পদ্মা সেতুতে চলবে এবার রেল।


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ১২, ২০২২, ৫:৫৮ অপরাহ্ন / ৩৯৯
পদ্মা সেতুতে চলবে এবার রেল।

পদ্মা সেতুতে চলবে এবার রেল।
মোঃ ইব্রাহিম শেখ চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ

পদ্মা সেতুতে চলাচলের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরের এসেছে চীনের তৈরি ১৫টি
অত্যাধুনিক রেল বগি। লাল-সবুজ বগিগুলোর সঙ্গে এসেছে বেশ কিছু আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতিও। আরও ৮৫টি নতুন
বগি আসার কথা রয়েছে।
পদ্মা সেতু দিয়ে প্রথম দিন থেকে বড় ক্রেন দিয়ে পানামার পতাকাবাহী ‘টয়ো ওয়ার্ল্ড’জাহাজ থেকে বগিগুলো
নামানো হয় বন্দরের ১২ নম্বর জেটিতে। এরপর বিশেষ ওয়াগনে বগিগুলো নিয়ে যাওয়া হয় রেলওয়ের
সিজিপিওয়াই ইয়ার্ডে। সেখান থেকে যন্ত্রপাতি সংযোজনের জন্য সৈয়দপুর ওয়ার্কশপে পাঠানো হবে বগিগুলো।
সেখানে প্রয়োজনীয় লোডসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে লাইনে দেওয়া হবে নতুন বগিগুলো।
বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, পদ্মা সেতু প্রকল্পের অধীনে আসা ১৫টি বগি এসেছে চীন থেকে। এসব
বগি দ্রুততম সময়ে খালাসের লক্ষ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ সহযোগিতা দিচ্ছে।
সূত্র জানায়, ঢাকা-পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার রেললাইন বসানো এবং স্টেশন ও অন্য
অবকাঠামো নির্মাণের জন্য আলাদা প্রকল্প নেয় রেলওয়ে। সরকার থেকে সরকার পর্যায়ে (জিটুজি) পদ্ধতিতে এ
প্রকল্পে অর্থায়ন করছে চীন। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। রেল সংযোগের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯
হাজার ২৪৭ কোটি টাকা।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৪২ কিলোমিটার এবং ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৩৯ কিলোমিটার অংশের
কাজের অগ্রগতি শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা-পদ্মা সেতু হয়ে নতুন চার জেলা (মুন্সিগঞ্জ,
শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও নড়াইল) অতিক্রম করে যশোরের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে। ২০২৩ সালের
জুনে পদ্মা সেতু দিয়ে নতুন রেল চলাচলের আশা বাংলাদেশ রেলওয়ের।
একই সঙ্গে বিদ্যমান ভাঙ্গা-পাচুরিয়া-রাজবাড়ী পর্যন্ত রেলপথটি ব্যবহার করে এসব অঞ্চলের মানুষ ঢাকার সঙ্গে
সহজেই যাতায়াত করতে পারবে।

২৬ বছর পর সম্মেলন, পাল্টেনি সভাপতি সম্পাদক…
মোঃ ইব্রাহিম শেখ চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ

২৬ বছর পর বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নেতা-কর্মীদের আশা ছিল নতুন নেতৃত্ব পাবেন তারা। কিন্তু সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে অধ্যাপক
আবদুল গফুর বহাল রয়েছেন। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) নগরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে মৌখিক ভোটে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পক্ষে সমর্থন নিয়ে তাদের নাম ঘোষণা করা হয়।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক
মফিজুর রহমানের পরিচালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি
মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাজাদা মহিউদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ দাশ,
কোষাধ্যক্ষ মুজিবুর রহমান, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক প্রমুখ।
সম্মেলনে সভাপতি পদে এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বিপক্ষে অন্য কোনো প্রার্থী না থাকলেও সাধারণ
সম্পাদক পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকা, কালীপুর ইউনিয়নের
চেয়ারম্যান আ ন ম শাহাদত আলম, চাম্বলের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী ও বাহারছড়ার চেয়ারম্যান
অধ্যাপক তাজুল ইসলাম প্রার্থী ছিলেন।
বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক শ্যামল কান্তি দাশ বলেন, ১২ ডিসেম্বর দক্ষিণ জেলা
আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বাঁশখালী আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে।
জানা গেছে, ১৯৯৬ সালে মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে সভাপতি ও খোরশেদ আলমকে সাধারণ সম্পাদক করে
৫১ সদস্যের বাঁশখালী উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়। পরে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সাধারণ সম্পাদক
খোরশেদ আলম, যুগ্ম সম্পাদক রণতোষ দাশ ও সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক রায়হানুল হক চৌধুরীকে বহিষ্কার
করা হয়। ২০০২ সালে প্রয়াত এমপি সুলতানুল কবির চৌধুরী অধ্যাপক আবদুল গফুরকে সাধারণ সম্পাদক, মো. এনামকে
যুগ্ম সম্পাদক এবং মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকাকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে পদায়ন করেন। এখনো তারা এসব
পদে বহাল আছেন।