দোয়ারাবাজারে নদীর পাড় কেটে বেড়িবাঁধ ভেঙে বালু উত্তোলন বন্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ২১, ২০২৪, ১২:০৫ পূর্বাহ্ন / ৯৪
দোয়ারাবাজারে নদীর পাড় কেটে বেড়িবাঁধ ভেঙে বালু উত্তোলন বন্ধে  এলাকাবাসীর মানববন্ধন

মোঃজুয়েল মিয়া ,দোয়ারাবাজার সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি ।
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের চেলা নদীর নিকটবর্তী রহিমেরপাড়া গ্রামের বন্যা রক্ষা বেড়িবাঁধ ভেঙে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বিকালে উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের চেলা নদীর নিকটবর্তী রহিমেরপাড়া গ্রামবাসী এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।

মানববন্ধনে এলাকাবাসী জানান, উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের রহিমেরপাড়া গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া চেলা নদীর পাহাড়ি ঢল থেকে গ্রামকে রক্ষা করতে কয়েক বছর আগে বেড়িবাঁধ দেওয়া হয়। কিন্তু রহিমেরপাড়া গ্রামের তরিক আলী’র পুত্র ফজর আলী কয়েকবছর ধরে
বেড়িবাঁধের গোড়া থেকে বালু উত্তোলনের করায় দিন দিন বাঁধের আকার ছোট হয়ে আসছে। এতে প্রতিবছর বর্ষাকালে পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে যায় রহিমেরপাড়া গ্রাম।

গ্রাম রক্ষার বেড়িবাঁধের নিচ থেকে বালু উত্তোলন বন্ধে ফজর আলীকে গ্রামবাসী একাধিকবার বাঁধা দিলে ফজর আলী বাঁধা নিষেধ না মেনে প্রতিবছর বাঁধের নিচ থেকে ব্যপরোয়া ভাবে বালু উত্তোলন করায় পুরো এলাকা এখন হুমকির মুখে পড়েছে।

বালু খেকু ফজর আলী’র অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়ে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

মানববন্ধনে বক্তব্যদেন, রহিমেরপাড়া গ্রামের উত্তর পঞ্চায়েত পরিচালনাা কমিটির সভাপতি আরিছ আলী,রহিমের পাড়া গ্রামে বাসিন্দা মোঃ আফতাব উদ্দিন,আব্দুর রহিম,তেরা মিয়া,আবুল কাশেম,নজরুল,আঃ আজিজ,আঃ রহমান,আঃ মতলিব,আনসার আলী,আছকির আলী,কদ্বুস আলী,নাজিম উদ্দিন,বশির মিয়া,সাদিক মিয়া,আফরুজ আলী,সোহেল আহমদ,ইন্তাজ আলী,কালা মিয়া,আঃসত্তার,ফজর আলী,মাশুক মিয়া,জুয়েল মিয়া, শাহিন আহমদ,লেয়াকত আলী,হেলাল মিয়া,কামাল হোসেন,আঃ রউফ,সিদ্দেক আলী প্রমুখ।
এসময় এলাকার শতাধিক মানুষজন উপস্থিত ছিলেন।

এবিষয়ে দোয়ারাবাজার উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফজলে রব্বানী জানান,অবৈধভাবে নদীর তীর কেটে বেড়িবাঁধ নষ্ট করে বালু উত্তোলনকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে এলাকাবাসী আরো আগে থেকে সোচ্চার হওয়ার উচিৎ ছিল। এবিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।