রামগঞ্জে সিত্রাং’র প্রভাবে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই বসতঘর।
কাজী মহিউদ্দিন মঈনঃ-
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌর শহরের বাঁশঘর গ্রামে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং’র প্রভাবে অগ্নিকাণ্ড দুর্ঘটনা ঘটে বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ছোট, বড় অসংখ্য গাছ উপড়ে গিয়ে বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন, সড়ক বন্ধসহ বিভিন্ন স্থানে গাছ পড়ে বসতঘরের চাল ভেঙ্গে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জানা যায়, সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাত আনুমানিক ৯টার সময় পৌর বাঁশঘর ওয়ার্ডের উস বাড়ির দুলাল মিয়ার বসতঘরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে স্বর্ণ অলংকার, আসবাবপত্র ও নগদ অর্থ সহ প্রায় ৫লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান দুলাল মিয়ার স্ত্রী হাসিনা বেগম ও তার ছেলে রাসেল আহমেদ। স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে ফোন দিলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়নি।
স্থানীয়রা বলছেন, গতকাল ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে রাত আনুমানিক ৯টার সময় প্রচন্ড বাতাস প্রবাহের কারণে ঘরে থাকা হারিকেন থেকে কেরাসিন তেল পড়ে আগুন লাগে এমন সময় প্রচন্ড বাতাসে আগুনের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে মুহুর্তের মধ্যে পুরো ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ঘরের মালিক দুলাল মিয়া স্ত্রী হাসিনা বেগম জানান, আমার স্বামী অসুস্থতার কারনে ঢাকায় যান। আমি আমার দুই ছেলের বউ সহ ঘরে ছিলাম।ঘূর্ণিঝড়ে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় ঘরে থাকা পুরাতন একটা হারিকেন জ্বালাই।প্রচন্ড বাতাসে ঘরে থাকা হারিকেন পড়ে আমাদের পুরো ঘর পুড়ে ছাই যায়। আমি এখন নিঃস্ব, অসুস্থ স্বামী ও ছেলে মেয়েকে নিয়ে চলা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। আমি সরকারের কাছে সাহায্য চাই। মাথা গোছানোর মতো আমার আর কিছুই নেই।
স্থানীয় মহিলা কাউন্সিলর ফারজানা মজুমদার জনি জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আগুন লাগার পর থেকে আমি সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিয়েছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ও পৌর মেয়রকে বিষয়টি অবগত করার চেষ্টা করেছি।
রামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স ইন্সপেক্টর কামরুল হাসান জানান, গতকাল ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে বিভিন্ন সড়কে গাছ পড়ে থাকায় আমাদের যেতে একটু বিলম্ব হয়। এদিকে স্থানীয়দের থেকে প্রথমে ভুল তথ্য দেওয়ার কারণে আমরা নির্দিষ্ট যায়গায় পৌঁছতে দেরি হয়। সরাসরি আমাদের অফিসিয়ালি নাম্বারে ফোন দিলে দ্রুত গিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হতাম। তারপরেও গাছ পড়ে রাস্তা বন্ধ থাকায় আমরা পাম্প হাতে নিয়ে অর্ধ কিলোমিটার হেঁটে অগ্নিকাণ্ড স্থানে পৌঁছাই এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেই। এ বিষয়ে রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর মেয়রের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :