Dhaka ০৮:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সন্ধ্যা নামলেই দিনাজপুরে ভাপা পিঠার দোকানে মানুষের ভীড়।

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:৫৪:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২
  • ৩৭৬ Time View

সন্ধ্যা নামলেই দিনাজপুরে ভাপা পিঠার দোকানে মানুষের ভীড়।
শফিকুল ইসলাম সোহাগ,  দিনাজপুর:

শীতের আবহাওয়ায় গরম কাপড়, বিভিন্ন ধরনের সবজির পাশাপাশি দিনাজপুর শহরসহ বিভিন্ন হাট বাজার গুলোতে কদর বেড়েছে শীতের পিঠার। শীত এলেই এ পিঠা বানানো মৌসুমী ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে পিঠা বিক্রি। শীতকালে অন্যান্য খাবারের সাথে সাথে পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে যায় চারিদিকে। আর এই ধুম টা শুরু হয় গরম ভাপা পিঠা দিয়েই। শীতের এ আমজে দিনাজপুরের  ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকানগুলোতেও ভীড় জমতে শুরু করেছে। শিশু-কিশোর-বয়োবৃদ্ধ সব বয়সীদেরকেই পিঠার দোকানে ভীড় করতে দেখা যায়।
দিনাজপুরের বিভিন্ন উপজেলার গ্রামসহ প্রতিটি হাটে,বাজারে অলি-গলি, রাস্তার মোড়ে সবখানেই চলছে ভাপা পিঠা তৈরির উৎসব। একটু সন্ধ্যা নামলেই মানুষজন  ভিড় করছে ভাপা পিঠা তৈরির দোকানের সামনে। অনেকেই পিঠার দোকানে চুলার পাশে বসেই গরম পিঠা খাচ্ছেন। পরিবারের চাহিদা মেটাতে কেউ কেউ আবার পিঠা কিনে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন।
কয়েক জন ক্রেতা জানান, গরম গরম ভাপা পিঠার মজাই আলাদা। ভাপা পিঠা আমাদের গ্রাম বাংলার দেশীয় সংস্কৃতি লালন করছে। অন্যদিকে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বেকারত্ব দূরীকরণ ও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে।
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার আঙ্গার পাড়া ইউনিয়নের ছাতিয়ান গড় গ্রামের মাদার দরগাহ্ নামক এলাকায় ফজলে রহমান ও তার স্ত্রী সুলতানা বেগমকে পিঠা বিক্র করতে দেখা যায়।
সুলতানা বেগমকে পিঠা বানাতে ও তার স্বামীকে ক্রেতাদের কাছে পিঠা দেয়া ও সবার কাছ থেকে টাকা বুঝে নেয়া দেখা যায়।
একই চিত্র দেখা যায় উপজেলার আঙ্গার পাড়ার পাকেরহাট,গোয়ালডিহির ভুল্লারহাট, ভাবকির কাচিনিয়া বাজারসহ বেশ কয়েকটি স্থানে এসব পিঠা বিক্রি করা হচ্ছে। বেশির ভাগ বিক্রেতাই চিতই আর ভাপা পিঠা বিক্রি করছেন।
পিঠা বিক্রেতা ফজলে রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, দুইদিন হলো পিঠা বিক্রি করা শুরু করেছি। তার হাতের তৈরি পিঠা ক্রেতারাও বেশ পছন্দ ও আগ্রহ সহকারে কিনছেন। বন্ধু-বান্ধবসহ অনেকেই মিলেমিশে তার দোকানে ভিড় করছেন।প্রতি পিঠার মূল্য নিচ্ছেন মাত্র ৫ টাকা করে। প্রতিদিন প্রায় ৪০০-৬০০ টাকার পিঠা বিক্রি করেই স্বচ্ছন্দে চলছে তার সংসার।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

পদন্নতিতে পুনরায় বৈষম্যের শিকার জনতা ব্যাংক অধিকাংশ কর্মকর্তা

সন্ধ্যা নামলেই দিনাজপুরে ভাপা পিঠার দোকানে মানুষের ভীড়।

Update Time : ০৩:৫৪:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২

সন্ধ্যা নামলেই দিনাজপুরে ভাপা পিঠার দোকানে মানুষের ভীড়।
শফিকুল ইসলাম সোহাগ,  দিনাজপুর:

শীতের আবহাওয়ায় গরম কাপড়, বিভিন্ন ধরনের সবজির পাশাপাশি দিনাজপুর শহরসহ বিভিন্ন হাট বাজার গুলোতে কদর বেড়েছে শীতের পিঠার। শীত এলেই এ পিঠা বানানো মৌসুমী ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে পিঠা বিক্রি। শীতকালে অন্যান্য খাবারের সাথে সাথে পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে যায় চারিদিকে। আর এই ধুম টা শুরু হয় গরম ভাপা পিঠা দিয়েই। শীতের এ আমজে দিনাজপুরের  ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকানগুলোতেও ভীড় জমতে শুরু করেছে। শিশু-কিশোর-বয়োবৃদ্ধ সব বয়সীদেরকেই পিঠার দোকানে ভীড় করতে দেখা যায়।
দিনাজপুরের বিভিন্ন উপজেলার গ্রামসহ প্রতিটি হাটে,বাজারে অলি-গলি, রাস্তার মোড়ে সবখানেই চলছে ভাপা পিঠা তৈরির উৎসব। একটু সন্ধ্যা নামলেই মানুষজন  ভিড় করছে ভাপা পিঠা তৈরির দোকানের সামনে। অনেকেই পিঠার দোকানে চুলার পাশে বসেই গরম পিঠা খাচ্ছেন। পরিবারের চাহিদা মেটাতে কেউ কেউ আবার পিঠা কিনে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন।
কয়েক জন ক্রেতা জানান, গরম গরম ভাপা পিঠার মজাই আলাদা। ভাপা পিঠা আমাদের গ্রাম বাংলার দেশীয় সংস্কৃতি লালন করছে। অন্যদিকে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বেকারত্ব দূরীকরণ ও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে।
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার আঙ্গার পাড়া ইউনিয়নের ছাতিয়ান গড় গ্রামের মাদার দরগাহ্ নামক এলাকায় ফজলে রহমান ও তার স্ত্রী সুলতানা বেগমকে পিঠা বিক্র করতে দেখা যায়।
সুলতানা বেগমকে পিঠা বানাতে ও তার স্বামীকে ক্রেতাদের কাছে পিঠা দেয়া ও সবার কাছ থেকে টাকা বুঝে নেয়া দেখা যায়।
একই চিত্র দেখা যায় উপজেলার আঙ্গার পাড়ার পাকেরহাট,গোয়ালডিহির ভুল্লারহাট, ভাবকির কাচিনিয়া বাজারসহ বেশ কয়েকটি স্থানে এসব পিঠা বিক্রি করা হচ্ছে। বেশির ভাগ বিক্রেতাই চিতই আর ভাপা পিঠা বিক্রি করছেন।
পিঠা বিক্রেতা ফজলে রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, দুইদিন হলো পিঠা বিক্রি করা শুরু করেছি। তার হাতের তৈরি পিঠা ক্রেতারাও বেশ পছন্দ ও আগ্রহ সহকারে কিনছেন। বন্ধু-বান্ধবসহ অনেকেই মিলেমিশে তার দোকানে ভিড় করছেন।প্রতি পিঠার মূল্য নিচ্ছেন মাত্র ৫ টাকা করে। প্রতিদিন প্রায় ৪০০-৬০০ টাকার পিঠা বিক্রি করেই স্বচ্ছন্দে চলছে তার সংসার।