“মধু সুন্দরবনের ঐতিহ্য ও খুলনার গর্ব -তালুকদার আব্দুল খালেক”


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১৪, ২০২২, ৫:৫৮ অপরাহ্ন / ৩০৪
“মধু সুন্দরবনের ঐতিহ্য ও খুলনার গর্ব -তালুকদার আব্দুল খালেক”
“মধু সুন্দরবনের ঐতিহ্য ও খুলনার গর্ব -তালুকদার আব্দুল খালেক”
মোঃ শামীম হোসেন- খুলনা –
মৌয়াল, চাষি, বণিক, গবেষক ও ভোক্তার জাতীয় জোট এর উদ্যোগে মৌমাছি-মধু ৩য় জাতীয় সম্মেলন শনিবার দুপুরে নগরীর খুলনা কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র বলেন, মধু সুন্দরবনের ঐতিহ্য ও খুলনার গর্ব। খুলনা অঞ্চল সুন্দরবনের নিকটবর্তী হওয়ায় এখানে মধুর প্রাপ্যতা বেশি। এ অঞ্চল থেকে সঠিকভাবে প্রক্রিয়াজাত করার মাধ্যমে বিশে^র বিভিন্ন দেশে মানসম্মত মধু রপ্তানি বৃদ্ধি করা সম্ভব। বিএসটিআইসহ অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মধুর আদর্শমান অর্জন সাপেক্ষে খুলনাকে মধু নগরী হিসেবে গড়ে তোলা যেতে পারে। মধুর বহুমাত্রিক গুণের কারণে ইসলাম ধর্মে মধু খাওয়াকে উৎসাহিত করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, শর্করা ছাড়াও মধুতে আছে কয়েক প্রকার এনজাইম যা প্রাণিকোষসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। মধুতে ডায়াস্টেড ইনভারটেজ, স্যাকারেজ, ক্যাটালেজ, পারঅক্সিডেজ, লাইপেজের মতো এনজাইম থাকে। অন্য খাদ্যের তুলনায় মধু স্বাস্থ্যকর। মৌয়াল, চাষি, বণিক, গবেষক ও ভোক্তার জাতীয় জোট বর্তমানে প্রায় ১৩ হাজার সদস্যের একটি পরিবার। জোটটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই মৌমাছি ও মধু বিষয়ক সচেতনতা, সমাজে প্রচলিত মধু বিষয়ক ভুলধারণা দূরীকরণ এবং গবেষক, চাষী, উৎপাদক, ব্যবসায়ী ও ভোক্তার সেতুবন্ধন ও সুসম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন ধরণের প্রদর্শনী, সভা, সেমিনার, মধু মেলা, সুন্দরবনে হানি ট্যুরিজম ইত্যাদি ফলপ্রসূ কার্যক্রমের আয়োজন করে আসছে। উদ্যোক্তা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশীয় মধুর সঠিক বিপণন, বেকারত্ব দূরীকরণ ও অর্থনীতিতে প্রভাব বিস্তারে ভুমিকা পালন করছে। মৌমাছি ও মধু জোটের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ মঈনুল আনোয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়ের কীটতত্ত বিভাগের অধ্যাপক ড. আহসানুল হক স্বপন, খুলনা বিএসটিআই’র পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ সেলিম রেজা, সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারুক আহমেদ, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা, বাংলাদেশ সুগার ক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের কীটতত্ত¡ বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ আতাউর রহমান, খুলনা ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাজমুল আজম ডেভিড প্রমুখ। সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের ব্যানার্জি বায়োমেডিকেল রিসার্চ ফাউন্ডেশনের অধ্যাপক ড. প্রভাশ ব্যানার্জি। সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা প্রায় চার শতাধিক মৌচাষি, বণিক, গবেষক ও মৌয়ালরা অংশ গ্রহণ করে।
“খুলনার দাকোপে গনমাধ্যমে শ্যামলী রায়ের মৃত্যু নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবার ভিন্ন মত পোষন করেছে”
মোঃ শামীম হোসেন- খুলনা –
খুলনার দাকোপের লাউডোবে ৮নং ওয়র্ডের শ্যামলী রায়ের মৃত্যু নিয়ে গত ০৯ নভেম্বর বুধবার ৭১ বাংলা আউপি টেলিভিশনে সংবাদ প্রচারে ভিন্নমত পোষন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। বিষয়টি সামাজিক গনমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার পর এলাকার সামাজিক সংগঠন সমাজপতিরা লাউডোব পরিষদ চত্তরে এসে খবরটি প্রতিবাদে ক্ষোভ প্রকাশ করে। এসময় ভুক্তভোগীরা গনমাধ্যম কর্মীদের সামনে এলাকার ভাবমুর্তি ক্ষুন্য হয়েছে বলে তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মৃত্যু সনত পত্র তুলে ধরেন সেখানে মৃত্যুর কারন হিসাবে স্ট্রোক জনিত কারনে শ্যাামলী রায়ের মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ঐ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাবলু গাজী বলেন হিন্দু শ্রাস্ত্রীয় মতে লাস দাহ করছে গ্রামের হিন্দু সামাজিক সংগঠন। দাকোপ উপজেলা আওয়ামীলীলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও লাউডোব ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ যুবরাজ বলেন আমার ইউনিয়ন পরিষদের ভাবমুর্তি ক্ষুর্ন করার জন্য গনমাধ্যমে ভুল তথ্য দিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচারিত হয়েছে আমি এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।