খুলনার দাকোপে সূবর্ণজয়ন্তী উৎসবে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। 


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ১৫, ২০২৩, ৪:৪১ অপরাহ্ন / ৫৯০
খুলনার দাকোপে সূবর্ণজয়ন্তী উৎসবে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। 
খুলনার দাকোপে সূবর্ণজয়ন্তী উৎসবে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। 
মোঃ শামীম হোসেন- খুলনা –
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক গনতান্ত্রিক শোষনহীন বৈষম্যমুক্ত সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলবো। একাত্তর পচাত্তর ২০০৪ এর খুনী ২০১৩ সালের আগুন সন্ত্রাসীরা সেই সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে রুখে দিতে চায়। এই হত্যাকারীরা ষড়যন্ত্রকারীরা আজো সক্রিয়। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থা রেখে এক্যবদ্ধভাবে আমাদের ওই ষড়যন্ত্রকারী অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। স্বাধীন দেশে রাজনৈতিক পক্ষ প্রতিপক্ষ থাকবে। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে কোন স্বাধীনতা বিরোধীশক্তি থাকতে পারবেনা এ বিষয়ে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। শুক্রবার সকালে খুলনার দাকোপে দক্ষিণবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ বাজুয়া সুরেন্দ্রনাথ কলেজের ৫০ বছর পূর্ণ উপলক্ষ্যে সূবর্ণজয়ন্তী ও পূনর্মিলনী উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এ কথা বলেন। বৈশ্বিক মন্দা পরিস্থিতিটা কাটিয়ে উঠলে তিনি কলেজের অবকাঠামো উন্নয়নের আশ্বাস দিয়ে বলেন, ঐতিহ্যবাহী কলেজটি জাতীয় করন এবং শতবর্ষী বাজুয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়টি জাতীয় করনের প্রস্তাবটি তিনি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি গোচর করবেন বলে উল্লেখ করেন। কলেজের ৫০ বছর পূর্তিতে সুবর্ণ জয়ন্তী  ও পুনর্মিলনীর অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক কলেজ অধ্যক্ষ শ্যামল রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন জাতীয় সংসদের হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস (এমপি), জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত  আসনের সংসদ্য এ্যাড. গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার (এমপি), জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মশিউর রহমান, খুলনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশিদ, খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরোফিন, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের উপণ্ডসচিব মোঃ ইমরান হোসেন, দাকোপ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব শেখ আবুল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজ পরিচালনা পরর্ষদের সভাপতি মিন্টু বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান বিনয় কৃষ্ণ রায়, বাজুয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও আয়োজক কমিটির কো-কনভেনর মানস মুকুল রায়, যুগ্মআহবায়ক ও ইউপি চেয়ারম্যান শেখ যুবরাজ, ইউপি চেয়ারম্যান পঞ্চানন মন্ডল, ইউপি চেয়ারম্যান সুদেব রায়, ইউপি চেয়ারম্যান মিহির মন্ডল, প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. তুহিন রায়, সন্ধ্যা রানী শীল, স্বর্ণ কমল মিঠু, অধ্যাপক হেমন্ত কুমার বৈদ্য, অনিমেশ মন্ডল, প্রাণবেন্দু রায়, তুষার কান্তি পাল, শাহানা আকতার, সাবেক ছাত্রনেতা মীর্জা সাইফুল ইসলাম টুটুল, সেক্সপিয়ার রায়, রবার্ট হালদারসহ বিশিষ্ট গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। বক্তৃতাপর্ব শেষে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি বেলুন উড়িয়ে সুবর্ণ জয়ন্তী ও পুর্নমিলনীর দুইদিন ব্যাপী উৎসবের শুভ উদ্বোধন এবং স্মরনিকার মোড়ক উন্মোচন করেন। দুপুর আড়াইটায় তিনি উপজেলার সরকারী এলবিকে মহিলা মহাবিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহাত্না সুরেন্দ্র নাথ রায়ের প্রতিকৃতিতে পূষ্পমাল্য অর্পন করেন।
শিক্ষামন্ত্রী ডা . দীপু মনি নতুন কারিকুলাম এর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উপলক্ষে খুলনা সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ পরিদর্শন  করেন।
মোঃ মিজানুর রহমান সটাফ রিপোর্টার খুলনা-
আজ ১৩/০১/২০২৩ ইং তারিখ রোজ শুক্রবার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এম,পি  খুলনা সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজে  নতুন কারিকুলামের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।  এসময় মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে  উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক প্রফেসর শেখ হারুনর রশিদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (মাধ্যমিক) এ এস এম আব্দুল খালেক, খুলনা সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শেখ মোঃ বদিউজজামান, এডিসি শিক্ষাও আইসিটি মুকুল মৈত্র ,জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার রুহুল আমিন, থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুমানাই ইয়াসমিন প্রমূখ। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী  জীবন-জীবিকা ও বাংলা বিষয়ের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন কালে বাংলা বিষয়ের প্রশিক্ষণ কক্ষে বাংলার মাস্টার ট্রেইনার ও সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, খুলনার সহকারী শিক্ষক (বাংলা) মোঃ ওমর ফারুক, মন্ত্রী মহোদয়কে এরই মধ্যে নতুন কারিকুলামে অংশীজনের মতামত গ্রহণ করায় এবং এ সুযোগ চলমান রাখায় আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মোঃ মিজানুর রহমান জীবন জীবিকা ট্রেইনার খুলনা জিলা স্কুল,শেখ ফরিদ উদ্দিন ও  আজিজা খানম এলিজা  এবং  দৌলতপুর, খালিশপুর ,খানজাহান আলী ,স্কুল এন্ড কলেজের,ও মাদ্রাসার প্রশিক্ষনার্থী শিক্ষক ও শিক্ষিকা বৃন্দ।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ফুটওভার ব্রিজ।
মোঃ শামীম হোসেন – খুলনা –
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দৃষ্টিনন্দন ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাবনা অনুমোদন দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। খুব শীঘ্রই এ সংক্রান্ত প্রকল্পটির দরপত্র আহ্বান করা হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আনিসুজ্জামান মাসুদ। তিনি বলেন, “খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একটি ফুট ওভার ব্রিজ নির্মাণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বলছে। আমাদের মন্ত্রী মহোদয় বরাবর ভিসি স্যার ডিও লেটার দিয়েছেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল স্যারও ডিও লেটার দিয়েছেন। আসলে এরই প্রেক্ষিতে আমরা একটা ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। ইতিমধ্যে এর প্রস্তাবনা পাস হয়েছে। ব্যয় ৫ কোটি টাকা। এটা একটা দৃষ্টিনন্দন ফুট ওভার ব্রিজ হবে। তিনি জানান, হানিফ ফ্লাইওভার থেকে নেমে প্রথম যে ফ্লাইওভারটা নৌকার মতো ঠিক সেই আদলে আমরা এই ফুট ওভার ব্রিজটি করবো। ডিজাইন করা হয়েছে। এখানে এসটিলেটার ব্যবহারের ফ্যাসালিটি রাখা হবে। এটার দরপত্র খুব দ্রুত আহ্বান করা হবে। আশা করি চলতি অর্থ বছরেই আমরা ফুট ওভার ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারবো। ব্রিজটি নির্মিত হলে দুর্ঘটনা রোধসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র /ছাত্রী, কর্মকর্তা -কর্মচারীসহ সাধরণ পথচারীরা ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে অবাধে পারাপার করতে পারবেন। এরফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র /ছাত্রী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুফল বয়ে আনবে”। খুলনা- চুকনগর -সাতক্ষীরা আঞ্চলিক মহাসড়কটি খুলনা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। উক্ত সড়কটির ৪ কিলোমিটার অংশ (ময়লাপোতা মোড় হতে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত) ৪ লেনে উন্নীতকরণ কাজ চলছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং গল্লামারীতে নির্মিত মহান স্বাধীনতার স্মৃতিসৌধও এই মহাসড়কের পাশে অবস্থিত। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন স্থানে শিক্ষক, ছাত্র/ ছাত্রী, কর্মকর্তা -কর্মচারী ও পথচারীরা যাতে নিরাপদে যাতায়াত করতে পারে সেজন্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা একান্ত প্রয়োজন বলে গত অর্থবছরে খুলনার সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা তৈরি করে। যে প্রস্তাবনাটি চলতি অর্থ বছরে পাস হয়েছে।
খুলনাবাসীর প্রত্যাশা খুব দ্রুত দরপত্র আহবানের মধ্য দিয়ে যথাযথ মান বজায় রেখে কাজটি সম্পন্ন হোক।