“মিথ্যা স্বাক্ষী না দেওয়ায় কাল হলো  প্রবাসী আব্বাসের”


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ১৮, ২০২২, ৩:৪৪ অপরাহ্ন / ৩২১
“মিথ্যা স্বাক্ষী না দেওয়ায় কাল হলো  প্রবাসী আব্বাসের”

মিথ্যা স্বাক্ষী না দেওয়ায় কাল হলো  প্রবাসী আব্বাসের

স্টাফ রিপোর্টার যশোরঃ-

পক্ষে স্বাক্ষী না দেওয়ায় কাল হলো প্রবাসী আব্বাসের।জীবননাশের ভয়ে মালয়শিয়া থেকে ফিরে আসতে হলো জন্মভূমি বাংলাদেশে।তবুও রক্ষা নাই  ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া ইউনিয়নের  দিঘদানা গ্রামের প্রবাসী জিয়ার চক্রের হাত থেকে। জানা যায় জীবিকার তাগিদে যশোর মণিরামপুর উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের আব্বাস উদ্দীন সংসারের স্বচ্চলতা ফিরাতে পাড়ি জমান মালয়শিয়া। কিছু দিন কাজ করে যখনি ঘুরে দাড়িয়েছিলেন ঠিক তখনি নেমে আসে প্রবাস জীবনে কালো ছায়া।শুরু হয় চক্রান্তকারীদের চক্রান্ত।এবিষয়ে আব্বাসের সাথে কথা বলে জানা যায় ফেসবুকে দেওয়া চুরির অপবাদে পোস্ট সম্পর্কে বিস্তারিত। মূল ঘটনা ভিন্নখাতে নিতে প্রবাসী জিয়ার চক্রান্তের জালে জড়িয়ে পড়েন আব্বাস।একই রুমে থাকার সুবাদে এবং পাশ্ববর্তী উপজেলার মানুষ হওয়ার কারনে তিনি এ চক্রান্তে জড়িত হতে বাধ্য হয় বলে জানান।ঘটনা  সূত্রে  জৈনেক মোতালেব নামক এক ব্যক্তির নিকট জিয়ার আর্থিক লেনদেন থাকায় তাকে ধরে আনে  এক চীনা প্রবাসির সহযোগিতায় নিজ রুমে।আর পূর্ব পরিকল্পিত  ভাবে ১৩ সেপ্টেম্বর  তাকে ধরে এনে বেদড়ক মারপিট করে দুই জন মিলে। মারপিটের একপর্যায়ে মোতালেবের নিকট থেকে মালাই সাত হাজার রিংগিত কেড়ে নিয়ে তাড়িয়ে দেন তারা।এবিষয়ে মোতালেব মালাইশিয়া প্রশাসনের নিকট অভিযোগ দায়ের করলে তাত্ক্ষণিক জিয়ার ও চিনা প্রবাসী কে আটক করেন। ১৫ সেপ্টেম্বর পুলিশ আটক করলে ২০ সেপ্টেম্বর জরিমানা ৩৫ হাজার রিংগিত, আইসি এবং হাইলাক্স গাড়ী রেখে জামিনে মুক্ত হয় দুইজন।একই দিনে জেল থেকে ফিরে এসে নিজ রুমের দরজা, একটি বাইক নিজে ভাংচুর করে থানায় মামলা দায়ের করতে যায় তবে প্রশাসন তার মামলা রেকর্ড না করায় ফিরে আসে।এসময় পরিকল্পনা এটে পরদিন ২১ সেপ্টেম্বর জিয়ার আবারও থানায় যায় আব্বাস ও হেলাল কে সাথে নিয়ে এবং তাদের দুই জনকে স্বাক্ষী করে পুনারায় মামলা করে জিয়ার। মামলা দায়ের পরপরই হেলাল ঝামেলা এড়াতে গত ২৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে চলে আসে এবং আব্বাস ৯ অক্টোবর একই কারনে বাংলাদেশে চলে আসে।যে কারনে ক্ষিপ্ত হয়ে জিয়ার মিথ্যা বানোয়াট মনগড়া চুরির অপবাদ দিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় মানহানিকর পোস্ট করে। যা সকল বাংলাদেশী প্রবাসী সহ দেশের মানুষের সম্মানক্ষুন্ন হয়।পাশাপাশি জিয়ার উক্ত ঘটনার আগেও বিভিন্ন ধরনের বাজে কাজে জড়িত বলে জানান আব্বাস। আব্বাস আরো জানান গত ৬ অক্টোবর ঘটনা স্থানের একই রুমে ইন্দোনেশিয়ার একটি মেয়ে নিয়ে আসে জিয়ার এবং তার সাথেও কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাকেও বেদম মারপিট করে বলে জানান আব্বাস ও হেলাল।এবিষয়ে আব্বাস জানান আমরা তার মিথ্যা মামলার স্বাক্ষী না দেওয়ার জন্য আমাকে নিয়ে মিথ্যা চুরির অপবাদ দিয়ে ফেসবুকে লেখালেখি করলে ১০ অক্টোবর আমার নজরে আসে।আমি উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং জিয়ার মতো সকল খারাপ মানুষের সুচিন্তা ফিরে পেতে রাব্বুল আলামিনের নিকট দোয়া কামনা করি।তারা যেন আর কোন মানুষ কে নিয়ে প্রতারনা না করার মানসিকতা সৃষ্টি না করতে পারে।