বাগেরহাটের খাঁনজাহান আলীর মাজারে দর্শনার্থীর ভিড় ————–পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে আসা হাজারো ভক্তের আনাগোনা হজরত খাঁনজাহান আলী(রা:)মাজারে!!  


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ২০, ২০২৩, ৯:১৯ অপরাহ্ন / ৫৩৯
বাগেরহাটের খাঁনজাহান আলীর মাজারে দর্শনার্থীর ভিড় ————–পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে আসা হাজারো ভক্তের আনাগোনা হজরত খাঁনজাহান আলী(রা:)মাজারে!!  
বাগেরহাটের খাঁনজাহান আলীর মাজারে দর্শনার্থীর ভিড় ————–পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে আসা হাজারো ভক্তের আনাগোনা হজরত খাঁনজাহান আলী(রা:)মাজারে!!  
মেহেদি হাসান নয়ন, বাগেরহাট –
হযরত খাঁনজাহান আলী (র.)১৩৬৯ সালে দিল্লীতে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন,ভারতে জন্মগ্রহন করলেও তিনি বাংলার ইতিহাসের একটি প্রধান অংশ এই মহান সাধক ছিলেন একাধারে সৈনিক, শাসক, ইসলাম প্রচারক এবং মানব সেবক ছিলেন, ইসলাম ধর্ম প্রচারে এসে বাগেরহাটে নির্মাণ করেন ৩৬০টি মসজিদ এবং ৩৬০টি দিঘী খনন করেছিলেন।
তার মধ্যে অন্যতম ষাট গম্বুজ মসজিদ নির্মাণ করেন,এখানেই রয়েছে তাঁর মাজার শরীফ।
ইতিহাস আর ঐতিহ্যের ধারক বাহক পীর খাঁনজাহান আলীর মাজারে মুসলিম সম্প্রদায়ের পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে আসা সব গোত্রের মানুষের আনাগোনা এই মাজারে, নিজ নিজ ধর্মমতে আরাধনা করছেন সৃষ্টিকর্তার কাছে  প্রচলিত আছে রওজা শরীফের পাশেই রয়েছে জ্বিন পরীদের দিয়ে খনন করা বিশাল আকৃতির দীঘি,আর তাতেই রয়েছে সেই শতবর্ষী বয়সী কুমির। মাজারের প্রধান খাদেম আলহাজ্ব মোঃ ফকির শের আলী সাংবাদিকদের জানান,বাংলা চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে প্রতিবছর এ মেলার আয়োজন করা হয়, কেউ আসেন মনের বাসনা পূরণ,রোগ মুক্তিসহ বিভিন্ন প্রত্যাশা নিয়ে করেন মাজার জিয়ারত, আবার কেউ কেউ দিচ্ছে মুরগী,ছাগল, কবুতর,হাঁস,ইত্যাদি দিয়ে মনের বাসনা পূরনে অনেকে মাজার জিয়ারত করছেন।
টুরিস্ট পুলিশ এস আই,মোঃ ওয়ালিউর বলেন, বাগেরহাটে দর্শনীয় স্থান হযরত খাঁনজাহান আলী মাজার শরীফে অনেক দর্শনার্থী এসেছেন। আমাদের ধারণা পদ্মা সেতু ও বেকুটিয়া সেতু চালু হওয়ার পরে দশনার্থীরা দিনে এসে দিনে ফিরে যেতে পারছে। আর সে কারণেই মাজারে দর্শনার্থীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে দর্শনার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাই বেশি। পর্যটন এলাকায় দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা ও সহায়তা প্রদানের জন্য টুরিস্ট পুলিশ সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোঃ আজিজুর রহমান বলেন, ১৯৮৩ সালে এই শহরটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়। যাতায়াতের পাশাপাশি এলাকার খাবার হোটেল গুলোতেও মানসম্মত খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে, আবাসিক হোটেল গুলোকেও আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে দর্শনার্থীদের। অসুস্থ দর্শনার্থীদের জন্য হাতের নাগালেই রয়েছে চিকিৎসা ব্যবস্থা। মাজার এলাকায় পসরা সাজিয়ে বসা দোকান গুলো কিছুটা হলেও চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে এই এলাকায় আসা দর্শনার্থীদের।