বাগেরহাটের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।


প্রকাশের সময় : মার্চ ৯, ২০২৩, ৯:২৬ অপরাহ্ন / ৪০৫
বাগেরহাটের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।
বাগেরহাটের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।
বাগেরহাট প্রতিনিধি –
বাগেরহাটে সদর ইউনিয়নের বারুইপাড়া পূর্ণচন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি,শাহাবাজ হোসেন ও সাবেক প্রধাণ শিক্ষক হামিজুদ্দীন ২০১১ সালে কৃষিশিক্ষা বিষয়ে শিল্পী রণী দত্তকে মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে নিয়োগ প্রদান করেন,কিন্তু তার বিদ্যালয়ের পাঠদান ধরন ও আচরণ অন্যান্য কার্যক্রমে শিক্ষার্থী ও সহকর্মী অভিভাবকগণের মাঝে তার যোগ্যতা নিয়ে তীব্র সন্দেহ অসন্তোষ সৃষ্টি হলে। স্কুলে শুভাকাঙ্ক্ষী শিক্ষক অভিভাবক ও এলাকার বিশিষ্টজন খোজ খবর নিয়ে যাচাই-বাছাই করে জানতে পারে যে শিল্পী রাণী দত্তের জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদ জাল প্রমাণিত হয়। কিন্তু বিষয়টি গোপন রেখে অসৎ উপায়ে ২০১৩ সালের এমপিও ভুক্ত হয়ে যায় যার নিবন্ধন সনদ (NTRCA)এর রোল নং ১১৪১৩৩১৩ সাল ২০০৮ ব্যাচ নং ৪র্থ ছিল কিন্তু বর্তমান ইনডেক্স নাম্বার -১০৬০১১৬  এই ইন্ডেক্স নাম্বারে বিপরীতে সে ২০১৩ সালে থেকে সরকারি বেতন ভাতা পেয়ে আসছে।
বারুইপাড়া পূর্ণচন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি বাংলা বিষয়ক শিক্ষক সখিনা খাতুন ও সকল শিক্ষকরা বলছেন, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইন্দনে দূর্নীতি করে অসম্ভব কে সম্ভব করতে পেরেছে লোক মুখে প্রচারিত হয়েছে,উক্ত শিল্পী রাণী দত্তের বিষয়টি বিভিন্ন মহলের কানাকানি ও জানাজানি হলে ❝সভাপতি❞ শিক্ষকদের বেতনের সিটে সাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানান ও শিক্ষক দের হুমকি হুমকি দিতেছেন এমত অবস্থা শিক্ষক সখিনা খাতুন বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত দরখাস্ত পাঠিয়ে সুষ্ঠু বিচারের দাবি করছেন।
এ দিকে স্থায়ী জনসাধারণ সাংবাদিকদের জানান, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি,শাহবাজ হোসেন নিজের প্রভাব প্রতিপত্তি জোর খাটিয়ে এর আগেও বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক শ্যামল কুমার পালের নিয়োগের জন্য সাত লক্ষাধিক টাকা ঘুষ ও বেতনের পার্সেন্ট টাকা নেয়ার কন্টাক করে তাকে নিয়োগ দেয়,এবং পূর্বের প্রধান শিক্ষক হামিজ উদ্দিনের সহযোগিতা চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী সাত জনকে পঞ্চাশ লক্ষাধিক টাকা ঘুষ নিয়ে নিয়োগ দিয়েছিলেন, তাই স্কুলের সুনাম সুখ্যাতি রাক্ষা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ও রাষ্ট্রীয় অর্থের ক্ষতির কথা বিবেচনা করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
জাল সনদ ধারী শিক্ষক শিল্পী রাণী দত্ত সাংবাদিকদের জানান, আমার শিক্ষক নিবন্ধন সনদ জাল কি না সেটা জানা নেই। জেলা প্রশাসক মোঃ আজিজুর রহমান বলেন, আমরা অভিযোগ এর কপি পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।