পাঁচবিবিতে নাঈম হত্যা মামলায় র‌্যাব কর্তৃক স্বামী স্ত্রী   আটক


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩, ৫:৩০ অপরাহ্ন / ৮৬
পাঁচবিবিতে নাঈম হত্যা মামলায় র‌্যাব কর্তৃক স্বামী স্ত্রী   আটক
মোঃ আমজাদ হোসেন স্টাফ রিপোর্টার জয়পুরহাট
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় নাঈম হোসেন নামের এক তরুণের মাথার খুলি ও হাড়গোড়সহ গলিত লাশ পাওয়ার ঘটনায় প্রধান আসামী ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বগুড়ার গাবতলী থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৫ (র‌্যাব)।
জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যাম্পের অধিনায়ক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মামলার আরেক আসামী লাশ পাওয়া বাড়ির মালিক সামছুল ইসলামকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার পর মামলা হলে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
 র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তাররা হলেন- রেজ্জাকুল ওরফে রাজ্জাক ও তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। তারা বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার গোপীনাথপুর এলাকার বাসিন্দা। গত কয়েকমাস ধরে পাঁচবিবি উপজেলা ধরঞ্জী গ্রামে বসবাস করতেন।
জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যাম্পের অধিনায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, গত শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জী বাজার এলাকার সামছুল ইসলামের বাড়ির গোসলখানা নির্মাণের জন্য টয়লেটের পাশে মাটি খনন করার সময় মানুষের হাড়গোড়সহ গলিত লাশ পাওয়া যায়। সেটি নিখোঁজ নাঈমের লাশ ছিল। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে র‌্যাবের অভিযান অব্যহত থাকে। অভিযানে বগুড়া সদরের পীরগাছা এলাকা থেকে মামলার প্রথম ও দ্বিতীয় আসামী রেজ্জাকুল ওরফে রাজ্জাক ও তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে গ্রেপ্তার করে  তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পাঁচবিবি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল হক বলেন, ওই লাশের প্যান্ট, বেল্ট দেখে পরিচয় নিশ্চিত হয়ে নিহতের মা গোলাপী বানু বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় পরকীয়ার জেরে হত্যার হয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে। ঘটনার পর বাড়ির মালিক সামছুল ইসলামকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। পরে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। সামছুলের বাড়ির ভাড়াটিয়া এক দম্পতি রেজ্জাকুল ওরফে রাজ্জাক ও তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন পলাতক ছিলেন। তাদেরকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভাড়াটিয়া রাজ্জাকের স্ত্রী সাবিনার সঙ্গে পরকীয়ার কারণে নাঈম হোসেনকে হত্যার পর লাশ গুম করতে মাটি খুঁড়ে পুতে রাখা হয়। আসামীদের বুধবার  আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং রিমান্ড চাওয়া হবে।
পারিবাড়িক সূত্রে জানা যায়  চলতি বছরের ২২ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে ধরঞ্জী বাজারে যাওয়ার কথা বলে বাইরে বের হয়ে বাড়ি ফেরেননি। অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে ওই মাসের ২৫ এপ্রিল পাঁচবিবি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার মামা ওহেদুল ইসলাম। জিডির পর নিখোঁজ নাঈমের সন্ধানে পুলিশ তৎপর থাকলেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। অবশেষে সাড়ে চার মাস পর তার লাশ পাওয়া যায়।