রাজশাহীর তানোরে সহকারী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান পালিয়ে রক্ষা পেয়েছেন !


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ২০, ২০২৩, ৮:৫৬ অপরাহ্ন / ২৯৪
রাজশাহীর তানোরে সহকারী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান পালিয়ে রক্ষা পেয়েছেন !
রাজশাহীর তানোরে সহকারী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান পালিয়ে রক্ষা পেয়েছেন !
তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরের মুন্ডুমালা পৌরসভার ময়েনপুর মহল্লায় গভীর নলকুপ অপারেটরের কাছে থেকে চাবি কেড়ে নিয়ে অভিযুক্তদের দ্বারা কমিটি গঠনের সময় বিক্ষুব্ধ কৃষকদের তোপের মুখে কমিটি গঠন না করেই কৌশলে বিএমডিএ’র সহকারী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান পালিয়ে রক্ষা পেয়েছেন। গত ১৭ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার দুপুরে ময়েনপুর মহল্লায় এঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, মুন্ডুমালা পৌরসভার ময়েনপুর মৌজায় ১৪৩৫ নম্বর দাগে অবস্থিত বিএমডিএ’র গভীর নলকুপের অপারেটর ছিলেন বিএনপি নেতা মফিজ উদ্দিনের পুত্র ফারুক হোসেন। কিন্ত্ত তিনি বোরো চাষে বিঘা প্রতি তিন থেকে চার হাজার টাকা সেচ চার্জ আদায় করতেন। এছাড়াও  ড্রেন মেরামত, লাইনম্যান ভাতা, ট্রান্সফরমার মেরামত, ভোল্টেজ বাড়ানো, নৈশপ্রহরী ভাতা, অফিস খরচ ইত্যাদি নানা অজুহাতে কৃষকদের কাছে থেকে জোরপুর্বক টাকা আদায় করতেন। এতে কৃষকেরা অতিষ্ঠ  হয়ে উঠে। এঘটনায় স্থানীয় কৃষকেরা অপারেটর ফারুকের অপসারণ ও স্কীমভুক্ত কৃষকের মতামতের ভিত্তিতে নতুন অপারেটর নিয়োগের দাবিতে স্থানীয় সাংসদ ও বিএমডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এদিকে ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে স্কীমভুক্ত কৃষকদের মতামতের ভিত্তিতে  এমপির ডিওলেটার দিয়ে লাল মোহাম্মদকে নতুন অপারেটর নিয়োগ করা হয়।কিন্ত্ত ফারুক হোসেন নতুন অপারেটর লাল মোহাম্মদকে বিতাড়িত করতে গভীর নলকুপের ড্রেন ভাঙচুর, সেচ দিতে বাধা, গভীর নরকুপ স্কীমের জমিতে বাড়ির মটর থেকে পানি দেয়া, এছাড়াও সেচ দিতে বাধা দেয়ায় অনেক জমির ফসলহানি হয়েছে, এমনকি পৌরসভার সাবেক মেয়র গোলাম রাব্বানী ও বর্তমান মেয়র সাইদুর রহমানের সুপারিশ এবং অন্য এমপির ডিওলেটার দিয়ে অপারেটর লাল মোহাম্মদকে বিতাড়িত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এদিকে নিজ এলাকার এমপির ডিওলেটার বাতিলের জন্য অন্য এলাকার এমপির ডিওলেটার দেয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার কৃষকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। কৃষকদের দাবি অন্য এলাকার এমপির ডিওলেটার দেয়ার মানে নিজ এলাকার এমপিকে তাচ্ছিল করার সামিল। এদিকে বিগত কুড়ি বছর ফারুকের সময়ে বার বার বলেও কমিটি করা হয়নি। অথচ এখন কৃষকের কোনো অভিযোগ না থাকলেও জোরপুর্বক কমিটি গঠনের পাঁয়তারা কার স্বার্থে। কৃষকেরা বলছে, কমিটির নামে ফারুক হোসেন গভীর নলকুপের নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া। কারণ লাল মোহাম্মদ অপারেটর থাকলে ফারুকদের বাণিজ্যে করার কোনো সুযোগ নাই।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ১৭ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার দুপুরে মেয়র সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে গভীর নলকুপের কাছে সালিশ বৈঠক বসে। সালিস বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভিএমডিএ’র সহকারী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহান, পৌর বিএনপির সভাপতি মোজাম্মেল হক, কাউন্সিলর আতাউর রহমানপ্রমুখ। সহকারী প্রকৌশলী অপারেটর লাল মোহাম্মদের কাছে থেকে চাবি কেড়ে নিয়ে অভিযুক্তদের দ্বার আট সদস্যর কমিটি করে গভীর নরকুপ পরিচালনার কথা বলেন।এসময় কৃষকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। প্রতিকুল ও উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে কমিটি গঠন না করেই সহকারী প্রকৌশলী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেবার কথা বলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কৃষকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।এবিষয়ে জানতে চাইলে বিএমডিএ তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, চেয়ারম্যানের নির্দেশে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, এমপির কারণে কমিটি গঠন করা সম্ভব হযনি, পারলে এমপি কমিটি করে দিবেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে পৌর মেয়র সাইদুর রহমান বলেন, সালিস বৈঠক নয় তিনি জনপ্রতিনিধি হিসেবে সেখানে গিয়েছিলেন।
তানোর প্রতিনিধি
মো : ০১৭১১-৪১৭৪৬৬