পটি নেয়া হয় গতবছর। ৪ হাজার ১২২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। মুজিব বর্ষ এবং স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ঘরগুলো নির্মাণের অনুমোদন দেন। আগামী বছরের অক্টোবর মাসের মধ্যে সবকটি ঘর নির্মাণের বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, শহীদ ও প্রয়াত এবং অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্ত্রী-সন্তানদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ লাখ ১০ টাকা ব্যয়ে একেকটি পাকা ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে জেলার ৭৮৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সরকারি এসব ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২২ ফুট প্রস্থ আর ২৫ ফুট দৈর্ঘ্যওে ঘরগুলোতে দুটি বেডরুম, একটি ড্রইং রুম, একটি ডাইনিং রুম, একটি কিচেন রুম ও দুটি বাথরুমসহ থাকছে সুপেয় পানির ব্যবস্থা। তবে নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়ার কারণে ঘরগুলোর নির্মাণ কাজে কিছুটা ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।
ঠিকাদাররা বলছেন, নির্মাণ সামগ্রীর ঊর্ধ্বগতির কারণে এসব ঘর নির্মাণ করতে গিয়ে তাদের ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। তবু জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই তারা কম লাভে ঘরগুলো নির্মাণ করছেন।
চট্টগ্রামের সদ্বীপে ৪৫টি সীতাকুন্ডে ৫৫টি, চন্দনাইশে ২৭টি, মিরসরাইয়ে ২৩৪টি, সাতকানিয়ায় ১৪টি, রাঙ্গুনিয়ায় ৩৯টি, বাঁশখালীতে ১৪টি, বোয়ালখালীতে ৩২টি, লোহাগাড়ায় ১৫টি, ফটিকছড়িতে ১৩০টি, রাউজানে ৪৫টি, পটিয়ায় ৪২টি, আনোয়ারায় ৩৮টি, হাটহাজারীতে ৫৪টি ঘর পাচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বিত তালিকা অনুসারে চট্টগ্রামে আট হাজার ২৬২ জন মুক্তিযোদ্ধা আছেন।
বাঁশখালীতে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বীর নিবাস পাওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির আহমদ পূর্বদেশকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাড়িয়েছেন। এবার ঘর উপহার দিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছেন। জীবনের শেষ বয়সে প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করছেন। আমরা প্রধানমন্ত্রী যাতে সুস্থ থাকেন সেজন্য দোয়া করি। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে অনেক খুশি হয়েছি। ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ হলেও এখনো বিদ্যুৎ ও পানির লাইনের কাজ শেষ না হওয়ায় ঘরে উঠতে পারি নাই। তবে ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হওয়ায় এ মাসেই ঘরে উঠতে পারবো বলে আশা করছি।’
মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন পূর্বদেশকে বলেন, ‘মিরসরাইয়ে যে ঘরগুলো হচ্ছে এরমধ্যে মাত্র দুটি ঘর নিয়ে কিছুটা জটিলতা দেখা দিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সবার সম্মতিতে এই দুটি ঘরের প্রস্তাবনা পাঠানো হলেও পরে নিজেদের মধ্যে জটিলতায় একটু পিছিয়ে পড়েছি। বিজয় দিবসের পর জটিলতা মিমাংসা করে ঘর নির্মাণ শুরু হবে। তবে অন্যান্য ঘরগুলোর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। মিরসরাইয়ের মুক্তিযোদ্ধারা ঘর পেয়ে অনেক বেশি খুশি। উনাদের অনুভূতি দেখে আমারও অনেক ভালো লাগছে।

পেট্রোবাংলার কাছে চট্টগ্রাম কাস্টমস ৫ হাজার ২শ‘ কোটি টাকা পাওনা।
মোঃ ইব্রাহিম শেখ চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ

বাংলাদেশ তৈল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)‘র কাছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের রাজস্ব বকেয়া পড়েছে ৫ হাজার ২২৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা। তরলিকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির শুল্ক বাবদ পেট্রোবাংলার কাছে এ ঢাকা পায় কাস্টমস।
কাস্টমস সূত্র জানিয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলা গেল বছরের ডিসেম্বর থেকে শুল্ক পরিশোধ করছে না। চলতি
বছরের এপ্রিল থেকে তারা আমদানির নথিপত্রও জমা দিচ্ছে না। ফলে একদিকে রাজস্ব অনাদায়ী থাকছে। যা কাস্টমসের
রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রাকে চরমভাবে বিঘ্নিত করছে। অন্যদিকে বিল অব এন্ট্রি দাখিল না করায় সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যার
অ্যাসাইকুড়া ওয়ার্ল্ডে তথ্য হালনাগাদ সম্ভব হচ্ছে না। যা পুরো সিস্টেমে জটিলতা তৈরি করেছে।
এলএনজি আমদানির দায়িত্বে রয়েছে পেট্রোবাংলার অঙ্গপ্রতিষ্ঠান রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি (আরপিজিসিএল)।
প্রতিষ্ঠানটির এমডি জাভেদ চৌধুরীর সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। আর চট্টগ্রাম
কাস্টম হাউসের কমিশনার ফাইজুর রহমানও এ বিষয়ে মুখ খোলেননি।আমদানি করা এলএনজি জাহাজ থেকে
কক্সবাজারের মহেশখালীতে থাকা ভাসমান টার্মিনাল বা ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিটে (এফএসআরইউ)
খালাস করা হয়। সেখান থেকে সরাসরি জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হয়। আইন অনুযায়ী শুল্কায়নের জন্য বিল অব
এন্ট্রিসহ আনুষঙ্গিক দলিলাদি কাস্টমসে দাখিল করা লাগে। তবে এর ব্যত্যয় ঘটছে। এক্ষেত্রে তথ্যের জন্য শিপিং এজেন্টের
জমা করা ইমপোর্ট জেনারেল মেনিফেস্ট-আইজিএমের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে কাস্টমসকে।
এ নিয়ে দপ্তরটিতে দেখা দিয়েছে অস্বস্তি।সূত্র জানিয়েছে, পেট্রোবাংলার কাছে কাস্টমসের বকেয়া শুরু হয় গেল বছরের
ডিসেম্বর থেকে। ওই মাসে পাওনা ১২৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এরপর চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৭৫৮ কোটি ৮ লাখ,
ফেব্রুয়ারিতে ৯৮ কোটি ৯৮ লাখ, মার্চে ২৩২ কোটি ৮১ লাখ, মে-তে ৪৫৮ কোটি ৭৩ লাখ, জুনে ১৩শ‘ ৮৩ কোটি ৫৪
লাখ, জুলাইতে ৪৭ কোটি ৩ লাখ আর আগস্টে ৭৭১ কোটি ১ লাখ টাকা। ৬৯টি বিল অব এন্ট্রির বিপরীতে এ টাকা জমে।
এছাড়া গেল এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত যেসব বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা হয়নি তার বিপরীতে ৩০টি আইজিএমের ওপর
ভিত্তি করে আনুমানিক রাজস্ব নির্ধারণ করা হয় ১৩শ‘ ৫০ কোটি টাকা।
কাস্টমস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বকেয়া টাকা পরিশোধ এবং নথিপত্র জমা দেয়ার জন্য পেট্রোবাংলাকে বারবার তাগিদ
দেয়া হয়েছে। কারণ দর্শানো নোটিশও দেয়া হয়েছে। আবার বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর-বিন লক ও পণ্য খালাস বন্ধ
এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার হুঁশিয়ারিও দেয়া হয়। তবে কিছুতেই কিছু হয়নি।
এ বিষয়ে পেট্রোবাংলা জানায়, অর্থবিভাগের কাছ থেকে ভর্তুকির টাকা পেলে শুল্ক পরিশোধ করা হবে। কিন্তু কবে নাগাদ
তা হবে, বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়নি। এমন বাস্তবতায় সংকট সমাধানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরকে অক্টোবরের
শেষদিকে চিঠি দেয় কাস্টমস। তবে তাতেও কাজ হয়নি। কাস্টমস বলছে, আমদানি করা পণ্যের শুল্কায়নপূর্বক রাজস্ব পরিশোধে আইনী বাধ্যবাধকতা রয়েছে। পণ্য আমদানির ৬ মাস পরেও নথিপত্র জমা না করাও আইনের লঙ্ঘন। যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।