ফেনীর  ছাগলনাইয়ায় রহিমা বেগমকে বীরাঙ্গনা সংবর্ধনায় লাখ টাকা উপহার সহ উপহার সামগ্রী প্রদান করেন।


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ১৫, ২০২৩, ৫:৫৯ অপরাহ্ন / ৪৬৫
ফেনীর  ছাগলনাইয়ায় রহিমা বেগমকে বীরাঙ্গনা সংবর্ধনায় লাখ টাকা উপহার সহ উপহার সামগ্রী প্রদান করেন।
ফেনীর  ছাগলনাইয়ায় রহিমা বেগমকে বীরাঙ্গনা সংবর্ধনায় লাখ টাকা উপহার সহ উপহার সামগ্রী প্রদান করেন।
আবুল হাসনাত রিন্টু, ফেনী প্রতিনিধি –
স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধে বাংলার বীর রমনী,বীর মাতাদের সাহসিকতার জন্য অনেক আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা যুগিয়েছে এবং এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে বীর রমণীরা। যারা এদেশের স্বাধীনতার অবিচ্ছেদ অংশ তাদের সম্মান করা প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব। কিন্ত দূর্ভাগ্য হলেও সত্যি আমাদের দেশের বেসরকারিভাবে কোন্ও সংগঠন তাদের ব্যাপারে তেমন আগ্রহী হতে দেখা যায় না। তাদেরকে ঐসব অন্ধ মানুষের সারিতে রেখে দিয়েছে। এটা মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকে অসম্মান করারই নামান্তর।
এই সর্বপ্রথম এগিয়ে এসেছে, ফেনীর ছাগলনাইয়া মহামায়ার ইউনিয়নের জনসেবা মূলক একটি বেসরকারি সংগঠন। বুধবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে পশ্চিম দেব পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আহমেদ মাহি রাসেলের আর্থিক সহযোগিতায়, ছাগলনাইয়ার প্রথম বীর মাতা, বীর কন্যা রহিমা বেগমকে বীরাঙ্গনা সংবর্ধনা দিয়েছেন বক্তারহাট ক্রিড়া সোসাইটি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৌমিতা দাস বলেন, শুধু কোন বিশেষ কর্মসূচি নয় মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখা আমাদের বীর মাতাদের খবর নেয়ার  আমাদের সরকারী বেসরকারী সকলের নৈতিক দায়িত্ব। ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের সামরিক জান্তার পশু-সৈন্যদের নারী ধর্ষণ ও হত্যালীলা মানব সভ্যতার সব যুগের সব নজিরকে ম্লান করে দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় নরপশুরা ৭ বছরের শিশু থেকে ৭০ বছরের বৃদ্ধাকেও ধর্ষণ করেছে। অসংখ্য বাঙালি নারীকে ধর্ষণের পর নির্মমভাবে হত্যা করেছে।এই নরপশুদের বর্বরতা ও নিষ্ঠুরতায় বিশ্ববিবেক ঘৃণায় আঁতকে উঠেছিল। বীরাঙ্গনা মাতাদের আত্নত্যাগ আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাসের একটি অংশ।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ মূলক বক্তব্য রাখেন, সংবর্ধিত অতিথি বীরাঙ্গনা রহিমা বেগম এ সময় রহিমা বেগমকে নগদ এক লক্ষ টাকা সহ উপহার সামগ্রী প্রদান করেন, আহমেদ মাহী রাসেল। উক্ত অনুষ্ঠানে শরীফুল ইসলাম শিশিরের সভপতিত্বে, আ.জ.ম মনসুরের সঞ্চালনায়, প্রধান অতিথি ছিলেন ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌমিতা দাস, বিশেষ অতিথি ছিলেন, সহকারী পুলিশ সুপার (ছাগলনাইয়া ) মোঃ মাহমুদুল হাসান মামুন, সাংবাদিক আবু তাহের, উপজেলা জাসদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই মেম্বার ও ছাগলনাইয়া পৌর প্যানেল মেয়র কাজী নুর আলম, প্রধান বক্তা ইউপি চেয়ারম্যান শাহাজান মিনু এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা বাহার উদ্দিন আজাদ, মহামায়া ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সামছুল আলম,  ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম মাস্টার, সংঘঠনের উপদেষ্ঠা সদস্য আনোয়ার হোসেন সহ সংগঠনের সকল সকল সদস্য এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।
ফেনীতে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর, অভিযোগে এক মানসিক ভারসাম্যহীন ছকিনা বেগম নামে ১ নারীকে আটক করা হয়েছে।
আবুল হাসনাত রিন্টু, ফেনী প্রতিনিধি –
ফেনীর সোনাগাজীতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঢুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুরের অভিযোগে এক মানসিক ভারসাম্যহীন ছকিনা বেগম নামে ১ নারীকে আটক করা হয়েছে।সোমবার (১০ জানুয়ারী রাতে পৌর শহরের জিরো পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঢুকে ওই নারী প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর সাবেক প্রটোকল অফিসার আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর ছবি ও দুটি গ্লাস ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় আটক নারী মানসিক ভারসাম্যহীন বলে ও জানা যায়। সে উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের নূর মোহাম্মদের মেয়ে।
ছকিনার মা হাসিনা খাতুন বলেন, পারিবারিক কলহের কারণে পাঁচ দিন আগে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে ছকিনা। কুমিল্লার লাঙ্গলকোটের মানসিক হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দু’দিন আগে হঠাৎ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সে। এরপর আর ফেরেনি। আওয়ামী লীগ নেতারা তাকে ধরে পুলিশে দেওয়ার খবর পেয়ে ছকিনার চিকিৎসাপত্র সংযুক্ত করে রাতেই সোনাগাজী মডেল থানায় তার বিষয়ে লিখিত দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সোনাগাজী পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ছকিনার চিকিৎসাপত্র খতিয়ে দেখাসহ পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। ওই নারী প্রকৃতপক্ষে মানসিক ভারসাম্যহীন হলে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দেওয়া হবে না।
সোনাগাজী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক আবুল কাশেম বলেন, ছকিনার চিকিৎসাপত্র ও তার মায়ের আবেদন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ নেতা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে ছকিনাকে পুলিশে দেওয়া হলেও তার নামে তাৎক্ষণিকভাবে কেউ মামলা করেনি।