“ফকিরহাটে ২৫০টি কচ্ছপ উদ্ধার করেছে র্যাব-৬, আটক-৩”
প্রকাশের সময় : নভেম্বর ২০, ২০২২, ৭:০৩ অপরাহ্ন /
২৯৩
“ফকিরহাটে ২৫০টি কচ্ছপ উদ্ধার করেছে র্যাব-৬, আটক-৩”
মেহেদি হাসান নয়ন, বাগেরহাট –
বাগেরহাটের ফকিরহাট শুভদিয়া এলাকা থেকে ২৫০টি কচ্ছপ উদ্ধার করেঝে খুলনা র্যাব-৬ এর একটি দল। এসময় তিন জনকে আটক করেছে।র্যাব-৬ এর মিডিয়া সেলের মাধ্যমে জানা যায় বন্যপ্রাণি সংরক্ষন আইন অমান্য করে একটি অসাধু চক্র দীর্ঘদিন যাবত কচ্ছপ পাচার করে আসছিল।শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার বিকেলে খুলনা র্যাব-৬ এর দল ফকিরহাটের শুভদিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬টি বস্তার ভেতর থেকে চো-বড় ২৫০টি কচ্ছপসহ তিনজনকে আটক করে। র্যাব-৬ এর কমান্ডার এএসপি পহন চাকমার নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয় পরে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাদেরকে ৬মাসের বিনাশ্রম কারাদÐ প্রদান করেন ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মনোয়ার হোসেন। আটককৃত আসামীরা হলো বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ গ্রামের মৃত নুরমোহম্মদের ছেলে মো. মনিরুজ্জামান (৩৭), সানকিভাঙ্গা গ্রামের সোহরব হোসেনের ছেলে মো. আরিফুল ইসলাম (৩৮) ও ডুমুরিয়ার খড়িবুনিয়া গ্রামের মৃত বিনয় রায়ের ছেলে দিলীপ রায় (৩৫)। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উদ্ধারকৃত কচ্ছপগুলো বন অধিদপ্তরে হস্তান্তর করা হয়েছে।
“বাগেরহাট নৌকা থেকে পড়ে প্রাণ গেল যুবকের”
মেহেদি হাসান নয়ন, বাগেরহাট –
মোংলায় নৌকা থেকে পশুর নদীতে পড়ে বশির শেখ (৩৮) নামে এক জেলে নিখোঁজ হয়েছেন।বশির চিলা ইউনিয়নের জয়মনি এলাকার ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ তৈয়ব আলি শেখের ছেলে। শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) রাত ১১ টার দিকে উপজেলার পশুর নদীর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাতে নিহতের পরিবার ও জেলেরা খোজাখুজি করেও কোন সন্ধান পায়নি তার। বশির চরপাটা/চরজাল দিয়ে নদীতে মাছ ধরতেন। নিখোঁজ বশির মৌসুম ভিত্তিক নদীতে মাছ ধরে ও সুন্দরবনে কাঁকড়া আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। বশিরের দুই ছেলে ও স্ত্রীর সংসারে এখন চলছে শোকের মাতম। চিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী আকবর হোসেন জানান, বশির পেশায় একজন জেলে। আনুমানিক রাত ১১ টায় পশুর নদীর ধানসিদ্ধ চরের ঐখানে মাছ ধরছিলো। বশির নৌকার পিছনের দিকে ছিলো আর একজনে জাল বাচ্ছিলো অন্য জন গলইতে ছিলো। বশিরের মৃগী রোগ ছিলো। মাঝে মাঝে রাস্তা ঘাটে ও হঠাৎ পড়ে যেতো। হঠাৎ করেই নদীতে বশির পড়ে গেলে সাথে সাথে বশিরের সাথে থাকা সহযোগী জেলেরাও লাফিয়ে পড়ে। কিন্ত ওরা আর বশিরকে খুজে পায়নি। রাতে ৪/৫ টি ট্রলার ছিলো, কোষ্টগার্ড ছিলো তারা গভীর রাত পর্যন্ত খোজা খুজি করেও বশিরকে পায়নি। সকালে আবারও তারা খোঁজাখুঁজি করতেছে। ওখানে বন বিভাগ ও কোষ্টগার্ডের সদস্যরা আছেন।
কোষ্টগার্ড পশ্চিম জোনের হাড়বাড়িয়া ষ্টেশন কর্মকর্তা মোঃ আনিসুর রহমান জানান, আমরা এখনো তার সন্ধান পাইনি, এখনো তার সন্ধানে আছি, আমাদের সাথে আরো ৪/৫ টি বোট তার সন্ধানে কাজ করছে। যে অবস্থা বলতেছে কালকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নৌকাটি ডুবেছে, সাড়ে ৬ টায় ডুবলে ভেসে উঠতে নরমাল ২/৩ দিন সময় লাগে। বশিরের সন্ধানে আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি।
আপনার মতামত লিখুন :