“বটিয়াঘাটার বারোআড়িয়া সরকারি হাটবাজার অবৈধ ভাবে হচ্ছে দখল! নির্মাণ করা হচ্ছে পাকাঘর”


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ১, ২০২২, ৭:৩৯ অপরাহ্ন / ৬৭২
“বটিয়াঘাটার বারোআড়িয়া সরকারি হাটবাজার অবৈধ ভাবে হচ্ছে দখল! নির্মাণ করা হচ্ছে পাকাঘর”
“বটিয়াঘাটার বারোআড়িয়া সরকারি হাটবাজার অবৈধ ভাবে হচ্ছে দখল! নির্মাণ করা হচ্ছে পাকাঘর”
বটিয়াঘাটা খুলনা প্রতিনিধি –
বারোআড়িয়া বাজার কমিটির সহযোগিতায় চলছে সরকারি হাটবাজারের জায়গা দখল প্রতিযোগিতা। প্রকাশ‍্য দিবালকে গড়ে উঠছে পাকা ঘরবাড়ি ও দোকান ঘর। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন বাজার কমিটির সভাপতি মিলন মল্লিক ও সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর গাজি। সাধারণ সম্পাদক বক্কর গাজী বলেন, রাজনৈতিক দলীয় প্রভাব খাটিয়ে চলছে পাকা দোকান ঘর নির্মাণ। আর এসবের পিছনে রয়েছে বাজার কমিটির সভাপতি মিলন কান্তি মল্লিক। সে তার নিজের ভাগ্নে বিদেশ রায়কে দোকান ঘর রাতের আধারে পাকা দোকান ঘর নির্মানের কাজে সহযোগিতা করেন। পাশাপাশি সুন্দরমহল এলাকার মোঃ জহর আলী বিশ্বাসকে পাকাঘর নির্মানে সার্বিক সহযোগিতা করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। অবশ্যই এসব কথা উড়িয়ে দিয়েছেন,সভাপতি মিলন মল্লিক। তিনি বলেন,আমি কোন পাকাঘর নির্মাণ কাজের সাথে জড়িত না। সবাই যে যার মতো দোকান ঘর পাকা করে নির্মাণ করছেন। খজখবর  ও সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,পাল্লা দিয়ে চলছে বটিয়াঘাটা উপজেলার বারোআড়িয়া সরকারি হাটবাজারে বাড়িঘর ও দোকান ঘর নির্মাণ। কথা বলতে চাইলে অনেকে বলেন,বাজার কমিটিকে বলে আমরা পাকাঘর নির্মাণ করছি। সরকারি জায়গা দখল ও পরে সেখানে পাকাঘর নির্মাণকারি মোঃ জহর আলী বিশ্বাস বলেন,বাজার কমিটিকে বলে আমি পাকাঘর নির্মাণ করছি। বিদেশ রায় বলেন, সবাইকে ম‍্যানেজ করে পাকাঘর ও দোকানঘর নির্মাণ করেছি। বাজারের ব‍্যবসায়ী মোবারক গাজী বলেন,বাজার কমিটির অনিয়ম দূর্নীতির কারনে রাতারাতি পাকাঘর বাড়ি ও দোকানঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।  বাজারে ইতোমধ্যে যারা পাকাঘর নির্মাণ করেন তারা হলেন,বিদ‍্যুৎ মল্লিক,বিপ্লব মল্লিক, সমর মন্ডল, সুন্দরমহল এলাকার জহর আলী বিশ্বাস ও গাওঘরা এলাকার মাসুদ, কল‍্যাণশ্রী এলাকার জুদিষ্টি সহ আরো অনেকে।
এরা সবাই বাজার কমিটির সভাপতি মিলন মল্লিক এর সাথে যোগাযোগ করে ঘরগুলো আইন বহির্ভূত ভাবে
পাকা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বাজার কমিটির সদস্য মহাসিন বলেন, এসব ঘর নির্মানের খবর সভাপতি সব যানেন। অভিযোগ রয়েছে সম্প্রতি বাজার উন্নয়ন কাজের ঠিকাদারের নিকট থেকে হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা। যার কারণে বাজার উন্নয়ন কাজে হয় ব‍্যাপক অনিয়ম দূর্নীতি। বাজারবাসি বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব‍্যবস্থা গ্রহনের জোরদাবী জানান। বারোআড়িয়া বাজারে চলছে সরকারি জায়গা দখলের মহোৎসব। যে যার মত বাজার কমিটি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে গড়ে তুলছে পাকাঘর নির্মাণ। হাটবাজারের ইজারাদার শওকত শেখ বলেন, রাতারাতি কোন শক্তির জোরে তারা এই ভাবে প্রকাশ‍্য ইট দিয়ে পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করছেন আমি জানিনা। স্থানীয় ইউপি সদস্য শেখ জাহিদুর রহমান জাহিদ বলেন, যারা পাকাঘর নির্মাণ করছেন তাদের দোকান ছিলো। মালামাল চুরি হয়ে যায়,তাই তারা পাকাকরে ঘর করছেন। প্রয়োজনে বিষয়টি আমি ইউএনও স‍্যারকে বলব।
“মোংলায় জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ”
মেহেদি হাসান নয়ন, বাগেরহাট –
ইলিশ হলো মৎস্যজীবিদের সম্পদ। ইলিশ সম্পদের উন্নয়ন হলে মৎস্যজীবিদের উন্নয়ন হবে। দেশের উন্নয়ন হবে। তাই মৎস্যজীবিদের নিজেদের জীবনমান উন্নয়নের স্বার্থে মা ইলিশ ও ঝাটকা শিকার থেকে বিরত থাকতে হবে।
ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের অর্থায়নের মোংলায় জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে বকনা বাছুর বিতরণ অনুষ্ঠানে মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপংকর দাশ’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রলায়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার একথা বলেন।
বুধবার ( ৩০ নভেম্বর) দুপুর মোংলা উপজেলা পরিষদ মাঠ চত্বর মোংলা সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের বাস্তবায়নে ২২-২৩ অর্থবছরে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের অর্থায়নে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে উপকরণ সহায়তা হিসেবে বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়। এর আগে ২২-২৩ অর্থবছরের ১ম পর্যায়ের টিআর কাবিখা, কাবিটা, গম ও চালের ডিও বিতরণ করেন উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার।
বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা মৎস কর্মকর্তা এ এস এম রাসেল, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ জাফর রানা, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ জাহিদুল ইসলাম, মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে মোংলা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মৎস্যজীবিদের মধ্য থেকে ২০ জনকে বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়।