বগুড়ার শেরপুরে অবৈধ পুকুর খননের  বিরুদ্ধে অভিযান ; ৩ টি বেকু জব্দ। 


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২৭, ২০২২, ৭:৪৯ অপরাহ্ন / ৫০৪
বগুড়ার শেরপুরে অবৈধ পুকুর খননের  বিরুদ্ধে অভিযান ; ৩ টি বেকু জব্দ। 
বগুড়ার শেরপুরে অবৈধ পুকুর খননের  বিরুদ্ধে অভিযান ; ৩ টি বেকু জব্দ। 
মাসুম বিল্লাহ, শেরপুর বগুড়া –
বগুড়ার শেরপুরে অবৈধভাবে জমির মাটি কেঁটে পুকুর
খনন করার অপরাধে রোববার সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত
অভিযান চালিয়ে বিভন্ন পয়েন্টের ৩টি বেকুই জব্দ করেছে
উপজেলা নির্বাহি অফিসার সানজিদা সুলতানা।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে বিয়টি নিশ্চিত
করেছেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার সানজিদা সুলতানা।
জানা যায়, উপজেলা মির্জাপুর, শাহবন্দেগী, কুসুম্বি,
বিশালপুরসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে অবৈধভাবে মাটি
কেঁটে পুকুর খনন করছে। এসমন সংবাদের ভিত্তিতে
রোববার সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত শাহবন্দেগী ও মির্জাপুর
ইউনিয়নে বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান পরিচালান করেন। এ
সময় শাহবন্দেগী ইউনিয়নের চন্ডিপুকুর ও জোরপুকুর
এবং মির্জাপুর ইউনিয়নের মাকড়খোলা নামক স্থানে
অভিযান পরিচালনা করে। প্রশাসনের অভিযানের সংবাদ
পেয়ে পুকুর খননের যন্ত্র বেকুই রেখে তারা পালিয়ে যায়।
এতে পরিত্যক্ত অবস্থা পুকুর খনের যন্ত্র ৩টি বেকুই
জব্দকরে। এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের
হেফাজতে রেখে দেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহি অফিসার সানজিদা সুলতানা
জানান, মালিক পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা
গ্রহণ করা হবে।
শেরপুরে ইউএনও কে অপসারণের দাবিতে বগুড়া জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান। 
মাসুদ রানা,ষ্টাফ রিপোর্টার-
বগুড়ার শেরপুরের সাংবাদিকদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করায়  শেরপুর  উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা সুলতানার অপসারণ এবং অনিয়মের বিচারের দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। সোমবার দুপুর ১টায় শেরপুরের সম্মিলিত সাংবাদিক জোটের পক্ষ থেকে বগুড়ার জেলা প্রশাসকের নিকট এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এসময় সম্মিলিত সাংবাদিক জোটের সমন্বয়ক কমিটির সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম শফিক, সবুজ চৌধুরী, সুজিত কুমার বসাক, দিপক কুমার সরকার, মো. শফিকুল ইসলাম শরিফ, একেএম জাহাংগীর ইসলাম, মো. আব্দুল হান্নান রোকন সভাপতি, আসাদুজ্জামান আশা, রঞ্জন কুমার দে সহ গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, শেরপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা সুলতানা যোগদানের পর থেকেই সাংবাদিকদের সঙ্গে অসহযোগিতামূলক আচরণ শুরু করেছেন। তিনি মূলত একটি স্বার্থান্বেষী মহলের সাথে আঁতাত করে ফসলি জমির মাটিকাটার কাজে মদদ দিচ্ছেন। গত বিজয় দিবস উপলক্ষে তার দপ্তরের নামে ব্যপক চাঁদাবাজি হলেও তিনি তা স্বীকার করেছেন কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেন নি। সম্প্রতি তার নিজস্ব তত্ত্বাবধানে চলমান আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজে ব্যপক অনিয়মের খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এই অবস্থায় সাংবাদিকদের “স্বার্থান্বেষী” আখ্যা দেওয়া নির্বাহী কর্মকর্তার দৈন্যতার বহিঃপ্রকাশ মাত্র। তাই সম্মিলিত সাংবাদিক জোটের পক্ষ থেকে সানজিদা সুলতানাকে অপসারণের দাবিতে করা হয়।
স্মারকলিপি গ্রহণকালে বগুড়ার জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, “শেরপুরে যা ঘটেছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত। অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। “