মাধবপুরে ৪’টি ইউপি’র কমপ্লেক্স ভবনে ঝুঁকিপূর্ণ নিয়ে সেবা কার্যক্রম চলছে।


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ২৪, ২০২২, ৪:০৭ অপরাহ্ন / ২৭২
মাধবপুরে ৪’টি ইউপি’র কমপ্লেক্স ভবনে ঝুঁকিপূর্ণ নিয়ে সেবা কার্যক্রম চলছে।
মাধবপুরে ৪’টি ইউপি’র কমপ্লেক্স ভবনে ঝুঁকিপূর্ণ নিয়ে সেবা কার্যক্রম চলছে।
নাহিদ মিয়া মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
ইউনিয়ন পরিষদ হলো গ্রামের সাধারণ মানুষের সবচেয়ে কাছের সেবা প্রদান প্রতিষ্ঠান। এ জন্য বলা হয়ে থাকে ইউনিয়ন পরিষদ হলো স্থানীয় সরকারের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি প্রতিষ্ঠান। দেশের স্থানীয় পর্যায়ে অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ ও শক্তিশালী একটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ। কিন্তু হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের জরাজীর্ণ অবস্থা হলেও নজর নেই কর্তৃপক্ষের। সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাধবপুর উপজেলায় রয়েছে ১১টি ইউনিয়ন পরিষদ। ৭টি ইউনিয়ন পরিষদে এর মধ্যে কমপ্লেক্স হয়েছে। এখনও পুরাতন ভবনে চৌমুহনী, আদাঐর, শাহজাহানপুর, ও জগদীশপুর ইউনিয়ন। এর মধ্যে চৌমুহনী শাহজানপুর ও জগদীশপুর এই ৩টি ইউনিয়ন পরিষদ অধিকতর ঝুঁকিপূর্ণভাবে সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
একটি সূত্রে জানায়, পরিষদের জন্য উপযুক্ত জায়গা না পাওয়ায় এ সকল ইউনিয়ন পরিষদে কমপ্লেক্স নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে চৌমুহনী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ জানান, আদাঐর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মীর খোরশেদ, জগদীশপুর ইউপি  চেয়ারম্যান মোঃ মাসুদ খান, চেয়ারম্যান পারভেজ চৌধুরী জানান, শাহজাহানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ হাসান চৌধুরী বলেন মুক্তিযোদ্ধের ইতিহাস সাথে জড়িয়ে রয়েছে শাহজাহানপুর ইউনিয়নের নাম। ১৯৬৩ সালে শাহজাহানপুর ইউনিয়ন পরিষদ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে থেকেই ছোট একটি  ভবনেই কাজ করছেন চেয়ারম্যান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা , মেম্বার, উদ্যোক্তা, ব্যাংক ও চকিদারগণ। রুম সংকটের কারনে দিনদিন কাজের পাশাপাশি গ্রাম আদালত বিচারিক কাজ কর্ম বেগ পেতে হচ্ছে জনপ্রতিনিধিদের। সেবাগহীতা  গাদাগাদি করে সেবা নিয়েছেন। কমপ্লেক্স ভবনটি হলে ইউনিয়ন বাসির নাগরিক সুবিধা আরো বেড়ে যেত। চৌমুহনী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ বলেন, পুরাতন ভবন জনসাধারনকে সেবা দেওয়া হচ্ছে। ভুমি জটিলতার কারণে চৌমুহনী ইউনিয়ন কমপ্লেক্স ভবন হচ্ছে না। সরকারি সহযোগীতায় ভুমি জটিলতা কাটিয়ে কমপ্লেক্স ভবন হলে জনসাধারন সেবার মান আরোও বেড়ে যেত।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের মাধবপুর উপজেলা প্রকৌশলী শাহ আলম জানান, ভূমি সংকটের কারণে চারটি ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। আগে একটি কমপ্লেক্স ভবন করতে ৫০শতক ভূমির প্রয়াজন ছিল। এখন ২৫ শতক ভূমি হলে কমপ্লেক্স ভবন করা যায়। যে চারটি ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণ বাকি রয়েছে চেয়ারম্যানগণ ২৫ শতক ভূমি দিলে আমরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরে পাঠানো হবে।
বার্তা প্রেরক
নাহিদ মিয়া
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
০১৭৫২-১৮২৪৬৭