“নীলফামারীতে শীত মোকাবেলায় লেপ তোষক তৈরীর ধুম”
বিকাশ রায় বাবুল,
বিশেষ প্রতিনিধি, নীলফামারী:
দেশের সর্বউত্তরের জেলা নীলফামারীতে কিছুদিন থেকে পড়তে শুরু করেছে শীত। রাতের বেলায় অনুভূত হচ্ছে ঠাণ্ডা। সকালে রাস্তার মেঠো পথে ঘাসের উপর দেখা যাচ্ছে শিশির বিন্দু। এলাকাটি ভারতের হিমালয় পর্বতের নিকটবর্তী হওয়ায় দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে এখানে অনেকটা আগেভাগেই বেশি পরিমাণে অনুভূত হচ্ছে শীত। সে কারনেই শীত মোকাবেলায় বাড়ীতে আসার ভ্রাম্যমাণ কারিগরদের নিকট লেপ তোষক তৈরীর ধুম পরেছে ।
স্থানীয়রা জানান, দিনের বেলায় গরম থাকলেও রাতের বেলায় মোটা জাতীয় কাপড় গায়ে দিয়ে ঘুমাতে হয়। নইলে ঠাণ্ডা লাগে। এজন্য লেপ তোষক তৈরী করে নিচ্ছি। সদর উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের দিলীপ রায় বলেন, আমার আগের লেপ তোষক নষ্ট হয়ে গেছে। রাতে ঠান্ডা লাগে। তাই ভ্রাম্যমান কারিগরদের নিকট লেপ তোষক তৈরী করে নিলাম।
লক্ষীচাপ ইউনিয়নের শংকর রায় জানান, রাতে খুবই শীত পরে। খুবই ঠাণ্ডা লাগে। তাই ঠাণ্ডা মোকাবেলায় লেপ তোষক বাড়ীতে কারিগরদের কাছে তৈরী করে নিলাম।
কথা হলে ভ্রাম্যমাণ লেপ তোষক তৈরীর কারিগর মজিবুল ইসলাম ও আব্দুল হামিদ বলেন, আমরা ভ্যানগাড়িতে করে তুলা ও কাপড় নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে কাষ্টমারদের চাহিদা মত পছন্দসই লেপ তোষক, জাজিম, বালিশ তৈরী করে দিচ্ছি।
প্রতিটি লেপ তৈরীতে ৬ থেকে ৭ কেজি তুলা দিয়ে থাকি। আমরা চাদরবাঙ্গা তুলা দিয়ে তৈরীকৃত লেপ প্রায় ২৪ শত , মেডিকেল তুলোর লেপ প্রায় ২ হাজার , ডিজিটাল তুলোর লেপ প্রায় ১৬ শত, কালার তুলোর লেপ প্রায় ১৩ শত এবং ত্রাশ তুলোর তৈরীকৃত লেপ প্রায় ১২ শত টাকা মজুরীসহ নিয়ে থাকি।
এছাড়াও তোষক তৈরীতে ১০ থেকে ২৫ কেজি পর্যন্ত তুলা ব্যবহার করে থাকি। রং ব্লাজার তুলোর তোষক প্রায় ৩ হাজার, কালো ব্লাজার তুলোর প্রায় ২৫ শত, গডান কালার তুলোর ২ হাজার, ত্রাস তুলোর তোষক প্রায় ১৬ শত টাকা ও জাজিম প্রায় ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার পর্যন্ত নিয়ে থাকি এবং ২ থেকে ৪ কেজি ওজনের বালিশ প্রায় জোড়া ৩ শত থেকে ৫ শত টাকা করে নিচ্ছি। তারা আরো জানান, শীতকাল আসায় বেড়ে গেছে তাদের কর্মব্যস্ততা।
বিকাশ রায় বাবুল
নীলফামারী
তারিখঃ ১০/১১/২২
আপনার মতামত লিখুন :