শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে প্রমাণ করে দিয়েছে খুনিরা এদেশ চালাতে পারে না: তালুকদার মোঃ ইউনুস


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ১১, ২০২৩, ৬:৪৯ অপরাহ্ন / ৬২০
শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে প্রমাণ করে দিয়েছে খুনিরা এদেশ চালাতে পারে না: তালুকদার মোঃ ইউনুস

শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে প্রমাণ করে দিয়েছে খুনিরা এদেশ চালাতে পারে না: তালুকদার মোঃ ইউনুস, সাবেক এমপি, সংসদ সদস্য, বরিশাল বার এসোসিয়েশন, বরিশাল।
রমজান আহম্মেদ (রঞ্জু), বরিশাল ব্যুরো চীপ, বরিশাল –
বরিশাল : জাতির জনক ও স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের স্বদেশ
প্রত্যাবর্তন দিবসে বরিশাল সিটি মেয়র, মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ, শ্রমিকলীগ,
কৃষক লীগ, মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ বিভিন্ন অঙ্গ
সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পূস্পর্ঘ অর্পণের মাধ্যমে
শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।পরে জেলা ও মহানগর দলীয় কার্যলয়ে জাতীর জনক
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনগুলির কথা স্মরন করে এক সংক্ষিপ্ত
আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বরিশাল জেলা
পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড,একে.এম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে মূখ্য আলোচনা সভায়
বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক
এ্যাড,তালুকদার মোঃ ইউনুস। তিনি বলেন, ২৫ই মার্চ কালো রাতের পূর্বেই বঙ্গবন্ধু
এদেশের স্বাধীনতা ঘোষনা করেছিলেন।১৬ই ডিসেম্বরে এদেশ পাকহানাদার মুক্ত করার
মাধ্যমে স্বাধীন হলেও আমরা ১০ই জানুয়ারী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বাংলার মাঠিতে পা
রাখার মাধ্যমে স্বাধীনতার পূর্ণতা অর্জন করেছিলাম। তালুকদার মোঃ ইউনুস আরো
বলেন, ওই ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্য, আত্বীয়-স্বজন সহ
আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতা কর্মী হত্যা করে খুনি মোস্তাক-জিয়ারা ভেবেছিল
এদেশে কেহ আর মুক্তিযুদ্ধের নাম নিতে পারবে না। বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনা
রাস্ট্র ক্ষমতা এসে প্রমাণ করে দিয়েছে খুনিরা এদেশ চালাতে পারে না। তাই আগামী
নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে পঞ্চমবারের মত শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী
করার জন্য সকল আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীদের সকল মতভেদাভেদ
ত্যাগ করে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে মানুষের ভালবাসা অর্জন করার আহবান জানান।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, বিসিসি প্যানেল মেয়র গাজী নাঈমুল হাসান লিটু, জেলা
আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি সৈয়দ আনিছুর রহমান, মহানগর ছাত্রলীগ যুগ্ম আহবায়ক
মাইনুল ইসলাম। এখানে আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ও
সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সাইদুর রহমান রিন্টু, এ্যাড, আফজাল হোসেন,
জেলা শ্রমীক লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান হাওলাদার সহ বিভিন্ন
নেতৃবৃন্দ। এর পূর্বে সকাল ১০টায় শহীদ সোহেল চত্বরের জেলা ও মহানগর আওয়ামী
লীগ কার্যলয় সংলগ্ম বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ম্যুরালে প্রথমে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত
সাদিক আব্দুল্লাহর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করে প্যানেল মেয়র গাজী নাঈমুল হাসান

লিটু, প্যানেল মেয়র ও বরিশাল আইনজীবী সমিতির সাধারন সম্পাদক এ্যাড, রফিকুল
ইসলাম খোকন, প্যানেল মেয়র আয়শা তৌহিদা লুনা সহ বিভিন্ন কাউন্সিলর বৃন্দ।
এরপরে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য
এ্যাড,তালুকদার মোঃ ইউনুসের নেতৃত্বে জেলার বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
পরে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড,একে.এম
জাহাঙ্গীর হোসাইনের নেতৃত্বে পূস্পার্ঘ অর্পণ করে বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ। পরবর্তীতে
জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে
শ্রদ্ধা নিবেদন জানায়।

তারিখঃ ১০-০১-২০২৩
মোবাঃ ০১৬২০-৮৪৯৬০১

বরিশালে কয়লা সংকটে দাম বৃদ্ধি পাওয়াতে কাঠ পুড়তে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থের মুখে ইটভাটার মালিকরা।
রমজান আহম্মেদ (রঞ্জু), ব্যুরো চীপ, বরিশাল –
বরিশাল : কয়লাসহ নানা সংকটে বরিশালের অধিকাংশ ইটভাটা চালু করতে পারছেন না
মালিকরা। বেশি দামে কয়লা কিনে ইট তৈরির কাজ করলে বড় ধরনের লোকসানে পড়ার
আশঙ্কা করছেন তারা। কিছু ভাটা মালিক ঋণ ও দাদনের বোঝা থাকায় কাঠ পুড়িয়ে ইট
তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ফলে আতঙ্ক ও দুশ্চিন্তার দিন কাটছে তাদের।জেলা ইটভাটা
মালিক সমিতির একাধিক সদস্য জানান, ২০১৯ সালে টনপ্রতি কয়লার দাম ছিল সাড়ে
সাত হাজার টাকা। তিন বছরে চারগুণ বেড়ে সে কয়লার দাম ৩০ হাজার টাকা হয়েছে।
প্রত্যেকটি ইটভাটায় ঘুরে দেখা যাচ্ছে দাম বৃদ্ধি পাওয়াতে কয়লার অংশই কম । বেশি
দাম দিয়েও কয়লা পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে বেশি দামে কেনা কয়লা দিয়ে ইট
পোড়ানো হলে খরচও বাড়বে।জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী,
জেলার ১০ উপজেলায় প্রায় ৩০০ টির মতো ইটভাটা রয়েছে। সরকারিভাবে নিষিদ্ধ
থাকায় কয়েক বছর ধরে অর্ধেকের বেশি ইটভাটায় কয়লা পুড়িয়ে ইট তৈরি করছে।জেলার
বাবুগঞ্জ উপজেলার দোয়ারিকা এলাকার রাকী ব্রিকসের ব্যবস্থাপক হেমায়েত উদ্দিন
বাদল জানান, কার্তিক মাস থেকে ইট তৈরির মৌসুম শুরু হয়। কিন্তু কয়লা সংকট ও
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে এক মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলে তাদের ইটভাটা চালু
সম্ভব হয়নি। সালাম ব্রিকসের ব্যবস্থাপক মো. সেলিম জানান, কয়লার দাম চড়া।
কিন্তু বেশি দামে কেনা কয়লা দিয়ে পোড়ানো ইট তাদের আগের দরেই বিক্রি করতে
হবে। সেই দরে ক্রেতা পাওয়া যাবে না। এতে ইটভাটার মালিকের মূলধন হারানোর
আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে অনেকেই এবার ইটভাটা চালু করেনি।তিনি আরও বলেন,
কয়লার দাম কমার অপেক্ষা ছিলাম। কিন্তু দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই। উল্টো
কয়লার সংকট। মালিক ব্যবসা টিকেয়ে রাখতে চড়া সুদে ব্যাংক ঋণ নিয়েছেন। তাছাড়া
অনেক ক্রেতার কাছ থেকে ইট বিক্রির অগ্রিম টাকা নেওয়া হয়েছে। তারাও ইট নেওয়ার
জন্য বার বার তাগাদা দিচ্ছেন। তাই কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরির কাজ শুরু করেছি।ফাইন
ব্রিকসের মালিক মো. আব্বাস উদ্দিন জানান, কয়লার দাম নাগালের বাইরে চলে গেছে।
ওই দামে কয়লা কিনে ইট পোড়ানো হলে খরচ বাড়বে। এক হাজার ইটের দাম হবে ১৫
থেকে ১৬ হাজার টাকা। কিন্তু সেই দামে ইট বিক্রি হবে না। অন্যদিকে কয়েক বছর ধরে
ব্যবসা মন্দ যাওয়ায় ধার-দেনা হয়েছে। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরির কাজ
শুরু করেছেন।বাবুগঞ্জ উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি জানান,
করোনার কারণে এ খাতে বড় ধাক্কা লেগেছে। সেই সঙ্গে গত তিন বছরে কয়লার দাম
বেড়েই চলছে। যার ফলে এ ব্যবসা গত দুই বছর ধরেই নিম্নমুখী। এ বছরে এসে চারগুণ
বেড়ে বর্তমানে সেই কয়লার টন ৩০ হাজার টাকা উঠেছে। অথচ ২০১৯ সালে টন প্রতি
কয়লার দাম ছিল সাড়ে সাত হাজার টাকা।

পাতা-০২

তিনি বলেন, আগস্ট মাস থেকেই কয়লা কেনার জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গার
আমদানিকারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। গত কয়েকদিনে কয়েকজন
আমদানিকারকের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। কয়লার সংকট থাকায় আমদানি কমে গেছে।
ডলার সমস্যার কারণে অনেকে এলসি খুলতে পারছেন না। সব মিলিয়ে বলা যায়, ইটভাটা
মালিকরা কঠিন দুঃসময় পার করছেন।জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির একাংশের সভাপতি
আসাদুজ্জামান খসরু জানান, কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরি সরকারিভাবে নিষিদ্ধ। অন্যদিকে
কয়লার দাম গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে যাওয়ায় চলতি মৌসুমে অধিকাংশ
ইটভাটা চালু করতে পারছেন না মালিকরা। তাছাড়া কয়লা সংকট। বিষয়টি ইটভাটা মালিক
সমিতির কেন্দ্রীয় নেতাদের জানানো হয়েছে।পরিবেশ অধিদপ্তর বরিশালের বিভাগীয়
কার্যালয়ের পরিচালক মো. আব্দুল হালিম জানান, ইট তৈরির মৌসুম শুরু হয়েছে।
এরমধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ইটভাটা মালিকদের নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত
হয়েছে। সভা থেকে যাদের লাইসেন্স আছে, তাদের নবায়ন করাতে বলা হয়েছে। যাদের
পরিবেশ ছাড়পত্র নেই, তাদেরকে শর্ত মেনে ছাড়পত্র নিয়ে ভাটা চালু করতে অনুরোধ
করা হচ্ছে।তিনি বলেন, ইটভাটা মালিকদের কয়লা না পাওয়ার সমস্যার বিষয়টি বিভাগীয়
কমিশনারকে জানানো হয়েছে। কয়লা না পেলে কাঠ বা ভিন্ন কিছু পুড়িয়ে ইট তৈরির
সুযোগ নেই। কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরি সরকারিভাবে নিষিদ্ধ।

তারিখ : ১০-০১-২০২৩
মোবাইল : ০১৬২০৮৪৯৬০১