পাহাড়ি কলায় বছরে ৪৫০ কোটি টাকার বাণিজ্য।


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ৭, ২০২২, ৬:৪৫ অপরাহ্ন / ৪২৪
পাহাড়ি কলায় বছরে ৪৫০ কোটি টাকার বাণিজ্য।

পাহাড়ি কলায় বছরে ৪৫০ কোটি টাকার বাণিজ্য।
মোঃ ইব্রাহিম শেখ চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ

রাঙ্গামাটি জেলায় সারি সারি উঁচু-নিচু পাহাড়। ন্যাড়া পাহাড়ের ঢালে ঢালে নানান জাতের
ফসলের পাশাপাশি স্থানীয় চাষিরা বিভিন্ন জাতের কলা চাষ করছেন। পাহাড়ি জমির মাটি ও জলবায়ু কলা চাষের অনুকুলে থাকায়
পাহাড়ের ঢালে ঢালে কলা বাগান গড়ে তুলেছেন স্থানীয় চাষিরা। স্থানীয় কলা চাষিরা জানান, চাঁপা, বাংলা, সাগর,সূর্যমূখী এসব দেশীয় কলা চাষের প্রচুর সম্ভাবনা থাকায় পাহাড়ে কলা চাষের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। তবে অর্থনৈতিকভাবে প্রান্তিক অবস্থানে থাকা পাহাড়ের কলা চাষীদের জন্য আরো বেশি সরকারি ও বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া গেলে কৃষি নির্ভর এ অ লের স্বনির্ভরতায় অভাবনীয় সাফল্য বয়ে আনবে এবং পার্বত্য অ লে কৃষি অর্থনীতি নতুনদ্বার খুলবে।
তারা আরো জানান,বর্তমানে রাঙ্গামাটি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ব্যাপকভাবে কলা চাষের দিকে ঝুঁকছে চাষীরা। বর্তমানে দেশীয় উন্নত জাতের কলা চাষ করে প্রতিটি কলাগাছ থেকেই আশাতীত ফলন পাওয়া যাচ্ছে। জেলার প্রতিটি বাজারে বোট ভর্তি উন্নত জাতের কলা নিয়ে চাষীরা ভীড় জমাচ্ছে, এমন দৃশ্য প্রতিটি হাটবারে চোখে পড়ার মতো। দামও হাতের নাগালের মধ্যেই থাকায় পাইকারী ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন ট্রাক ভর্তি করে জেলার বাইরে বাজারজাত করছে।
তবে রাঙ্গামাটি জেলায় কোন হিমাগার না থাকায় কলা স্বল্পমূল্যে বিক্রি করে দিতে হয়। এতে ন্যায্য মূল্য থেকে বি ত হচ্ছেন কলা
চাষিরা। রাঙ্গামাটি জেলায় একটি হিমাগার নিমার্ণের দাবি জানান চাষিরা। চট্টগ্রাম থেকে আসা ব্যবসায়ী মোঃ মিজানুর রহমান মন্টু জানান, রাঙ্গামাটির বাংলা ও চাম্পা কলা সুন্দর, সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। চট্টগ্রামে এর ভালো চাহিদা রয়েছে। তাই প্রতি মাসে রাঙ্গামাটি থেকে ৩-৪ ট্রাক কলা নিয়ে যায়। তিনি আরো জানান, শীতকালে ব্যবসা একটু লাভে- লোকসানে চলছে। তবে গরম কালে কলার চাহিদা বেশি থাকে। ফলে ঐ সময় ভালো লাভ করা যায়।
বনরূপার সমতা ঘাটে কলা বিক্রি করতে আসা চাষী রবি মোহন চাকমা ও রিতিশ চাকমা জানান, পাহাড়ে উৎপাদিত কলা বাজারে
আনা কষ্টসাধ্য এবং খরচও বেশি। করোনার পর থেকে আগের বছর গুলোর মতো ভালো দাম পাচ্ছি না।
তারা আরো জানান, জেলায় কোন হিমাগার না থাকায় কলা স্বল্পমূল্যে বিক্রি করে দিতে হয়। এতে ন্যায্য মূল্য থেকে বিরত হচ্ছেন কলা চাষিরা। রাঙ্গামাটি জেলায় একটি হিমাগার নিমার্ণের দাবি জানান চাষিরা। রাঙ্গামাটি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রাঙ্গামাটি জেলায় ২০২১-২২ অর্থ বছরে ১১ হাজার ৮৪৫ হেক্টর জমিতে কলার চাষ হয়েছে। কলার উৎপাদন হয়েছে ২লক্ষ ৪২ হাজার ৮২৩ মেট্রিক টন। ওজন বিবেচনায় উৎপাদিত কলা প্রতি ছড়া (কাঁধি) গড়ে ১৫০ টাকা হিসেবে বিক্রি হলে বছরে শতকোটি টাকার ব্যবসা হয়। রাঙ্গামাটি জেলা কৃষিবিভাগ সিনিয়র কর্মকর্তা মোঃ সেলিম মিয়া জানান, রাঙ্গামাটি জেলায় কলার যা উৎপাদন হয়, এরমধ্যে থেকে শতকরা ১০ ভাগ ঘাটতি থাকে। তারমধ্যে শতকরা ৫০ ভাগ বাংলা কলা এবং শতকরা ৫০ ভাগ চাঁপা কলা বিক্রি হয়। যদি উৎপাদন সঠিক থাকে তাহলে রাঙ্গামাটি জেলা থেকে বছরে ৪০০ কোটি থেকে ৪৫০ কোটি টাকার কলার বাণিজ্য হয়।
রাঙ্গামাটি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপ-পরিচালক তপন কুমার পাল জানান, কলা চাষিদের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে বিভিন্ন পরামর্শ এবং কারিগরি প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এছাড়াও পাহাড়ে উচ্চফলনশীল জাতের ফলের আবাদ বাড়ানোর জন্য কৃষি দপ্তর থেকে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, রাঙ্গামাটি জেলায় বিভিন্ন মৌসুমে কলা,আনারস,কাঁঠাল ও আম সহ নানা রকমের ফলের ভালো উৎপাদন হয়। তবে জেলায় এসব ফলমূল সংরক্ষণের জন্য কোন হিমাগার না থাকায় চাষিরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। তাই কাঁচামাল সংরক্ষণে একটি হিমাগার নিমার্ণ করা দরকার বলে তিনি মনে করেন।

করাত কল গিলে খাচ্ছে সংরক্ষিত বনাঞ্চল।
মোঃ ইব্রাহিম শেখ চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ

কর্ণফুলী নদী ও হালদা নদী দিয়ে প্রতিদিন ব্যাপক হারে চলছে কাঠ পাচার।
নদীর তীরে গড়ে ওঠা করাত কলে এসব কাঠ সাইজ করে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় পাচার করছে অবাধে।
সরেজমিনে জানা যায়, চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের খেলার ঘাট, লাম্বুর হাট,
নোয়াপাড়া ইউনিয়নের চৌধুরী হাট, কচুখাইন এলাকায় ২০টির অধিক করাত কল রয়েছে। এছাড়া কর্ণফুলী
নদীর সাথে সংযুক্ত হালদা নদীর তীরে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কচুখাইন গনিমিয়ার ঘাট, উরকিরচর
ইউনিয়নের মদুনাঘাট এলাকায় রয়েছে আরো দশটি করাত কল ।
রাউজান উপজেলার কর্ণফুলী নদী ও হালদা নদীর তীরে গড়ে ওঠা করাত কল ছাড়াও রাউজানের হলদিয়া
আমির হাট, জানি পাথর, জগ্ননাথ হাট, চিকদাইর হক বাজার, গহিরা ইউনিয়নের দলই নগর, কাল চান্দ চৌধুরী
হাট, দক্ষিন সর্তা, রাউজান উপজেলা সদরের সাব রেজিষ্ট্রারের অফিসের পাশে, রাউজান পশু হাসপাতালে পূর্ব
পাশে রাউজান জলিল নগর বাস স্টেশন, পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের ডোমখালী, কাগতিয়া বাজার, রাউজান
পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বাইন্যা পুকুর, পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের অলিমিয়ার হাট, পাহাড়তলী ইউনিয়নের
পাহাড়তলী চৌমুহনী, কদলপুর ইউনিয়নের সোমবাইজ্যা হাটের উত্তর পাশে, ৭নং রাউজান ইউনিয়নের রমজান
আলী হাট, নাতোয়ান বাগিচা, নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের নতুন হাট এলাকায় রয়েছে শতাধিক করাত কল।
করাত কলের কয়েকজন মালিক জানান, প্রতিদিন পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী, বড়ইছড়ি, কাপ্তাই,
রাজস্থলী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালী পাহাড়ি এলাকা থেকে বিপুল পরিমান বৃক্ষ নিধন করে কর্ণফুলী নদী
দিয়ে বাশের চালার সাথে বেধে ও যান্ত্রিক নৌযানে করে কাঠ পাচার করছে অবৈধ কাঠ ব্যবসায়ীরা। কর্ণফুলী
নদী দিয়ে পাচার করা কাঠের মধ্যে পার্বত্য এলাকার সংরক্ষিত বনের বৃক্ষ নিধন করা কাঠ বেশি।
এদিকে স্থানীয় পরিবেশবিদ শফিউল আলম অভিযোগ করেন, নদী ও সড়ক পথে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ কাঠ
অবৈধভাবে পাচার করা হলেও সংশ্লিষ্টরা নিরবতা পালন করে আসছে। ফলে ভবিষ্যতে পরিবেশের ভারসাম্য
রক্ষা করাসহ পরিবেশের জলবায়ুর উপরেও ক্ষতির সম্ভাবনা বিরাজমান।
এব্যাপারে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের ইছামতি রেঞ্জ অফিসার খসরুল আমিন বলেন, রাউজানে লাইসেন্সধারী
করতকল রয়েছে ৩১ টি। লাইসেন্সবিহীন অবৈধ করাত কল কয়টি রয়েছে তা জানা নেই। কর্ণফুলী নদী দিয়ে
কাঠ পাচারের বিষয়টি দেখার দায়িত্ব চট্টগ্রাম দক্ষিন বন বিভাগের আওয়াতাধীন রাঙ্গুনিয়া রেঞ্জসহ কয়েকটি বিট
অফিসের এবং সর্তাখাল দিয়ে কাঠ পাচারের বিষয়টি দেখার দায়িত্ব সর্তা ফরেষ্ট বিটের। তার আওতাধীন
এলাকায় লাইসেন্সবিহীন যেসব অবৈধ করাত কল রয়েছে ঐ করত কলের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে
বলে তিনি জানান।

২৭ বছরে চবিসাস, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস)। 
মোঃ ইব্রাহিম শেখ চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ

দীর্ঘ ৩১ বছর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন না থাকায় অকার্যকর
চাকসুর বিকল্প হিসেবে ছাত্রদের অধিকার আদায়ে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস)। শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রেও কলম হাতে সোচ্চার চবিসাসের সদস্যরা। ১৯৯৬ সালের ৬ ডিসেম্বর ১০ জন সদস্য নিয়ে যাত্রা শুরু করা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি হাঁটি হাঁটি পা পা করে আজ ২৬ পেরিয়ে ২৭ বছরে পদার্পণ করেছে। দীর্ঘ এ যাত্রা যেমন গৌরবের, তেমনি ছিলো কঠিন। কিছু সাহসী সাংবাদিকের হাত ধরে গোড়াপত্তন হয়েছিল এ সংগঠনের। বিভিন্ন সময় হুমকি-ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে এগিয়েছে চবিসাস।
চবিসাসের সাংবাদিকদের কলমে উঠে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা, সম্ভাবনা, দুর্নীতি ও অনিয়ম। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের
সাংবাদিকতায় অপরাধ, রাজনীতি, পরিবেশ, বাণিজ্য, গবেষণা, আইন, উদ্ভাবনসহ জাতীয় প্রেক্ষাপটের প্রায় সব বিষয়ে ক্যাম্পাস
সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ হয় হাতে-কলমে। আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এ ছোট ছোট হাতগুলোই গড়ে তোলে বিচিত্র সব স্বপ্ন। যে স্বপ্নের ডানায় ভর করে চলে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮ হাজার শিক্ষার্থী।
২৬ বছর ধরে ব্যালট-ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্ধারণ করে আসছে চবিসাস। প্রতিবছর গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সমিতির নির্বাচন
অনুষ্ঠিত হয়। সমিতির সংবিধান অনুযায়ী এক বছর আগে সমিতির সদস্য পদ লাভ করেছেন এমন সকল সদস্যই নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। ১৯৯৭-৯৮ সেশনে সমিতির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছিলেন আহমেদ করিম এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আবদুল মালেক। বর্তমানে সমিতির ২৩তম কমিটি দায়িত্ব পালন করছেন। চবিসাসের বর্তমান সভাপতি সাইফুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দিন। এ সংগঠনের রয়েছে সাত সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী পরিষদ। সমিতির বর্তমান সদস্য ৩৫ জন। দেশসেরা প্রায় সকল পত্রিকা এবং নিউজ এজেন্সিতে কাজ করছে চবিসাসের সদস্যরা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে পদাধিকারবলে দায়িত্বে থাকেন চবি উপাচার্য। বর্তমানে চবিসাসের প্রধান উপদেষ্টা চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। এছাড়াও পদাধিকারবলে চবিসাসের উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন- চবি উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, শিক্ষক সমিতির সভাপতি, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি, তথ্য শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার, সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের মধ্য থেকে মনোনীত দুই জন সদস্য।
বর্তমানে দেশের টেলিভিশন চ্যানেল, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টালসহ দেশের প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমে রয়েছে এ সমিতির সদস্যরা। কেউ কাজ করছেন ব্যুরো প্রধান হিসেবে, কেউ আছেন নিউজ এডিটর আবার কেউ জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক কিংবা নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করছেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নিজের অনুভূতি জানিয়ে চবিসাসের সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দিন বলেন, আজকের এ দিনে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি আমাদের অগ্রজ কলমসৈনিকদের। যাদের সাহসী পদক্ষেপে চবিসাস এ জায়গায় পৌঁছেছে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে মহান স্বাধীনতার চেতনা ও প্রগতিশীল ভাবধারা নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদচর্চা, সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিতকরণে কাজ করে আসছে চবিসাস। সমিতির ভবিষ্যৎ আরও মসৃণ এবং সুন্দর হোক এটাই প্রত্যাশা।
চবিসাসের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, সকলের প্রতি রইলো প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা। ২৬ পেরিয়ে আজ ২৭ বছরে পা দিয়েছে চবিসাস। এ উপলক্ষে আজ দিনব্যাপী উদযাপনের আয়োজন করা হয়েছে। সমিতির সাবেক বর্তমান সকল সদস্যের অংশগ্রহণে আজকের এ দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে আশাকরি।

অটোরিকশা চালক হত্যায় জড়িত ৩ জন আটক করেছে র‌্যাব।
মোঃ ইব্রাহিম শেখ চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ

বোয়ালখালী থানার সিএনজি অটোরিকশা চালক মো. হেলালের হত্যায় জড়িত
তিনজনকে আটক করেছে র‌্যাব। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে ‌র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক
মো.নুরুল আবছার এই তথ্য নিশ্চিত করেন। নুরুল আবছার জানান, সিএনজি চালক হেলাল উদ্দিনকে নৃশংসভাবে হত্যার রহস্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উদঘাটন করা হয়েছে । হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত তিন আসামিকে আটক করা হয়েছে। ‌র‌্যাব-৭ এর চান্দগাঁও
ক্যাম্পের মিডিয়া সেন্টারে দুপুর বারটার দিকে ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
হেলালের বাড়ি নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলার চাঁন মিয়ার ছেলে। তিনি বোয়ালখালীর জমাদারহাট
এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত ২৯ নভেম্বর দুপুরে অটোরিকশা নিয়ে বাসা থেকে বের হন।
এরপর থেকে তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া পাওয়া যায়নি । গত ৩ ডিসেম্বর বিকেলে বোয়ালখালী উপজেলার
আমুচিয়া ইউনিয়নের একটি ধানক্ষেত থেকে হেলালের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। হেলালের শরীরে
আঘাতের চিহ্ন ছিল। তবে তাঁর সিএনজি অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি।