“রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার দুর্গম সাজেকে দুর্বৃত্তের গুলিতে যুবক নিহত”


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ১, ২০২২, ৮:১৭ অপরাহ্ন / ২৫৪
“রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার দুর্গম সাজেকে দুর্বৃত্তের গুলিতে যুবক নিহত”

“রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার দুর্গম সাজেকে দুর্বৃত্তের গুলিতে যুবক নিহত”
মোঃ ইব্রাহিম শেখ চট্টগ্রাম ব্যুরো:

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার দুর্গম সাজেকে দুর্বৃত্তের গুলিতে সুকেন চাকমা
(২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরেক যুবক সজীব চাকমা।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) সকালে সাজেক ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের নিউলংকর দাদিপাড়া মিড পয়েন্ট এলাকায়
এই ঘটনা ঘটে। চিকিৎসার জন্য সজীব চাকমাকে দিঘীনাল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন
স্থানীয়রা।
সাজেক ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মহলাল চাকমা জানান, এলাকাটি জেএসএসের
নিয়ন্ত্রণাধীন। শুনেছি ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) নেতাকর্মীরা গতরাতে এসেছিল।
আজ সকালে সুকেন ও সজীব মোটরসাইকেল নিয়ে ভাড়ার জন্য বাসা থেকে বের হচ্ছিলেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা
ইউপিডিএফ সদস্য মনে করে তাদের দিকে গুলি ছোড়ে। এতে সুকেন ঘটনাস্থলেই মারা যান। সজীবকে আহত
অবস্থায় দিঘীনালা হাসপতালে পাঠানো হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। তারা রুইলুই ও মাচালং এলাকায় ভাড়ায়
মোটরসাইকেল চালিয়ে থাকেন। ওই এলাকাটি পাহাড়ি সংগঠন জেএসএসের নিয়ন্ত্রণাধীন হিসেবে পরিচিত। তবে
এই ঘটনায় কারা জড়িত তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি।’
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার
বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি কোনও অস্ত্রের রাজনীতি করে না। আমাদের কাছে কোনও ধরনের
অস্ত্র নেই। আমরা গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী। সাজেকের ঘটনার সাথে জেএসএস কোনোভাবে জড়িত না।
ওই এলাকা জেএসএসের নিয়ন্ত্রণাধীন হলেও অন্য কেউ ঘটনা ঘটিয়ে জেএসএসকে দায়ী করছে।’
রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদা বেগম বলেন, ‘ঘটনাটি দুর্গম এলাকায় ঘটেছে। পুলিশ সেখানে
গিয়েছে। মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক না থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না।’

“৪ ডিসেম্বর জনতার ঢলে ‘মহাপ্লাবন ওঠবে চট্টগ্রামে”
মোঃ ইব্রাহিম শেখ চট্টগ্রাম ব্যুরো:

আগামী ৪ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা আগমনকে কেন্দ্র করে মহানগর আওয়ামী লীগের
চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল সকালে প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে সুসজ্জিত ঘোড়ায় টানা গাড়ি করে প্রচারণা শুরু
করা হয়। প্রচারণা উদ্বোধন করেন মহানগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চসিক মেয়র বীর
মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
উদ্বোধনকালে মেয়র বলেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের গৌরবময় ভূমিকা রয়েছে।
চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী নিজের কাঁধে নিয়ে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে
এবারও হয়তো চট্টগ্রামবাসীকে নিরাশ করবেন না। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে স্বাগত জানাতে চট্টগ্রামের মানুষের মনে ব্যাপক
চাঞ্চল্য ও আনন্দের ঢেউ লেগেছে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ সর্বসাধারণের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
এ উপলক্ষে নগরীকে সাজিয়ে তুলতে সিটি করপোরেশনও ব্যাপক উদ্দীপনা নিয়ে কাজ করছে। নতুন করে রঙ করা হয়েছে
নগরীর প্রধান ও বড় দুই ফ্লাইওভার, নগরীর প্রতিটি সড়ক ডিভাইডার, সড়কদ্বীপসমূহ নান্দনিকভাবে সাজিয়ে তোলা
হচ্ছে। ‘লক্ষ লক্ষ মানুষের রঙিন উপস্থিতিতে উন্নয়নের নেত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে সকল প্রকার প্রস্তুতি নেয়া
হয়েছে। চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের মানুষ আর পিছনে ফিরবে না, শেখ হাসিনাকে বার বার বিজয়ী করে জয় বাংলা বলে উন্নত
বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাবে।
সভায় বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনার জনসভা আমাদের জন্য একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ। আমরা প্রমাণ করবো যে, ওইদিন
চট্টগ্রামে জনতার ঢল মহাপ্লাবণের মতো জেগে উঠবে। ঘুরে দাঁড়ানোর পথে চট্টগ্রাম শেখ হাসিনার একটি সহায়ক শক্তি।
সকল ষড়যন্ত্র তাসের ঘরের মতো ভেসে দিতে আমাদের প্রতিটি স্তরের নেতাকর্মীদের কর্তব্য হবে জনমানুষের সাথে সংযোগ
বাড়িয়ে সরকার ও শেখ হাসিনার ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করা। প্রচারণা উদ্বোধনশেষে ঘোড়ার গাড়ি নিয়ে নেতৃবৃন্দ জামালখান, আন্দরকিল্লা, কোতোয়ালী, নিউমার্কেট, বাটালি রোড, কাজীর দেউড়ি এসে শেষ হয়। বিকাল তিনটায় ট্রাকযোগে শাহআমানত সেতু, বহদ্দারহাট ও কালুরঘাট এলাকায় প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন, মহানগর আওয়ামী লীগের
সহসভাপতি এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম
সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, কোষাধ্যক্ষ আবদুছ ছালাম, শফিক আদনান, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী,
আবদুল আহাদ, বখতিয়ার উদ্দিন খান, কাউন্সিলর মোহাম্মদ জাবেদ, কাউন্সিলর নিলু নাগ, মালেকা চৌধুরী, দেবাশীষ
নাথ দেবু, দেলোয়ার হোসেন খোকা, ফরিদ মাহমুদ, কেবিএম শাহজাহান, সাদেক হোসেন পাপ্পু, আবুল হোসেন আবু, ইমরান
হোসেন ইমু, জাকারিয়া দস্তগীর, শফিউল আজম বাহারসহ মহানগর আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, মহিলা
যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য আজ বুধবার বিকাল তিনটায় প্রেস ক্লাব থেকে ট্রাকযোগে নগরীর বিভিন্ন স্থানে প্রচার কার্য পরিচালনা করা হবে।
প্রচার অনুষ্ঠানে সবাইকে উপস্থিত থাকার আহবান জানিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ

“মিতু হত্যা: ২ আসামিকে আদালতে হাজিরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির আদেশ”
মোঃ ইব্রাহিম শেখ চট্টগ্রাম ব্যুরো:

সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম হত্যা মামলায়
পলাতক দুই আসামিকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ হয়েছে।
পলাতক দুই আসামি হলো- মো. কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসা ও মো. খাইরুল ইসলাম ওরফে
কালু।বুধবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবদুল হালিম এ
আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) কামরুল হাসান।এর আগে গত
১০ অক্টোবর মামলায় বাবুল আক্তারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া
অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার পলাতক আসামি মুছা ও কালুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি
পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
পুলিশ কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, পলাতক দুই আসামির ঠিকানায় গিয়ে তাঁদের খুঁজে পায়নি পুলিশ। এ
কারণে মামলার বিচারকাজ শুরুর আগে আসামিদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার আদেশ
দিয়েছেন আদালত।
তবে মুসার স্ত্রী পান্না আক্তার জানান, ঘটনার সপ্তাহখানেক পর তার স্বামীকে ডিবি পুলিশ পরিচয় ধরে নেওয়া
হয়। তার পর থেকে স্বামীর খোঁজ পাচ্ছেন না তিনি।
২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে নগরীর জিইসি এলাকায় মাহমুদাকে কুপিয়ে ও
গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন ৬ জুন মাহমুদার স্বামী বাবুল বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা
করেন। পরে স্ত্রী খুনের মামলায় বাবুলকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। পিবিআইয়ের অভিযোগপত্রে বাবুলকে প্রধান
আসামি করা হয়। তিনি ছিলেন এই মামলার বাদী।
পিবিআইয়ের অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
থাকাকালে বাবুলের সঙ্গে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক নারী কর্মকর্তার সম্পর্ক হয়। এ সম্পর্কের জেরে
বাবুলের পরিকল্পনায় মাহমুদাকে খুন করা হয়। এ জন্য বাবুল সোর্সের মাধ্যমে তিন লাখ টাকায় খুনি ভাড়া
করেন।

“চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী ভারতে শ্বাসরোধে হত্যা”
মোঃ ইব্রাহিম শেখ চট্টগ্রাম ব্যুরো:

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী নুরনবী ম্যাক্সনকে ভারতে
শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) রাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের
বর্ধমান জেলার কালিগঞ্জে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ম্যাক্সনের ছোট ভাই আবছার উদ্দিন বলেন, গতকাল রাতে কলকাতার বর্ধমান জেলার
কালিগঞ্জে আমার ভাই ম্যাক্সনকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। অনামিকা নামের এক নারী ঘুমের ওষুধ খাইয়ে
আমার ভাইকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে।
এই নারী আমার ভাইকে ভারতের গ্রিন কার্ড, আধার কার্ড পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে প্রথম দিকে ৪ লাখ টাকা
দাবি করেছিলেন। আমি প্রথমে চার লাখ টাকা পাঠিয়েছিলাম। গতকাল বিকেলে ওই নারী আবার ১৮ লাখ টাকা
দাবি করেন। আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম- আপনি তো প্রথমে ৪ লাখ টাকা চেয়েছিলেন। জবাবে তিনি বলেন,
আপনার ভাই সন্ত্রাসী তাই টাকা বেশি লাগবে। আমি এতো টাকা দিতে না পারায় গতকাল রাতে আমার ভাইকে
হত্যা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, কালিগঞ্জ পুলিশের সাথে আমাদের যোগাযোগ হয়েছে। আমরা কলকাতায় যাব। সেখানে
একটি হত্যা মামলা দায়ের হবে বলে পুলিশ আমাদের জানিয়েছে।
বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস জাহান বলেন, তার পরিবার আমাদের মৃত্যুর বিষয়টি
জানিয়েছে। আমরা কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাব। এরপর কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করলে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।