নীলফামারীতে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের।
আব্দুৱ ৱশিদ, নীলফামারী :
‘খেলা হবে খেলা হবে আগুন লাগা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে খেলা হবে ‘ আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই, বললেন নীলফামারীর সৈয়দপুর অফিসার্স কলোনি মাঠে রংপুর বিভাগের শীতার্ত মানুষের কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের। রবিবার দুপুরে নীলফামারীর সৈয়দপুর অফিসার্স কলোনি মাঠে রংপুর বিভাগের আট জেলার মানুষের মাঝে ৩০ হাজার কম্বল বিতরণ উপলক্ষে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজীদ রায় নন্দির সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড: হাছান মাহমুদ,দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী ডা: মো, এনামুর রহমান এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কৃষিবিদ দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মমতাজুল হক। সন্মানিত অতিথি হিসেবে রেল মন্ত্রী এ্যাডভোকেট নুরল ইসলাম সুজন এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যে ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডা,রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় সদস্য শাজাহান খান এমপি, সৈয়দপুর উপজেলা সভাপতি মোকছেদুল মোমিন, সৈয়দপুর পৌর মেয়র রাফিকা জাহান বেবী প্রমুখ।
প্রধান অতিথি ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, এই সরকারের নানান উন্নয়নের ফিরিস্তি দিতে গিয়ে বলেন, এই অঞ্চল একসময় বন্যায় ভাসতো এখন উন্নয়নে ভাসছে দেশ, উল্লেখযোগ্য উত্তরা ইপিজেড, চিলাহাটি থেকে ঢাকা, পঞ্চগড় থেকে ঢাকা রেলওয়ে চালু হয়েছে, মঙ্গা কবলিত এই অঞ্চল শিল্পায়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়ে মঙ্গা দূর হয়েছে। সেই উন্নয়ন সমুন্নত রাখতে পুনরায় নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বদ্ধপরিকর। সভায় রংপুর বিভাগের ৮ টা জেলার মাঝে ৩ হাজার করে কম্বল বিতরণ করেন।
“উলিপুরে শেষ হলো নতুন শিক্ষাক্রমের পাঁচ দিনের প্রশিক্ষণ।
আবুল কালাম আজাদ, উলিপুর প্রতিনিধি –
” শিক্ষা নিয়ে গড়ব দেশ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারা দেশের ন্যায় উলিপুরে নতুন শিক্ষাক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের আওতাধীন “ন্যাশনাল কারিকুলাম ফ্রেম ওয়ার্ক” শীর্ষক দিনব্যাপী শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি২০২৩ শুরু হয়ে ৫ দিন ব্যাপি চলে এ প্রশিক্ষণ। ৫ দিন প্রশিক্ষণ চলার পর আজ রবিবার তা শেষ হয়।
শুক্রবার ৬ জানুয়ারি নতুন শিক্ষাক্রম এর প্রশিক্ষণ শুরু হয় উলিপুর মহারানী স্বর্নময়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের বাস্তবায়নে দু’টি উপজেলা উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসার ১২৩৫ জন শিক্ষক/শিক্ষিকা এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। পাঁচ দিনের বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষণ শেষে তাদের সম্মানি দেয়া হয়। প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষকেরা বলেন, নতুন কারিকুলামে জাতীয় শিক্ষাক্রম রুপরেখা ইতিবাচক বলে মনে করেন তারা। এ শিক্ষাক্রম রুপরেখা বাস্তবায়ন হলে শিক্ষার্থীরা অবশ্যই মানব সম্পদে পরিণত হবে বলে জানান তারা।
কোর্স কো-অর্ডিনেটর চিলমারী উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তাহের আলী এর নেতৃত্বে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর মোট ১১টি বিষয়ে ৬৪ জন প্রশিক্ষক দ্বারা কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এখানে ১২৩২ জন শিক্ষকের মধ্যে চিলমারী উপজেলার ১১৩ জন শিক্ষকের প্রশিক্ষণ চলে পাঁচ দিন ব্যাপি। নতুন কারিকুলামে জাতীয় শিক্ষাক্রম রুপরেখা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সারাদেশ ব্যাপি চলেছে এ প্রশিক্ষণ। তিনি বলেন,এ প্রশিক্ষণে সকল শিক্ষক দক্ষতা অর্জন করেছে বলে আশা করছেন।
জাতীয় শিক্ষাক্রম রুপরেখায় প্রশিক্ষণ নেয়া সাকসেস রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক সাইদুল ইসলাম বলেন, আমি ডিজিটাল প্রযুক্তি বিষয়ে ইতিপূর্বে অনলাইনে প্রশিক্ষণ নেয়ার পর বাস্তবে ৫দিন প্রশিক্ষণ শেষ করলাম। বর্তমান শিক্ষাক্রম রুপরেখায় ইতিবাচক বলে মনে হচ্ছে। তবে আমাদের প্রচেষ্টায় নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন হবে বলে জানান তিনি।
এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা থেকে প্রশিক্ষণ নিতে আসা আসাদুজ্জামান, নুরুলহুদা, কামরুজ্জামান, মাহামুদা বেগম, নারগিছআরা সহ আরও অনেকে বলেন, আমারা ৫ দিন থেকে নতুন কারিকুলামে এবং নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে প্রশিক্ষণ নিলাম। এখন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ক্লাসে ক্লাসে আনন্দময় পড়াশোনার পরিবেশ সৃষ্টি করে পাঠদান কার্যক্রম চালাবো। তারা আরও বলেন নতুন শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীদের দক্ষতা করে তুলবে। এ ছাড়াও শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধের চেতনায় উউজ্জীবিত দেশপ্রেমিক, উৎপাদনমুখী, অভিযোজনে সক্ষম সুখী ও বৈশ্বিক নাগরিক হিসাবে গড়ে উঠবে বলে জানান তারা।
এ বিষয়ে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিষয়ের প্রশিক্ষক রেজাউল মওলা বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন ইতিবাচক। জাতীয় শিক্ষাক্রম রুপরেখা/২০২১ বাস্তবায়ন করতে এ প্রশিক্ষণ। তিনি বলেন, এমন কোন কঠিন কাজ নেই যে মহান পেশায় নিয়োজিত শিক্ষকেরা পাবেনা। নতুন শিক্ষাক্রম পরিবর্তনে রুপান্তরযোগ্য দক্ষতা ও যোগ্যতাভিত্তিক শিক্ষাক্রম প্রনয়ণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীকেনদ্রিক ও আনন্দময় পড়াশোনার পরিবেশ সৃষ্টি হবে বলে জানান তিনি।
প্রশিক্ষণ পরিচালক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ মোঃ তারিকুল ইসলাম বলেন, ইতিপূর্বে এই শিক্ষককেরা অনলাইনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে। আমরা আশা করছি এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকরা দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত হবে এবং শিক্ষার মানকে উন্নত করে তুলবে। আমাদের যে নতুন শিক্ষাক্রম সেটা সর্বাত্মক সুন্দরভাবে সম্পূর্ণ হবে। তাছাড়া সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রশিক্ষণ ছাড়া কোন শিক্ষক শ্রেণীকক্ষে পাঠদান করাতে পারবে না বলে জানান তিনি”