মাধবপুরে সাইনবোর্ডবিহীন বেকারিতে নোংরা ও পরিবেশে ফুড আইটেম উৎপাদন।


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২৬, ২০২২, ৮:৩৩ অপরাহ্ন / ৩৬২
মাধবপুরে সাইনবোর্ডবিহীন বেকারিতে নোংরা ও পরিবেশে ফুড আইটেম উৎপাদন।
মাধবপুরে সাইনবোর্ডবিহীন বেকারিতে নোংরা ও পরিবেশে ফুড আইটেম উৎপাদন।
নাহিদ মিয়া,মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি –
হবিগঞ্জের মাধবপুরে এ.কে বেকারি নামের একটি ফাস্ট ফুড উৎপাদনকারী প্রতিষ্টান নিয়মনীতির প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রকাশ্যে নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে বিভিন্ন ফাস্ট ফুড আইটেম তৈরী করে বাজারজাত করছে।বিএসটিআইর অনুমোদন না থাকলেও উৎপাদনের এবং মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ সংবলিত ভূয়া লেবেল লাগিয়ে উৎপাদিত সামগ্রী মোড়কজাত করে বাজারজাত করেনের মাধ্যমে ভোক্তা গ্রাহকদের প্রতারিত করে আসছে।গ্রাহকেরা রয়েছেন স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে।
মাধবপুর পৌর শহরে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের পুর্বপার্শ্বে মোল্লা মার্কেটে বিশালায়তনের এই বেকারি কারখানায় ৭/৮ জন শ্রমিক রয়েছে যাদের বেশীরভাগই মহিলা ও কিশোরী।সাইনবোর্ডবিহীন এ বেকারি কারখানাটিতে পাউরুটি,বন,নানা ধরনের কেক,ভেজিটেবল রোল ও পেটিস তৈরী করা হয়।
স্যাতস্যাতে নোংরা ফ্লোরে বসে মহিলাদের পিঁয়াজ কাটতে ও ময়দা মাখাতে দেখা গেছে।ময়দা মাখানোর সময় তাদের হাতে কোনো গ্লাভস ব্যবহার করতে না দেখে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা চুপ করে থাকেন।একটু পর আবুল খায়ের নামে এক ব্যক্তি এসে নিজেকে এই বেকারির মালিক বলে পরিচয় দেন।তিনি এটিকে এ.কে. বেকারি বলে উল্লেখ করেন এবং নিজেকে ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা পত্রিকার সহ সম্পাদক পরিচয় দিয়ে বলেন তিনি জাতীয় পর্যায়ের সাংবাদিক।তার এখানে সাংবাদিকেরা কেন এসেছে?কথাবার্তার এক পর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন বেকারি পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউট (বি এস টি আই)এর কোনোরূপ অনুমোদন নেই তার।স্থাণীয় পৌরসভা থেকে ট্রেড লাইসেন্সও করেন নি তিনি।তিনি দাবি করেন এই বেকারিটি মাস দুয়েক আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক ব‍্যবসায়ীর কাছ থেকে তিনি কিনে নিয়েছেন।অনুমোদন সংক্রান্ত কাগজপত্র তিনি শীঘ্রই সংগ্রহ করবেন।খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে আবুল খায়ের মাধবপুর পৌর এলাকার মৃত হুরন আলীর পুত্র।কিছুদিন মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেছেন।তিনি একেক সময় একেক পরিচয় দিয়ে থাকেন।মাধবপুরের কয়েকজন সাংবাদিক জানিয়েছেন আবুল খায়ের নামে কোনো সাংবাদিককে তারা চিনেন না।তারা তার পরিচয় নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বলেছেন এই বেকারিটি আবুল খায়েরের এটা তারা জানেন তবে তিনি একজন সাংবাদিক এমন কথা তাদের জানা নেই।
মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মহিবুর রহমান জানান,এটা দেখার কথা পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের।
মাধবপুর পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর স্বরজিত রায় জানান,এমন কোনো বেকারির তথ্য তার জানা নেই।তবে তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন।
বার্তা প্রেরক
নাহিদ মিয়া
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।
০১৭৫২১৮২৪৬৭
০১৭৫০০০৪৬৭৫
জুড়ীর দুই আদম ব্যবসায়ী সাঈদুল ও দেলোয়ার চক্র দুবাইয়ে ভিসা দেয়ার নামে ২০ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে উধাও দুবাইতে । 
শাহরিয়ার শাকিল, বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:
 বহুল আলোচিত জুড়ীর পলাতক সেই আদম ব্যবসায়ী অবশেষে আমিরাতে আটকের পর জনতার গনধোলাইয়ের শিকার। জানাযায় মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ৬ নং সাগরনাল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের জাঙ্গালিয়া গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে  মোঃ সাইদুল ও একই গ্রামের মোস্তফা উদ্দিন ছেলে দেলোয়ার হোসাইন ও  এর বিরুদ্ধে টাকা বিদেশে নেওয়ার নামে কয়ক লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে দেশে ও বিদেশে। দুবাইতে ঐ ২ প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে উম আল কোয়াইন সিটি ইউনাইটেড আরব আমিরাত থানায় । উম আল কোয়াইন সিটি ইউনাইটেড আরব আমিরাত থানায় মামলা হয়েছে (নাম্বার (202201022454) ক্রিমিনাল ইউনিফাইড নাম্বার  24291216.)। সরজমিন অনুসন্ধানে জানাযায়, ভুক্তভোগী দুবাই প্রবাসী জসিম উদ্দিন দুই প্রতারক সাইদুল এবং দেলোয়ারের কাছে ভিসা ভাবত বাংলাদেশী টাকায় চার লক্ষ ৪৬ হাজার ৪০০ টাকা পাবে।
সিলেটের বিশ্বনাথ এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে ইমন আলী বলেন, ভিসা দেওয়ার নামে সাইদুলের কাছে নগদ ৪০ হাজার  টাকা দিলে একমাস থেকে  সে আর ভিসা/টাকা কিছুই না দিয়ে প্রতারকরা আত্মগোপন করে পালিয়ে আছে। ভুক্তভোগী জামাল আহমেদ বলেন, একই কায়দায় দেলোয়ারের কাছে বাংলাদেশী টাকায় এক লক্ষ ২১ হাজার ৬০০ টাকা। সে আমাদের পাসপোর্ট ও টাকা নিয়ে পালিয়েছে। তার মোবাইল ফোনের নাম্বার বদলে ফেলেছে। ভুক্তভোগী দুবাই প্রবাসী নাজমুল ইসলাম বলেন, সহজ সরল প্রবাসী বাংলাদেশীদের মিষ্টি  কথার  জালে জড়িয়ে  মুহুর্তে আমাদের সকলের টাকা নিয়ে অন্যত্র  আত্মগোপন করে পালিয়ে যায় প্রতারক সাইদুল ও দেলোয়ার হোসাইন।
আরো বলেন, প্রতারক সাইদুল ও দেলোয়ার হোসাইন প্রতারণার স্বীকার হয়ে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশী তাদের বৈধতা হারাতে বসেছে | অসংখ্য বাংলাদেশীদের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করে পালিয়েছে উক্ত প্রতারক  সাইদুল ও দেলোয়ার হোসাইন তাদের সাথে আমাদের কাজের  চুক্তিপত্র হয়েছে সেটা  আমাদের কাছে আছে  কাগজপত্র আছে  আইনগত ব্যবস্থা খুব শীগ্র বাংলাদেশ এদের বিরুদ্ধে মামলা করব। আমার কাছ থেকে দেলোয়ার এবং সাইদুল ভিসা দেওয়ার কথা বলে বাংলাদেশী টাকায় ৩ লক্ষ ২৬ হাজার ৮০০ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। আমার চারজন লোককে উম আল কোয়াইন সিটিতে (Falcon pack ফাল্গুন প্যাক) প্যাকিং কোম্পানিতে ভিসার ব্যবস্থা এবং কাজের ব্যবস্থা করে দিবে বলে আমার চারজন লোক এবং চারটি পাসপোর্ট ও ১১৭৫০ দিরহাম যা বাংলাদেশী টাকায় তিন লক্ষ ছাব্বিশ হাজার ৮০০ টাকা এবং টাকা এবং পাসপোর্ট দেওয়ার পর তার কথামতো কাজ করে দেয়নি, চারজন লোককে কাজের ব্যবস্থা এবং ভিসার ব্যবস্থা করে দেয়নি। আমার চারজন লোক ভিজিট ভিসার লোক ছিলো একজন আমার ফুফাতো ভাই একজন আমার তালতো ভাই ও একজন আমার চাচাতো ভাই এবং আরো একজন আমার বন্ধুর ছোট ভাই ছিলো।
এই চারজন ভিজিট ভিসায় ইউনাইটেড আরব আমিরাতে এসেছিল। তিন মাসের ভিজিট ভিসার ছিলো। সাইদুল এবং দেলোয়ার কাজের এবং ভিসার ব্যবস্থা করে দিবে বলে তিন মাস এরকম করে আমার সাথে কোন ব্যবস্থা করে দেয়নি।
তিন মাস আমি অপেক্ষা করি। কোন কিছু করে দেয়নি, তিন মাস গত হওয়ার পর আমি অনেক টাকা লাগিয়ে আবার ওদের ভিজিট ভিসা নবায়ন করি।
তিন মাস গত হওয়ার পর আমি তার সাথে যোগাযোগ করলে টাকা পাসপোর্ট রিটার্ন দিবে বলে আমার সাথে ওয়াদা করে। অনেক তারিখ ও করে আমার সাথে কিন্তু কোন তারিখ মতো আমাকে একটি টাকাও দেয়নি।এরপর কিছুদিন পর নাম্বার চেঞ্জ করে দেয় স্থান পরিবর্তন করে নেয় এবং আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এরপর আমি বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করতে তাদের সাথে ব্যর্থ হই। তারপর একজন আইনজীবীর পরামর্শ দ্বারা আমি ইউনাইটেড আরব আমিরাতের উম আল কোয়াইন সিটিতে সাইদুল এবং দেলোয়ারের বিরুদ্ধে মামলা করি। তারা যে আমার কাছ থেকে টাকা এবং পাসপোর্ট নিয়েছে তার সব কাগজপত্র ডকুমেন্ট চুক্তি নামা ও মামলার সব কাগজপত্র আমার কাছে আছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মুসলিম উদ্দিন জানান  সাইদুল আমার এলাকার ছেলে তার ব্যাপারে  শত শত কমপ্লেন আছে  তার বাড়ির কেউ দায়িত্ব নিতে চান না অনেক মানুষে টাকা পান সে এখন লাপাত্তা তার কোন খবর নাই তার কাছে অনেক মানুষে টাকা পান আমরা শুনেছি বিদেশ বুঝি যারা  টাকা পাবেন তারা নাকি অনেক দিন আগে তাকে আটক করেছেন ।
তিনি আরো বলেন, অনেক মানুষ বড়লেখা ও চুনারুঘাট হবিগঞ্জ এবং জুড়ী জালালপুরের এলাকার   মানুষ  আমাদের কাছে এসেছেন পর  তাদের গার্জেনের কাছে নিয়ে যায় তার বাবা- ভাই কেউ  দায়িত্ব নেন না সবে বলেন সাইদুলের সাথে আমাদের কোন যোগাযোগ নাই এটা বলে তারা এড়িয়ে যান এখন আপনারা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন
অভিযুক্তের সাইদুল হোয়াটসঅ্যাপে রেকর্ড এর মাধ্যমে বলেন যারা টাকা পাবেন তাদেরকে হুমকি দিচ্ছে বলে আমার চোখের সামনে পড়ে গেলে দুনিয়া থেকে তাদেরকে  উঠাইয়া ফেলবো আমিরত থেকে। আরো বলেন আমিরতের মাটিতে সাইদুলের   বা.. ছেড়ার মত কেউ নাই কোন গো থাকলে কইও টাকা নিতো এ ধরনের নোংরামি ভাষায় হুমকি দিয়েছে।
সম্প্রতি সে আটক হলে মুচলেকার মাধ্যমে ছাড়া পেলেও সে পরবর্তিতে ভোক্তভোগীদের অর্থ, পাসপোর্ট কিংবা তাদের পাওনা ফিরি্য়ে না দিয়ে আবারও আত্মগোপনে চলে যায়।  আরব আমিরাতে তার বিরুদ্ধে মামলা থাকলেও ভোক্তভোগীরা দেশে কয়কটি পৃথক পৃথক মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানাযায়। অভিযুক্তের দেলোয়ার হোসাইনের মোবাইলে অসংখ্যবার কল করা হলেও ফোন রিসিভ না করায়  তার মতামত নেওয়া সম্ভব হয়নি |
শাহরিয়ার শাকিল
 বড়লেখা (মৌলভীবাজার)  প্রতিনিধি
মোবাইলঃ 01887880393