রাজশাহীর টানোরে, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিশ্বমন্দা মোকাবেলা করে বিনামুল্য চাল বিতরণ করলেন, সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী।


প্রকাশের সময় : মার্চ ৭, ২০২৩, ৮:১১ অপরাহ্ন / ৫১৮
রাজশাহীর টানোরে, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিশ্বমন্দা মোকাবেলা করে বিনামুল্য চাল বিতরণ করলেন, সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী।

রাজশাহীর টানোরে, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিশ্বমন্দা মোকাবেলা করে বিনামুল্য চাল বিতরণ করলেন, সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী।

আলিফ হোসেন, তানোরঃ

বিশ্বব্যাপী মন্দা ও খাদ্য ঘাটতি রয়েছে। এমনকি বিশ্বের মোড়ল দেশ আমেরিকায় তিনটির বেশি টমেটো,শসা ও গোলমরিচসহ নানা নিত্যপণ্য কেনা নিষেধ। পাকিস্তানে বেতন ভাতা বন্ধ শ্রীলঙ্কা দেউলিয়া। কিন্ত্ত বঙ্গবন্ধু কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনা সবকিছু মোকাবেলা করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন এবং বাঙলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সারাবিশ্বে তিনি একমাত্র নেতা যিনি দেশের গৃহহীনদের বিনামুল্য জমিসহ বাড়ি উপহার কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। এমনকি দুঃস্থ মাতাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল উপহার দিচ্ছেন, এখানো কোনো খাদ্যশস্য কেনার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়নি। এছাড়াও মাতৃত্বকালীন ভাতা, বিধবা, বয়স্ক, স্বামী পরিত্যক্তা, প্রতিবন্ধী ভাতা ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করছেন। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ায় সহায়তা দিতে উপবৃত্তি ও বিনামুল্য বই বিতরণ করা হচ্ছে।এসব সম্ভব হচ্ছে বঙ্গবন্ধু কন্যা ও বিশ্ব মানবতার অগ্রদূত, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা  দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আছেন বলেই কঠিন মুহুর্তেও দেশের মানুষ শান্তিতে বসবাস করছেন। নেই কোনো খাদ্য ঘাটতি। ভূর্তুকির মাধ্যমে পৌরসভা ও সিটির নাগরিকগনের জন্য ৩০ টাকা কেজির ওএমএস চাল দিচ্ছে সরকার। ইউনিয়ন বাসীর জন্য খাদ্য বান্ধব ১৫ টাকা কেজি দরে প্রতি মাসে একজন কার্ডধারী বছরে ৬ মাস ৩০ কেজি করে চাল কিনতে পারবেন।বিশ্বমন্দার মধ্যেও বঙ্গকন্যা দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  আছেন বলেই দেশব্যাপী এসব কার্যক্রম চলছে। আবার লাখ লাখ পরিবারের মাঝে ভূর্তুকিতে টিসিবির পণ্য দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন,আপনারা জানেন জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন অথচ তিনি কখনো মুক্তিযোদ্ধাদের কথা ভাবেন নি। মুক্তিযোদ্ধাদের কথা একমাত্র বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা ভেবেছেন ।তিনি একই সঙ্গে দেশের প্রতিটি উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মান করেছেন, তিনি প্রতিটি গ্রামগঞ্জ কখনো ঘুরে দেখেননি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।কিন্তু তিনি গ্রাম বাংলার প্রতিটি ঘরের  মা-বোনদের খোঁজ খবর নিয়ে তাদের মাতৃত্বকালীন ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। যা আর কোনো দেশের প্রধানমন্ত্রী করতে পারেনি। তা করে দেখিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। আপনারা চিন্তা করে দেখবেন আওয়ামীলীগ সরকার দেশ ও জনসাধারনের জন্য কি করছে। এত কিছুর পর দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে একশ্রেণীর গোষ্ঠী। তিনি বলেন, আগামি নির্বাচনে আপনারা আবারো আপনাদের ঠিকানা আপনাদের প্রতিনিধি বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনিত নৌকা প্রতিকের প্রার্থীকে বিজয়ী করবেন। তিনি বলেন, মনে রাখবেন শেখ হাসিনার বিজয় মানে আপনাদের বিজয়, আপনাদের কাছে থেকে শেখ হাসিনার নেবার কিছু নাই, তবে জাতির পিতার স্বপ্ন পুরুণের জন্য আপনাদের দেবার অনেক কিছু এখানো বাঁকি আছে, গত ৬ মার্চ সোমবার উপজেলার কলমা ইউনিয়নের (ইউপি) “স্ব নির্ভরতার জন্য সহায়তা” ভালনারেবল বেনেফিট( ভিডব্লউবি) ২০২৩-২০২৪ চক্রের নতুন উপকারভোগীদের মাঝে কার্ড ও খাদ্যশষ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী। এদিন কলমা ইউপি চেেয়ারম্যান খাদেমুন নবী বাবু চৌধুরীর সভাপতিত্বে কলমা ইউপি চত্ত্বরে আয়োজিত আলোচনা সভায় অন্যন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না, ভাইস-চেয়ারম্যান আবু বাক্কার ও সোনীয়া সরদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন, সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রদিপ সরকার, বাধাইড় ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান,বিশিষ্ট সমাজসেবক ও তরুণ শিল্পপতি আলহাজ্ব আবুল বাসার সুজন, মাসুদ রানা চৌধুরী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব রামিল হাসান সুইট, জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মাহাবুর রহমান মাহাম ও তানভির রেজা প্রমুখ।

তানোরে বিশেষ বরাদ্দের ৪০ ভাগ উধাও !
তানোর, (রাজশাহী), প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরে কাজের বিনিময়ে টাকা কর্মসূচি (কাবিটা) প্রকল্পে এমপির বিশেষ বরাদ্দ নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে।সংশ্লিষ্ট প্রকল্প এলাকার অধিবাসীরা জানান, সরেজমিন বাস্তবায়িত ও বাস্তবায়ধীন প্রকল্প পরিদর্শন করা হলেই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে। সুষ্ঠুভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নে
এমপির শতভাগ সদিচ্ছা থাকার পরেও প্রকল্প বাস্তবায়নে একশ্রেণীর কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধি পকেটভারী করায় প্রকল্পের সুফল পাচ্ছেন না কেউ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ইউপি সদস্য (মেম্বার) বলেন, বিশেষ বরাদ্দের ৪০ শতাংশ আগেই কেটে নেয়া হয়। তবে কেনো, কারা এই টাকা কেটে রাখেন তার সুনিদ্রিষ্ট ব্যাক্ষা কারো জানা নাই। সংশ্লিষ্ট প্রকল্প এলাকার সচেতন মহলের ভাষ্য,
গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে যে পরিমাণ বরাদ্দ দেওয়া হয়, তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন এলাকার চিত্র বদলে যেতো। উপজেলার  এক ইউপি সদস্য মেম্বার জানান, তাকে এমপির বিশেষ বরাদ্দের  ৩ লাখ টাকার প্রকল্প দেয়া হয়। কিন্তু   আগেই  প্রতি লাখে ৪০ শতাংশ হিসেবে ৩ লাখ টাকায় এক লাখ ২০ হাজার টাকা কেটে নিয়ে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা দিয়েছে। অথচ তাকে ৩ লাখ টাকার কাজ করতে হবে, তাহলে কি ধান বিক্রি করে কাজ করবেন। তিনি  সাব জানিয়ে দিয়েছেন এভাবে কাজ করা সম্ভব নয়, এতে জনগণের চোখে তাকে চোর সাজতে হবে।
জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের (পিআইও) অধীনে কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) দ্বিতীয় পর্যায়ে এমপির বিশেষ বরাদ্দ হয়েছে, কলমা ইউপির অনুকুলে ৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা, বাধাইড় ইউপিতে ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা, পাঁচন্দর ইউপিতে  ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা, সরনজাই ইউপিতে  ৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, তালন্দ ইউপিতে ৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, কামারগাঁ ইউপিতে ৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ও চাঁন্দুড়িয়া ইউপিতে ৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তালন্দ ও কলমা ইউপির একাধিক সদস্য (মেম্বার) জানান, বর্তমান সরকারের সময়ে এমপির বিশেষ বরাদ্দ থেকে আগেই ৪০ শতাংশ হারে কেটে নেয়া হয়। এছাড়াও বিধিবহির্ভূত ভাবে বর্তমান মেম্বারদের বঞ্চিত রেখে সাবেক মেম্বারদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। এমনকি পিআইও কার্যালয়ের উমেদার খলিলুর রহমান খলিলকে দিয়ে একাধিক প্রকল্পের কাজ করানো হয়েছে। এসব
মেম্বারেরা জানান, তারা সাফ বলে দিয়েছেন পুরো বরাদ্দ দিলে কাজ করবেন নইলে কোনো কাজ করবেন না। কারণ তারা তৃনমুলের জনপ্রতিনিধি, কাজ ভালো ভাবে না করলে তাদের জনগণের কাছে জবাব দিতে হয়। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) প্রকৌশলী তারিকুল ইসলাম  বলেন, প্রকল্প অনুমোদন হয় নি। তবে প্রকল্পের সুনির্দিষ্ট তথ্য জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এমপির বিশেষ বরাদ্দের ৪০ শতাংশ টাকা কেটে নেওয়া হয় এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কে কাটে জানি না, যারা এসব বলে তাদেরকে প্রমান করতে বলবেন।