Dhaka ০২:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে আগামী ২৩ ডিসেম্বর আখ মাড়াইয়ের মধ্য দিয়ে চিনি উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছে ঠাকুরগাঁও সুগারমিল।

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:২১:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৭৬৭ Time View
লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে আগামী ২৩ ডিসেম্বর আখ মাড়াইয়ের মধ্য দিয়ে চিনি উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছে ঠাকুরগাঁও সুগারমিল।
জসীমউদ্দীন ইতি, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি –
চলতি মাসেই আখ মাড়াইয়ের মধ্য দিয়ে চিনি উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছে রংপুর অঞ্চলের একমাত্র সচল থাকা ঠাকুরগাঁও সুগারমিল। আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে চলতি মৌসুমের চিনি উৎপাদনে যাচ্ছে মিলটি। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, চিনি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রংপুর বিভাগের সবকটি সুগারমিল লোকসানে থাকায় চারটি বন্ধ হলেও এখানো চালু রয়েছে ঠাকুরগাঁও সুগারমিল। গেল দুবছর ধরে এ মিলটিতে ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর ও পঞ্চগড় জেলার চাষিদের উৎপাদিত আখ সরবরাহ করে আসলেও পুরাতন যন্ত্রপাতির মিলটিতে মাড়াই কার্যক্রম নিয়ে শঙ্কা কাটছে না। বারবার মিলটি বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি উৎপাদন খরচ সংকুলান ও সময় মত চাষিদের সরবরাহ করা আখের মূল্য পরিশোধ করতে না পারায় ভোগান্তির শিকার হন চাষিরা। তারপরও চলতি মাসে মিলটির আখ মাড়াই কার্যক্রমকে সামনে রেখে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন এ অঞ্চলের চাষিরা। অন্যদিকে জমির আখ পরিপূর্ণ হওয়ায় আগামী মৌসুমের জন্য মিল কর্তৃপক্ষ চাষিদের কাছে বীজের আখ সংগ্রহ করে পাঠিয়ে দিচ্ছে স্থানীয় চাষিসহ অন্যান্য জেলার চাষিদের কাছে। এ অবস্থায় বাজারে চিনির মূল্য বাড়লেও বাড়েনি আখের দাম। মূল্য সমন্বয় ও সময়মত পাওনা পরিশোধ করলে চাষাবাদ বাড়বে বলে মনে করছেন এখানকার কৃষকরা। স্থানীয় চাষিদের অভিযোগ, বাজারের চিনি দাম বাড়তি কিন্তু আখের দাম কম। কৃষকের উৎপাদন খরচ বাড়লেও আখের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না কৃষকরা। ফলে আখ চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন তারা। বাজারের সঙ্গে আখের দাম সমন্বয় করলে চাষাবাদ বাড়বে বলে মনে করেন এ অঞ্চলের কৃষকরা।
৩ হাজার ১৫০ জন চাষির উৎপাদিত ৭২ হাজার ২৫০ মেট্রিকটন আখ মাড়াইয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের কথা জানিয়ে মিলটির উৎপাদন অব্যাহত রাখতে চাষিদের সবরকম সুযোগ সুবিধা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ঠাকুরগাঁও সুগারমিলের মহা-ব্যবস্থাপক (কৃষি) আবু রায়হান। এ বিষয়ে সুগারমিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহজাহান কবির জানান, আসন্ন মাড়াই মৌসুমে আখ মাড়াই কার্যক্রমে মিলকে সার্বিকভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে সময়মত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। মিল কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও দিনাজপুর জেলায় প্রায় সাড়ে ৪ হাজার একর জমিতে আখের আবাদ হয়েছে। চাষিদের উৎপাদিত আখ সরবরাহের মাধ্যমে আগামী ২৩ ডিসেম্বর ২০২২-২৩ মৌসুমে চিনি উৎপাদনে মাড়াই কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে মিলটি।
জসীমউদ্দীন ইতি
০১৭৫১-০৭৯৮২৩
ঠাকুরগাঁও
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

মোরেলগঞ্জে ইকো-ভিলেজ ও পারমাকালচার বিষয়ক ২ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত।

লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে আগামী ২৩ ডিসেম্বর আখ মাড়াইয়ের মধ্য দিয়ে চিনি উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছে ঠাকুরগাঁও সুগারমিল।

Update Time : ০৫:২১:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২২
লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে আগামী ২৩ ডিসেম্বর আখ মাড়াইয়ের মধ্য দিয়ে চিনি উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছে ঠাকুরগাঁও সুগারমিল।
জসীমউদ্দীন ইতি, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি –
চলতি মাসেই আখ মাড়াইয়ের মধ্য দিয়ে চিনি উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছে রংপুর অঞ্চলের একমাত্র সচল থাকা ঠাকুরগাঁও সুগারমিল। আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে চলতি মৌসুমের চিনি উৎপাদনে যাচ্ছে মিলটি। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, চিনি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রংপুর বিভাগের সবকটি সুগারমিল লোকসানে থাকায় চারটি বন্ধ হলেও এখানো চালু রয়েছে ঠাকুরগাঁও সুগারমিল। গেল দুবছর ধরে এ মিলটিতে ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর ও পঞ্চগড় জেলার চাষিদের উৎপাদিত আখ সরবরাহ করে আসলেও পুরাতন যন্ত্রপাতির মিলটিতে মাড়াই কার্যক্রম নিয়ে শঙ্কা কাটছে না। বারবার মিলটি বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি উৎপাদন খরচ সংকুলান ও সময় মত চাষিদের সরবরাহ করা আখের মূল্য পরিশোধ করতে না পারায় ভোগান্তির শিকার হন চাষিরা। তারপরও চলতি মাসে মিলটির আখ মাড়াই কার্যক্রমকে সামনে রেখে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন এ অঞ্চলের চাষিরা। অন্যদিকে জমির আখ পরিপূর্ণ হওয়ায় আগামী মৌসুমের জন্য মিল কর্তৃপক্ষ চাষিদের কাছে বীজের আখ সংগ্রহ করে পাঠিয়ে দিচ্ছে স্থানীয় চাষিসহ অন্যান্য জেলার চাষিদের কাছে। এ অবস্থায় বাজারে চিনির মূল্য বাড়লেও বাড়েনি আখের দাম। মূল্য সমন্বয় ও সময়মত পাওনা পরিশোধ করলে চাষাবাদ বাড়বে বলে মনে করছেন এখানকার কৃষকরা। স্থানীয় চাষিদের অভিযোগ, বাজারের চিনি দাম বাড়তি কিন্তু আখের দাম কম। কৃষকের উৎপাদন খরচ বাড়লেও আখের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না কৃষকরা। ফলে আখ চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন তারা। বাজারের সঙ্গে আখের দাম সমন্বয় করলে চাষাবাদ বাড়বে বলে মনে করেন এ অঞ্চলের কৃষকরা।
৩ হাজার ১৫০ জন চাষির উৎপাদিত ৭২ হাজার ২৫০ মেট্রিকটন আখ মাড়াইয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের কথা জানিয়ে মিলটির উৎপাদন অব্যাহত রাখতে চাষিদের সবরকম সুযোগ সুবিধা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ঠাকুরগাঁও সুগারমিলের মহা-ব্যবস্থাপক (কৃষি) আবু রায়হান। এ বিষয়ে সুগারমিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহজাহান কবির জানান, আসন্ন মাড়াই মৌসুমে আখ মাড়াই কার্যক্রমে মিলকে সার্বিকভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে সময়মত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। মিল কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও দিনাজপুর জেলায় প্রায় সাড়ে ৪ হাজার একর জমিতে আখের আবাদ হয়েছে। চাষিদের উৎপাদিত আখ সরবরাহের মাধ্যমে আগামী ২৩ ডিসেম্বর ২০২২-২৩ মৌসুমে চিনি উৎপাদনে মাড়াই কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে মিলটি।
জসীমউদ্দীন ইতি
০১৭৫১-০৭৯৮২৩
ঠাকুরগাঁও