Dhaka ০৬:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“দুবলার চরে রাসমেলায় যেতে পাঁচটি নিরাপদ রুট নির্ধারণ”

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:১৪:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ অক্টোবর ২০২২
  • ৩১৭ Time View
“দুবলার চরে রাসমেলায় যেতে পাঁচটি নিরাপদ রুট নির্ধারণ”
মোঃ শামীম হোসেন- খুলনা
প্রতি বছরের মতো এবারও রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে সুন্দরবনের দুবলার চরে আগামী ৬ থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী ‘রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান’ অনুষ্ঠিত হবে। পুণ্যস্নানে নিরাপদে যাতায়াতের জন্য দর্শনার্থী ও তীর্থযাত্রীদের জন্য সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ পাঁচটি পথ নির্ধারণ করেছে। এ সকল পথে বন বিভাগ, পুলিশ, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল দল তীর্থযাত্রী ও দর্শনার্থীদের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এ সকল তথ্য জানিয়েছেন। অনুমোদিত পাঁচটি পথ  ১. বুড়িগোয়ালিনী, কোবাদক থেকে বাটুলানদী-বল নদী-পাটকোষ্টা খাল হয়ে হংসরাজ নদী হয়ে দুবলার চর। ২. কয়রা, কাশিয়াবাদ, খাসিটানা, বজবজা হয়ে আড়–য়া শিবসা, অতঃপর শিবসা নদী-মরজাত হয়ে দুবলার চর। ৩. নলিয়ান স্টেশন হয়ে শিবসা-মরজাত নদী হয়ে দুবলার চর। ৪. ঢাংমারী অথবা চাঁদপাই স্টেশন-তিনকোনা দ্বীপ হয়ে দুবলার চর।
৫. বগী-বলেশ্বর-সুপতি-কচিখালী-শেলার চর হয়ে দুবলার চর। রাস পূর্ণিমা পুণ্যস্নান উপলক্ষ্যে ৬ থেকে ৮ নভেম্বর এ তিন দিনের জন্য সনাতন ধর্মাবলম্বী দর্শনার্থী ও তীর্থযাত্রীদের অনুমতি প্রদান করা হবে। কোভিড-১৯ এর কারণে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং মাস্কবিহীন কোন তীর্থযাত্রী/পুণ্যার্থী পুণ্যস্নানস্থলে গমন করতে পরবে না। প্রবেশের সময় প্রতিটি এন্ট্রি পয়েন্টে লঞ্চ, ট্রলার ও নৌকার প্রবেশ ফি, অবস্থান ফি, লোকের সংখ্যা অনুযায়ী বিধি মোতাবেক রাজস্ব আদায় পূর্বক পাশ প্রদান করা হবে এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপিসহ তীর্থযাত্রীদের আবেদন করতে হবে।প্রতিটি অনুমতিপত্রে সিল মেরে পথ/রুট উল্লেখ করা হবে ও যাত্রীরা নির্ধারিত রুটগুলোর মধ্যে পছন্দমতো একটি মাত্র পথ ব্যবহারের সুযোগ পাবেন, ৬ নভেম্বর তারিখ দিনের ভাটায় যাত্রা শুরু করতে হবে এবং নৌযানগুলো কেবল দিনের বেলায় চলাচল করতে পারবে। বনবিভাগের চেকিং পয়েন্ট ছাড়া অন্য কোথাও নৌকা, লঞ্চ বা ট্রলার থামানো যাবে না। প্রতিটি ট্রলারের গায়ে রং দিয়ে বিএলসি অথবা সিরিয়াল নম্বর লিখতে হবে। সুন্দরবনের অভ্যন্তরে অবস্থানকালীন সবসময় টোকেন ও টিকেট নিজের সঙ্গে রাখতে হবে। প্রতিটি লঞ্চ, নৌকা ও ট্রলারকে আলোরকোলে স্থাপিত কন্ট্রোলরুমে রির্পোট করতে হবে। রাসপূর্ণিমা পুণ্যস্নানের সময় কোন বিস্ফোরকদ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার ও বহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কারো কাছে আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরকদ্রব্য, হরিণ মারার ফাঁদ, দড়ি, গাছ কাটা কুড়াল, করাত ইত্যাদি অবৈধ কিছু পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ট্রলারে কোন প্লাস্টিকের খাবারের প্লেট বহন করা যাবে না। লঞ্চ, ট্রলার, নৌকায় এবং পুণ্যস্নান স্থালে মাইক বাজানো, পটকা, বাজি ফোটানোসহ কোন প্রকার শব্দ দূষণ করা যাবে না। রাস পূর্ণিমায় আগত পুণ্যার্থীদের সুন্দরবনে প্রবেশের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের নিকট হতে প্রাপ্ত নাগরিকত্বের সনদপত্রের মূলকপি সাথে রাখতে হবে।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

“দুবলার চরে রাসমেলায় যেতে পাঁচটি নিরাপদ রুট নির্ধারণ”

Update Time : ০৫:১৪:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ অক্টোবর ২০২২
“দুবলার চরে রাসমেলায় যেতে পাঁচটি নিরাপদ রুট নির্ধারণ”
মোঃ শামীম হোসেন- খুলনা
প্রতি বছরের মতো এবারও রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে সুন্দরবনের দুবলার চরে আগামী ৬ থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী ‘রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান’ অনুষ্ঠিত হবে। পুণ্যস্নানে নিরাপদে যাতায়াতের জন্য দর্শনার্থী ও তীর্থযাত্রীদের জন্য সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ পাঁচটি পথ নির্ধারণ করেছে। এ সকল পথে বন বিভাগ, পুলিশ, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল দল তীর্থযাত্রী ও দর্শনার্থীদের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এ সকল তথ্য জানিয়েছেন। অনুমোদিত পাঁচটি পথ  ১. বুড়িগোয়ালিনী, কোবাদক থেকে বাটুলানদী-বল নদী-পাটকোষ্টা খাল হয়ে হংসরাজ নদী হয়ে দুবলার চর। ২. কয়রা, কাশিয়াবাদ, খাসিটানা, বজবজা হয়ে আড়–য়া শিবসা, অতঃপর শিবসা নদী-মরজাত হয়ে দুবলার চর। ৩. নলিয়ান স্টেশন হয়ে শিবসা-মরজাত নদী হয়ে দুবলার চর। ৪. ঢাংমারী অথবা চাঁদপাই স্টেশন-তিনকোনা দ্বীপ হয়ে দুবলার চর।
৫. বগী-বলেশ্বর-সুপতি-কচিখালী-শেলার চর হয়ে দুবলার চর। রাস পূর্ণিমা পুণ্যস্নান উপলক্ষ্যে ৬ থেকে ৮ নভেম্বর এ তিন দিনের জন্য সনাতন ধর্মাবলম্বী দর্শনার্থী ও তীর্থযাত্রীদের অনুমতি প্রদান করা হবে। কোভিড-১৯ এর কারণে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং মাস্কবিহীন কোন তীর্থযাত্রী/পুণ্যার্থী পুণ্যস্নানস্থলে গমন করতে পরবে না। প্রবেশের সময় প্রতিটি এন্ট্রি পয়েন্টে লঞ্চ, ট্রলার ও নৌকার প্রবেশ ফি, অবস্থান ফি, লোকের সংখ্যা অনুযায়ী বিধি মোতাবেক রাজস্ব আদায় পূর্বক পাশ প্রদান করা হবে এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপিসহ তীর্থযাত্রীদের আবেদন করতে হবে।প্রতিটি অনুমতিপত্রে সিল মেরে পথ/রুট উল্লেখ করা হবে ও যাত্রীরা নির্ধারিত রুটগুলোর মধ্যে পছন্দমতো একটি মাত্র পথ ব্যবহারের সুযোগ পাবেন, ৬ নভেম্বর তারিখ দিনের ভাটায় যাত্রা শুরু করতে হবে এবং নৌযানগুলো কেবল দিনের বেলায় চলাচল করতে পারবে। বনবিভাগের চেকিং পয়েন্ট ছাড়া অন্য কোথাও নৌকা, লঞ্চ বা ট্রলার থামানো যাবে না। প্রতিটি ট্রলারের গায়ে রং দিয়ে বিএলসি অথবা সিরিয়াল নম্বর লিখতে হবে। সুন্দরবনের অভ্যন্তরে অবস্থানকালীন সবসময় টোকেন ও টিকেট নিজের সঙ্গে রাখতে হবে। প্রতিটি লঞ্চ, নৌকা ও ট্রলারকে আলোরকোলে স্থাপিত কন্ট্রোলরুমে রির্পোট করতে হবে। রাসপূর্ণিমা পুণ্যস্নানের সময় কোন বিস্ফোরকদ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার ও বহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কারো কাছে আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরকদ্রব্য, হরিণ মারার ফাঁদ, দড়ি, গাছ কাটা কুড়াল, করাত ইত্যাদি অবৈধ কিছু পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ট্রলারে কোন প্লাস্টিকের খাবারের প্লেট বহন করা যাবে না। লঞ্চ, ট্রলার, নৌকায় এবং পুণ্যস্নান স্থালে মাইক বাজানো, পটকা, বাজি ফোটানোসহ কোন প্রকার শব্দ দূষণ করা যাবে না। রাস পূর্ণিমায় আগত পুণ্যার্থীদের সুন্দরবনে প্রবেশের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের নিকট হতে প্রাপ্ত নাগরিকত্বের সনদপত্রের মূলকপি সাথে রাখতে হবে।