বিসিক জেলা কার্যালয় সিলেট এর উদ্যোগে ক্রেতা-বিক্রেতা সম্মেলন ও বিসিক উদ্যোক্তা মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে।


প্রকাশের সময় : মার্চ ৪, ২০২৩, ৮:৫০ অপরাহ্ন / ৪১৪
বিসিক জেলা কার্যালয় সিলেট এর উদ্যোগে ক্রেতা-বিক্রেতা সম্মেলন ও বিসিক উদ্যোক্তা মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে।

বিসিক জেলা কার্যালয় সিলেট এর উদ্যোগে ক্রেতা-বিক্রেতা সম্মেলন ও বিসিক উদ্যোক্তা মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে।

শহীদ আহমেদ খান –

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নিজ হাতে গড়া
প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) শিল্প সমৃদ্ধ
উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মানে কুটির, অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প-
উদ্যোক্তাদের পণ্য উৎপাদনে ও বিপননে ক্রমাগত কাজ করে যাচ্ছে। এরই
ধারাবাহিকতায় শিল্প উদ্যোক্তাদের পণ্য বিপণন, প্রচার এবং প্রসারের জন্য
২ মার্চ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত সিলেট জেলা স্টেডিয়ামের সম্মুখে
(মোহাম্মদ আলী জিমনেসিয়াম) জেলা প্রশাসন সিলেট এর
তত্ত্বাবধানে বিসিক জেলা কার্যালয় সিলেট এর উদ্যোগে ক্রেতা-
বিক্রেতা সম্মেলন এবং বিসিক উদ্যোক্তা মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২রা মার্চ) সকাল ১০ টায় সিলেটের জেলা প্রশাসক মো.
মজিবর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উক্ত মেলার শুভ উদ্বোধন করেন।
বিসিক জেলা কার্যালয় সিলেটের উপ মহা-ব্যাবস্থাপক সুহেল হাওলাদারের
সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত
ছিলেন সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিস সুপার আবু সুফিয়ান,
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির
হোসেন।
উক্ত মেলাটি প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চালু থাকবে।
উক্ত মেলায় সকলের সার্বিক সহযোগিতা ও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

সিলেটে অনুষ্ঠিত হলো সুরমা লিভার ফেস্ট ২০২৩।

সিলেটের হোটেল নুরজাহান গ্র্যান্ডে অনুষ্ঠিত হলো দুদিন ব্যাপি ‘সুরমা লিভার ফেস্ট ২০২৩’।
এবারের লিভার ফেস্টের আয়োজক ছিল জালালাবাদ লিভার ট্রাস্ট। এ নিয়ে চতুর্থবারের মত আয়োজিত
হলো লিভার বিষয়ক এই বৈজ্ঞানিক সম্মেলনটি। ইতিপূর্বে ফোরাম ফর দ্যা স্টাডি অব দ্যা লিভার
বাংলাদেশের উদ্যোগে ২০১৮ সালে কক্সবাজারে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হয় ‘বীচ লিভার ফেস্ট’। মাঝে
ক’বছর বিরতির পর ২০২১ ও ২০২২ সালে ফোরাম ফর দ্যা স্টাডি অব দ্যা লিভার বাংলাদেশ সুন্দরবন ও সেন্ট
মার্টিনে আয়োজন করেছিল যথাক্রমে ‘ম্যানগ্রোভ লিভার ফেস্ট ২০২১’ ও ‘কোরাল লিভার ফেস্ট
২০২২’। বরাবরের মত এবারও এই সম্মেলনের বৈজ্ঞানিক পার্টানার ছিল বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস
লিমিটেড।
উল্লেখ্য সারাদিন চিকিৎসাসেবা এবং একাডেমিক কার্যক্রমে ব্যস্ত লিভার বিশেষজ্ঞদের অল্প সময়ের
জন্য প্রকৃতির সান্নিধ্যে নিয়ে যাওয়া, তাদের মধ্যে ভাতৃত্ব ও পারস্পরিক সমঝোতা বৃদ্ধি এবং
পাশাপাশি অনানুষ্ঠানিক পরিবেশে মুক্ত বিজ্ঞান চর্চার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে লিভার ফেস্টের
যাত্রা শুরু। এবারের লিভার ফেস্টেও ফ্যাটি লিভার এবং লিভার ক্যান্সারে সর্বাধুনিক চিকিৎসা এবং
বাংলাদেশে লিভার ক্যান্সারের ইমিউনোথেরাপী এবং ট্রান্সআর্টারিয়াল কেমোএম্বোলাইজেশন বা
টেইসের মত সর্বাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিগুলোর অভিজ্ঞতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সারা দেশ থেকে আগত প্রায় ৩০ জন লিভার বিশেষজ্ঞের সাথে এই লিভার ফেস্টে সিলেটের স্থানীয় লিভার
বিশেষজ্ঞরা যোগ দেন।
সিলেটের অভিজাত হোটেল নুরজাহান গ্র্যান্ডে অনুষ্ঠিত সুরমা লিভার ফেস্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা
জেবুন্নেসা হক। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ধরনের একটি ব্যতিক্রমী সম্মেলন আয়োজনের
জন্য জালালাবাদ লিভার ট্রাস্ট এবং ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব
স্বপ্নীলকে অভিনন্দন জানান এবং বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে জালালাবাদ লিভার ট্রাস্টের সব ধরনের কল্যানমুখী
উদ্যোগে তার পূর্ন সমর্থনের আশ্বাস দেন।
অনুস্ধসঢ়;ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেটে নিযুক্ত ভারতের সহকারী
হাইকমিশনার শ্রী নিরাজ কুমার জাইসওয়াল। তিনি তার বক্তব্যে ভারত ও বাংলাদেশ এই দুই দেশের জন্যই
লিভার রোগকে সমস্যা হিসাবে আখ্যায়িত করেন। তিনি এ বিষয়ে দুদেশের যৌথ গবেষনার উপর
গুরুত্ব আরোপ করে এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহনের জন্য জালালাবাদ লিভার ট্রাস্টের প্রতি আহ্বান জানান।
এর আগে স্বাগত বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল
হেপাটোলজি ডিভিশনের প্রধান ও জালালাবাদ লিভার ট্রাস্ট এবং ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান
অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল সিলেট অঞ্চলে ট্রাস্টের কর্মকান্ডের উপর একটি সংক্ষিপ্ত
বিবরন উপস্থাপন করেন। উল্লেখ্য এই ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সিলেটে লিভার রোগের আধুনিক
চিকিৎসা প্রচলন ও লিভার রোগ বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টির জন্য ধারাবাহিকভাবে সচেতনতামূলক
অনুষ্ঠান আয়োজন করে আসছে।
সিলেটে সাম্প্রতিক বন্যার সময় সিলেট সদরের বানভাসি মানুষের পাশে উপহার হিসেবে ত্রান
সামগ্রী নিয়ে পাশে দাড়িয়েছিল জালালাবাদ লিভার ট্রাস্ট। এছাড়াও বন্যার সময়তো বটেই, বন্যা
পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সময়েও, বিশেষ করে চা বাগানসহ বৃহত্তর সিলেটের বিভিন্ন এলাকায়
ট্রাস্টের উদ্যোগে নিয়মিতভাবে ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প আয়োজন করা হচ্ছে।
অধ্যাপক স্বপ্নীল সুরমা লিভার ফেস্টে সহযোগীতা প্রদান এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিতির জন্য
যথাক্রমে বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এবং সিলেটের বিশিষ্টজনদের প্রতি
আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটিতে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের
এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট জনাব মাহমুদুল হক পল্লব। জনাব পল্লব তার বক্তব্যে ক্যান্সার এবং
ভাইরাসের চিকিৎসায় অত্যাধুনিক ওষুধগুলো সবার আগে, সুলভে বাংলাদেশে তৈরী করার ক্ষেত্রে বীকনের
অগ্রনী ভুমিকার কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি তিনি ভবিষ্যতেও জালালাবাদ লিভার ট্রাস্টের সব ধরনের
কর্মকান্ডের তার প্রতিষ্ঠানের সম্পৃক্ত থাকার ব্যাপারে আশ্বাস প্রদান করেন।
সম্মেলনে অংশগ্রহনকারী লিভার বিশেষজ্ঞরা সম্মেলনের বৈজ্ঞানিক অধিবেশনগুলোতে যোগদানের
পাশাপাশি মালনিছড়া চা বাগান, লালাখাল ও সাদাপাথর পরিদর্শন করেন।

হযরত দরিয়া শাহ্ধসঢ়; (রহঃ) মাজারের বার্ষিক উরুস ৬ মার্চ।

সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কদমতলীতে সুরমা নদীর তীঁরে চিরশায়ীত ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম
হযরত সামালাল শাহ (রঃ), হযরত আবিদাল শাহ (রহঃ), হযরত রহমত শাহ ্ধসঢ়;(রঃ), হযরত দরিয়া শাহ্ধসঢ়;
(রহঃ) গণের বাৎসরিক পবিত্র উরুস শরীফ আগামী ৬ মার্চ থেকে শুরু হবে। প্রতি বছরের
মতো এবারো বাংলা মাসের ২০, ২১, ও ২২ ফাল্ধসঢ়;গুন উরুস শরীফ অনুষ্টিত হওয়ার কথা থাকলেও
পবিত্র শবে-বরাতের কারণে তিন দিনের জায়গায় একদিন ও এক রাত উরুস শরীফ অনুষ্ঠিত
হবে। মঙ্গলবার রাত ৮ টায় ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম হযরত শাহ্ধসঢ়; সামালাল শাহ (রঃ), হযরত
আবিদাল শাহ (রহঃ), হযরত রহমত শাহ্ধসঢ়;(রঃ), হযরত দরিয়া শাহ্ধসঢ়;(রহঃ)’র মাজার পরিচালনা
কমিটির এক জরুরী বৈঠক অনুষ্টিত হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ
কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট রফিকুল হকের
সভাপতিত্বে নেতৃবৃন্দরা উরুসের তারিখ ৬ মার্চ নির্ধারণ করেন। উরুস শরীফ ৬ মার্চ
ভোর থেকে শুরু হয়ে ৭ মার্চ ভোরে শেষ হবে। উরুসের প্রথম দিন ৬ মার্চ বাদ ফজর হতে
খতমে কোরআন শরীফ পাঠ, বাদ এশা মিলাদ শরীফ ও দোয়ার পর জীকির আজকার, মাজারে
গিলাপ দেওয়া, গরু জবেহ্ধসঢ়; । ৭ মার্চ বাদ ফজর আখেরী মোনাজাত, নিয়াজ বিতরণের
মাধ্যমে উরুসের সমাপ্তি হবে। পবিত্র উরুসে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ভক্তবৃন্দের
উপস্থিতি কামনা করেছেন মাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাজী সমরাজ মিয়া,
সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ তৌফিক বকস্ধসঢ়; লিপন। সভাপতি হাজী হাজী
সমরাজ মিয়া জানান, উরুসে ব্যাপক নিরাপত্তার পাশাপাশি শান্তি শৃংখলা রক্ষার কাজে
এলাকার যুবক থেকে সব বয়সের সাধারণ বাসিন্দারা দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া
উরুসে লাউড স্পিকার বাজানো যাবেনা। মহিলাদের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই, সব
ধরনের অন্যায় কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী পবিত্র এ উরুস মোবারক
যথাযথভাবে পালনের জন্য মাজার এলাকার ভেতর তৈরি করা হবে কাফেলা। মাজারের চারপাশে
শান্তি শৃংখলা রক্ষার কাজে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও নিয়োজিত
থাকবেন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আশা ভক্ত ও আশেকানদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা
নেওয়া হয়েছে। পবিত্র উরুস শরীফ শান্তিপূর্ণ ও সুষ্টভাবে পালনের জন্য সকলের
সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।