Dhaka ০৮:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“মিশ্র দেশি-বিদেশি ফল চাষে সাফল্য-বানিজ্যিক ভাবে আয়ের সম্ভাবনা”

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:২০:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২
  • ৯৯২ Time View

“মিশ্র দেশি-বিদেশি ফল চাষে সাফল্য-বানিজ্যিক ভাবে আয়ের সম্ভাবনা”

আবুল কালাম আজাদ, উলিপুর প্রতিনিধি  –
কুড়িগ্রামের উলিপুরে উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের রাজারাম গ্রামের সাঈদুল ইসলাম জুবরায মিশ্র দেশি-বিদেশি ফলের চাষ করে বানিজ্যিক ভাবে আয়ার সম্ভাবনা দেখছেন উক্ত মিশ্র ফল চাষি। সরেজমিন উপজেলার রাজারাম গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ৮০ শতক জমিতে লাগিয়েছেন মিশ্র দেশি-বিদেশি বিভিন্ন রকমের ফলের গাছ। প্রায় বেশির ভাগ ফলের গাছে ফল এসেছে। প্রচুর পরিমাণ ফল দেখা যায় উক্ত মিশ্র ফলের গাছ গুলোতে। জানা যায়, বিভিন্ন জাতের ফলের চারা সংগ্রহ করেছেন দেশ ও দেশের বাহিরে ভারত, দুবাই ও জাপান থেকে। এখন মিশ্র ফলেন বাগানে এক মনরোম পরিবেশ যা দেখতেই ভালো লাগে। এ সকল মিশ্র ফলের চারা অনেক কষ্ট করে সংগ্রহ করেছেন বলে জানান তিনি। তিনি বলেন যে ভাবে ফল আসা শুরু হয়েছে তাতে চারা সংগ্রহের কষ্ট আর মনে হয়না।
উক্ত মিশ্র ফলের বাগানের গাছ গুলোর মধ্যে, কমলা ২২ প্রকার জাতের তার মধ্যে ডারজিলিং, ছাতক, ছাতকি, চায়না(রামরঙ্গন), চায়না, জাপানি ডেকোপেন, ওয়ারি শাকসুমা, নাকপুরি, খাশিয়া মেণ্ডারি সহ আরও অনেক। মাল্টাজাত এর মধ্যে বাড়ি ওয়ান, সাউত আফ্রিকা ইয়োলো, বাউ থ্রি, মিশোরিয়। আপেল এর মধ্যে এইচ আর এম নাইনটি নাইন(ভারত), আন্না(এস্রাইল), ট্রোপিকাল বিউটি (আমিরিকা) ও রেড লাভ। আঙ্গুর ফলের চারার নাম সুপার সোলাকা। আম এর চারার নাম আফ্রিকান বারো সাথি, কাটিমন, বাড়ি ফোর, গৌর মতি, খিসসাপাত, মোহনভোগ ও আম্রপালি। পেয়ারার মধ্যে সুপার টেন, থাই সেভেন। সরিফার মধ্যে এম এম কে ওয়ান(ভারত), এরাবিয়ান সাদা, এরাবিয়ান লাল। খেজুর গাছ এর মধ্যে আজোয়া। ড্রাগন এর মধ্যে রেড ভেলভেট, আমিরিকান বিউটি, পিংরোজ, ইজ্রাইল ইয়োলো, বাড়ি ওয়ান ও বাড়ি টু। বেদেনার ফলের মধ্যে এস সিটি, সুপার ভাগোয়া। এ চড়াও বিদেশি বরই, লেবু, আনারস, কলা, নাড়িকেল, আমলকি সহ অনেক জাতের ফল।
মিশ্র ফল চাষি সাঈদুল ইসলাম জুবরায বলেন, আমি মিশ্র ফলের বাগান সাজিয়েছি প্রায় ৮০ শতক জমির ওপর। উক্ত বাগানে বিভিন্ন জাতের ফলের চারা দেশ-বিদেশ থেকে অনেক টাকা ও অনেক কষ্ট করে সংগ্রহ করেছি। আমি দীর্ঘ ৩ বছর যাবৎ এ বাগান পরিচর্যা করে আসতেছি। আশা করি এ বছর থেকে বানিজ্যিক ভাবে আয় করতে পারব। আমার বাগানে বিভিন্ন ধরনের ফল এসেছে সে গুলো খেতে অনেক সু-স্বাদু। তিনি বলেন আমার মিশ্র ফলের বাগান করতে এপর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। আশা করি যে ভাবে ফলন এসেছে তাতে খরচের টাকা উঠিয়ে লাভবান হতে পারব বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বলেন, মিশ্র ফলের বাগান করেছেন একজন সফল ফল চাষি। বাগানে অনেক ধরের ফল এসেছে। এ বছর বানিজ্যিক ভাবে আয় করতে পারবেন উক্ত মিশ্র ফল চাষি। বিভিন্ন ধরনের রোগবালাই ও পোকামাকড় সম্পর্কে নিয়মিত  পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস থেকে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা অব্যবহত রয়েছে বলে জানান তিনি।”
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

পদন্নতিতে পুনরায় বৈষম্যের শিকার জনতা ব্যাংক অধিকাংশ কর্মকর্তা

“মিশ্র দেশি-বিদেশি ফল চাষে সাফল্য-বানিজ্যিক ভাবে আয়ের সম্ভাবনা”

Update Time : ০৪:২০:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২

“মিশ্র দেশি-বিদেশি ফল চাষে সাফল্য-বানিজ্যিক ভাবে আয়ের সম্ভাবনা”

আবুল কালাম আজাদ, উলিপুর প্রতিনিধি  –
কুড়িগ্রামের উলিপুরে উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের রাজারাম গ্রামের সাঈদুল ইসলাম জুবরায মিশ্র দেশি-বিদেশি ফলের চাষ করে বানিজ্যিক ভাবে আয়ার সম্ভাবনা দেখছেন উক্ত মিশ্র ফল চাষি। সরেজমিন উপজেলার রাজারাম গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ৮০ শতক জমিতে লাগিয়েছেন মিশ্র দেশি-বিদেশি বিভিন্ন রকমের ফলের গাছ। প্রায় বেশির ভাগ ফলের গাছে ফল এসেছে। প্রচুর পরিমাণ ফল দেখা যায় উক্ত মিশ্র ফলের গাছ গুলোতে। জানা যায়, বিভিন্ন জাতের ফলের চারা সংগ্রহ করেছেন দেশ ও দেশের বাহিরে ভারত, দুবাই ও জাপান থেকে। এখন মিশ্র ফলেন বাগানে এক মনরোম পরিবেশ যা দেখতেই ভালো লাগে। এ সকল মিশ্র ফলের চারা অনেক কষ্ট করে সংগ্রহ করেছেন বলে জানান তিনি। তিনি বলেন যে ভাবে ফল আসা শুরু হয়েছে তাতে চারা সংগ্রহের কষ্ট আর মনে হয়না।
উক্ত মিশ্র ফলের বাগানের গাছ গুলোর মধ্যে, কমলা ২২ প্রকার জাতের তার মধ্যে ডারজিলিং, ছাতক, ছাতকি, চায়না(রামরঙ্গন), চায়না, জাপানি ডেকোপেন, ওয়ারি শাকসুমা, নাকপুরি, খাশিয়া মেণ্ডারি সহ আরও অনেক। মাল্টাজাত এর মধ্যে বাড়ি ওয়ান, সাউত আফ্রিকা ইয়োলো, বাউ থ্রি, মিশোরিয়। আপেল এর মধ্যে এইচ আর এম নাইনটি নাইন(ভারত), আন্না(এস্রাইল), ট্রোপিকাল বিউটি (আমিরিকা) ও রেড লাভ। আঙ্গুর ফলের চারার নাম সুপার সোলাকা। আম এর চারার নাম আফ্রিকান বারো সাথি, কাটিমন, বাড়ি ফোর, গৌর মতি, খিসসাপাত, মোহনভোগ ও আম্রপালি। পেয়ারার মধ্যে সুপার টেন, থাই সেভেন। সরিফার মধ্যে এম এম কে ওয়ান(ভারত), এরাবিয়ান সাদা, এরাবিয়ান লাল। খেজুর গাছ এর মধ্যে আজোয়া। ড্রাগন এর মধ্যে রেড ভেলভেট, আমিরিকান বিউটি, পিংরোজ, ইজ্রাইল ইয়োলো, বাড়ি ওয়ান ও বাড়ি টু। বেদেনার ফলের মধ্যে এস সিটি, সুপার ভাগোয়া। এ চড়াও বিদেশি বরই, লেবু, আনারস, কলা, নাড়িকেল, আমলকি সহ অনেক জাতের ফল।
মিশ্র ফল চাষি সাঈদুল ইসলাম জুবরায বলেন, আমি মিশ্র ফলের বাগান সাজিয়েছি প্রায় ৮০ শতক জমির ওপর। উক্ত বাগানে বিভিন্ন জাতের ফলের চারা দেশ-বিদেশ থেকে অনেক টাকা ও অনেক কষ্ট করে সংগ্রহ করেছি। আমি দীর্ঘ ৩ বছর যাবৎ এ বাগান পরিচর্যা করে আসতেছি। আশা করি এ বছর থেকে বানিজ্যিক ভাবে আয় করতে পারব। আমার বাগানে বিভিন্ন ধরনের ফল এসেছে সে গুলো খেতে অনেক সু-স্বাদু। তিনি বলেন আমার মিশ্র ফলের বাগান করতে এপর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। আশা করি যে ভাবে ফলন এসেছে তাতে খরচের টাকা উঠিয়ে লাভবান হতে পারব বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বলেন, মিশ্র ফলের বাগান করেছেন একজন সফল ফল চাষি। বাগানে অনেক ধরের ফল এসেছে। এ বছর বানিজ্যিক ভাবে আয় করতে পারবেন উক্ত মিশ্র ফল চাষি। বিভিন্ন ধরনের রোগবালাই ও পোকামাকড় সম্পর্কে নিয়মিত  পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস থেকে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা অব্যবহত রয়েছে বলে জানান তিনি।”