Dhaka ০৮:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাকেরহাট শাপলা চত্বর এখন মাছ চাষের কারখানা।

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:০৭:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২
  • ৩৩০ Time View

পাকেরহাট শাপলা চত্বর এখন মাছ চাষের কারখানা।
শফিকুল ইসলাম সোহাগ,  দিনাজপুর –
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার পাকেরহাটের শাপলা চত্বরের জমে থাকা পানিতে ময়লা-আবর্জনা ও মশায় জয় জড়িত । দেখে মনে হয় এটি যেন মশা তৈরির কারখানা। স্থানীয় সচেতন মহলরা বলছেন, দ্রুত এসব ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না করলে এখান থেকে সৃষ্ট মশাসহ অন্যান্য রোগজীবাণু চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে। সৃষ্টি হতে পারে এডিস মশার। এতে হাটের যেমন প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার আশংকা তৈরি হয়েছে তেমনি আবর্জনা ও মশা-মাছির উপদ্রবে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি কারণ হবে।
সরকারি লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করেও সুন্দর্য বর্ধনের এই শাপলা চত্ত্বর এখনো আলোর মুখ দেখেনি। অপর দিকে এই শাপলা চত্বরটি যেন এখন ময়লা আবর্জনার ভাগাড় আর মশার অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে। শুধু তাই নয় এখানে চাষ করা হচ্ছে বিভিন্ন জাতের মাছ। সরেজমিনে দেখা যায়,এই শাপলা চত্বরের চারপাশে গা ঘেঁষে গড়ে উঠেছে ভ্রাম্যমান বিভিন্ন দোকানপাট। ভেতরের জমানো পানিতে কমলার পনস, সিগারেটের প্যাকেট ও ঠাণ্ডা পানীয় বোতল পড়ে আছে। সেই সঙ্গে পড়ে আছে পলিথিন এবং নানা বর্জ্য। এছাড়াও সেখানে চাষ করা হচ্ছে বিদেশী জাতের মাগুর মাছ। এসব বর্জ্য পানিতে পচে মশাসহ বিভিন্ন রোগজীবাণু ছড়িয়ে পরবে বলে আশংকা করছেন অনেকেই ।
এ একাধিক ব্যক্তি বলেন, সরকারি একটি স্থাপনার মধ্যে যদি এ অবস্থা হয়, তাহলে সরকার মানুষকে সচেতন করবে কিভাবে। সরকার ডেঙ্গুর বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন ক্যাম্পেইন করে যাচ্ছে। অথচ উপজেলার মধ্যে এরকম একটি বড় হাটের ভিতরে এমন অবস্থা সেটা কি হাটের কমিটি ও জনপ্রতিনিধিদের চোখে পরে না? এবং এখানে যে মাছ চাষ করা হচ্ছে আসলে এটা কি মাছ চাষের জন্য দেয়া হয়েছে?
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, এ স্থাপনাটি পাকেরহাট সুর্ন্দয জন্য তৈরি হয়েছে কয়েক বছর আগে। অথচ সেই সৌন্দর্যের মুখ এখনো দেখেনি। কি কারণে দেখেনি তা অনেকেই অজানা। স্থাপনার মধ্যে জমানো পানিতে ফেলা ময়লায় মশা,মাছিসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ জন্ম হচ্ছে। এগুলো অপসারণ না করলে শুধু ডেঙ্গু না, বিভিন্ন রোগের প্রাদূর্ভাব দেখা দিতে পারে। এই শাপলা চত্বরটি রক্ষায় প্রয়োজনীয় কার্যকর পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ নেয়ার ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবী জানান তিনি। এ বিষয়ে ৩নং আঙ্গারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা আহমেদ শাহ বলেন,  আগে সেটা পরিস্কার করা হয়েছিল। এখন আবার এই অবস্থা সেই আমার জানা ছিল না। আমি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে  ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

পদন্নতিতে পুনরায় বৈষম্যের শিকার জনতা ব্যাংক অধিকাংশ কর্মকর্তা

পাকেরহাট শাপলা চত্বর এখন মাছ চাষের কারখানা।

Update Time : ০৪:০৭:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২

পাকেরহাট শাপলা চত্বর এখন মাছ চাষের কারখানা।
শফিকুল ইসলাম সোহাগ,  দিনাজপুর –
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার পাকেরহাটের শাপলা চত্বরের জমে থাকা পানিতে ময়লা-আবর্জনা ও মশায় জয় জড়িত । দেখে মনে হয় এটি যেন মশা তৈরির কারখানা। স্থানীয় সচেতন মহলরা বলছেন, দ্রুত এসব ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না করলে এখান থেকে সৃষ্ট মশাসহ অন্যান্য রোগজীবাণু চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে। সৃষ্টি হতে পারে এডিস মশার। এতে হাটের যেমন প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার আশংকা তৈরি হয়েছে তেমনি আবর্জনা ও মশা-মাছির উপদ্রবে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি কারণ হবে।
সরকারি লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করেও সুন্দর্য বর্ধনের এই শাপলা চত্ত্বর এখনো আলোর মুখ দেখেনি। অপর দিকে এই শাপলা চত্বরটি যেন এখন ময়লা আবর্জনার ভাগাড় আর মশার অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে। শুধু তাই নয় এখানে চাষ করা হচ্ছে বিভিন্ন জাতের মাছ। সরেজমিনে দেখা যায়,এই শাপলা চত্বরের চারপাশে গা ঘেঁষে গড়ে উঠেছে ভ্রাম্যমান বিভিন্ন দোকানপাট। ভেতরের জমানো পানিতে কমলার পনস, সিগারেটের প্যাকেট ও ঠাণ্ডা পানীয় বোতল পড়ে আছে। সেই সঙ্গে পড়ে আছে পলিথিন এবং নানা বর্জ্য। এছাড়াও সেখানে চাষ করা হচ্ছে বিদেশী জাতের মাগুর মাছ। এসব বর্জ্য পানিতে পচে মশাসহ বিভিন্ন রোগজীবাণু ছড়িয়ে পরবে বলে আশংকা করছেন অনেকেই ।
এ একাধিক ব্যক্তি বলেন, সরকারি একটি স্থাপনার মধ্যে যদি এ অবস্থা হয়, তাহলে সরকার মানুষকে সচেতন করবে কিভাবে। সরকার ডেঙ্গুর বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন ক্যাম্পেইন করে যাচ্ছে। অথচ উপজেলার মধ্যে এরকম একটি বড় হাটের ভিতরে এমন অবস্থা সেটা কি হাটের কমিটি ও জনপ্রতিনিধিদের চোখে পরে না? এবং এখানে যে মাছ চাষ করা হচ্ছে আসলে এটা কি মাছ চাষের জন্য দেয়া হয়েছে?
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, এ স্থাপনাটি পাকেরহাট সুর্ন্দয জন্য তৈরি হয়েছে কয়েক বছর আগে। অথচ সেই সৌন্দর্যের মুখ এখনো দেখেনি। কি কারণে দেখেনি তা অনেকেই অজানা। স্থাপনার মধ্যে জমানো পানিতে ফেলা ময়লায় মশা,মাছিসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ জন্ম হচ্ছে। এগুলো অপসারণ না করলে শুধু ডেঙ্গু না, বিভিন্ন রোগের প্রাদূর্ভাব দেখা দিতে পারে। এই শাপলা চত্বরটি রক্ষায় প্রয়োজনীয় কার্যকর পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ নেয়ার ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবী জানান তিনি। এ বিষয়ে ৩নং আঙ্গারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা আহমেদ শাহ বলেন,  আগে সেটা পরিস্কার করা হয়েছিল। এখন আবার এই অবস্থা সেই আমার জানা ছিল না। আমি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে  ।