“দাগনভূঞায় ২৮ টি বন্য পাখি অবমুক্ত করলেন সহকারী কমিশনার  মেহেরাজ শারবীন”


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ২০, ২০২২, ৫:০৮ অপরাহ্ন / ৩১০
“দাগনভূঞায় ২৮ টি বন্য পাখি অবমুক্ত করলেন সহকারী কমিশনার  মেহেরাজ শারবীন”
“দাগনভূঞায় ২৮ টি বন্য পাখি অবমুক্ত করলেন সহকারী কমিশনার  মেহেরাজ শারবীন”
আবুল হাসনাত রিন্টু, ফেনী প্রতিনিধি –
বসুরহাটের কবুতর হাটে অভিযান চালিয়ে ২৮টি বন্যপাখি উদ্ধার করেন ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেরাজ শারবীন। পরে উপজেলা পরিষদে এনে পাখিগুলোকে অবমুক্ত করা হয়। সূত্র জানা যায়, বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের ইন্সপেক্টর আব্দুল্লাহ আস সাদিক ও অসিম মল্লিক ফেনী সামাজিক বন বিভাগের এবং ফেনী ওয়াইল্ড লাইফ রেস্কিউ টিমের সহযোগিতায় অবমুক্ত পাখিগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৭টি শালিক, একটি ডাহুক, ১০টি তিলা ঘুঘু।
অভিযানে দাগনভূঞা উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা মেহেরাজ শারবীন, ফেনী ওয়াইল্ড লাইফ রেস্কিউ টিমের প্রতিষ্ঠাতা সাইমুন ফারাবী ও টিম সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। দাগনভূঞা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেরাজ শারবীন বলেন, অভিযান পরিচালনা করে পাখিগুলো উদ্ধার করে অবমুক্ত করা হয় এবং বিক্রেতাকে সতর্ক করা হয়েছে। বন্য পাখির আইন মেনে না চললে জেল জরিমানা করা হবে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে
“ফেনী ইউনিভার্সিটির ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
আবুল হাসনাত রিন্টু, ফেনী প্রতিনিধি –
ফেনী ইউনিভার্সিটির ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আয়োজন করা হয়েছে। শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সকালে শোভাযাত্রাটি শহরের ট্রাংক রোড থেকে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ফেনী ইউনিভার্সিটির উপাচার্য শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. জামাল উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ফেনী জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী।অতিথি ছিলেন ট্রাস্টি বোর্ডের সহ-সভাপতি শাহিদ রেজা শিমুল, ট্রাস্টি বোর্ডের নির্বাহী কমিটির সদস্য সচিব ডা. এ এস এম তবারক উল্যাহ চৌধুরী বায়েজিদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর তায়বুল হক, রেজিস্ট্রার এ এস এম আবুল খায়ের, ট্রাস্টি বোর্ডের নির্বাহী কমিটির সদস্য মেহেরাজুল করিম মানিক, ফেনী ইউনিভার্সিটি পরীক্ষার নিয়ন্ত্রক মো. হারুন আল রশিদ।
‘ল’ ডিপার্টমেন্টের প্রভাষক সাখাওয়াত সাজ্জাদ সাজেন ও বিবিএ ডিপার্টমেন্টের প্রভাষক নুসরাত শারমিনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক, ব্যবসা প্রশাসন অনুষদের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল কাশেম, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সরকারী অধ্যাপক মরিয়ম আক্তার, শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন সিএসই ২৮ ব্যাচের অনিন্দিতা সাহা, বিবিএ ২৬ ব্যাচের ইসরাত জাহান, এলএলবি ২৫ ব্যাচের সৈকত হোসেন সজীব।
“ফেনীতে দুই ভাইয়ের ইসলাম গ্রহণ”
আবুল হাসনাত রিন্টু, ফেনী প্রতিনিধি –
দীর্ঘদিন পবিত্র কুরআন অধ্যয়ন ও গবেষণা করে ইসলামী রীতিনীতি ও আদর্শের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে,শান্তির ধর্ম ইসলামকে মনে-প্রাণে ভালোবেসে এই ধর্মের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলামধর্ম গ্রহণ করেছেন ফেনী শহরের বাঁশপাড়া এলাকার বাসিন্দা খোকন সাহা। তার বর্তমান নাম মোঃ সোলাইমান ইব্রাহিম তাজওয়ার। ইসলাম ধর্মে প্রবেশের পর সোলাইমানের কাজকর্মে আকৃষ্ট হয়ে তার ছোট ভাই গোবিন্দ সাহাও পরে ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় গ্রহণ করেন এবং নিজের আগের নাম বদলে নতুন নাম রাখেন মো: আজওয়াদ ইব্রাহিম মুসা। গত মঙ্গলবার ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গিয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে তারা দুই ভাই আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলামে প্রবেশ করেন।
এফিডেভিটে নওমুসলিম মো: সোলাইমান ইব্রাহিম তাজওয়ার বলেন, ‘গত ১ সেপ্টেম্বর পবিত্র কালিমায়ে শাহাদাত পাঠ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করি। সেই অনুযায়ী ইসলাম ধর্মের রীতিনীতি অনুযায়ী ইসলামী আদর্শে জীবনযাপন করার চেষ্টা করছি।’ এরপর তার প্রতি মুগ্ধ হয়ে ছোট ভাই মো: আজওয়াদ ইব্রাহিম মুসা গত ১ অক্টোবর ইসলাম গ্রহণ করেন।
ফেনী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশ্রাফুল আলম গীটার দুই ভাইয়ের ইসলাম ধর্ম গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
“ফেনী-নোয়াখালীর বিভিন্ন নদী-খালে নিষিদ্ধ সাকার মাছ”
আবুল হাসনাত রিন্টু, ফেনী প্রতিনিধি –
ফেনী-নোয়াখালীর বিভিন্ন নদী ও খালে পাওয়া যাচ্ছে জীব বৈচিত্র্য ধ্বংসকারী নিষিদ্ধ মাছ সাকার। শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সকালে নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জের মুসাপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদপুর গ্রামের খালে এক জেলের জালে একটি সাকার ফিস ধরা পড়ে।মাছটি কীভাবে খালে এলো- কেউ বলতে পারছে না। ফেনীর সোনাগাজী ও নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ এলাকার বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি সাকার ফিস পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। বাসু মিয়া নামে মোহাম্মদপুর গ্রামের এক বাসিন্দা জানান, সকালে মাছটি পাওয়ার কথা জানা যায়। মাছটি কেউ চিনতে পারছিল না। মাছটি দেখতে অপরিচিত হওয়ায় সেটি সংরক্ষণ করা হয়। ফেনী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন বলেন, সাকার ফিস আমাদের জীব-বৈচিত্র্য ও মৎস্য সম্পদের জন্য চরম ক্ষতিকর। নিষিদ্ধ ঘোষিত মাছটি ফেনী অঞ্চলের নদী জলাশয়ে পাওয়ার খবর ভালো নয়। নোয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন জানান, দেশের একেকটি নদী যেহেতু বিভিন্ন নদীর সঙ্গে সংযুক্ত, হয়ত স্রোতে ভেসে এ অঞ্চলে চলে এসেছে। আমি জনসাধারণকে বলেছি, কেউ মাছটি পেলে যেন মাটিতে পুঁতে ফেলে। সচেতনতামূলক কয়েকটি কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। অ্যাকুরিয়ামের শোভা বাড়ানো সাকার মাউথ ক্যাটফিশ’র উপস্থিতির কারণে কিছুদিন ধরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন খামারিরা। এই মাছ দেশিয় প্রজাতির মাছের রেণু খেয়ে ফেলে। সাধারণ জৈববৈচিত্রের জন্যও হুমকি।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কেউ সাকার মাছ আমদানি, প্রজনন, চাষ, পরিবহন, বিক্রি, গ্রহণ বা প্রদান, বাজারজাতকরণ, সংরক্ষণ, প্রদর্শন ও মালিক হতে পারবেন না। মাছটি সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া এ মাছ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ঝুঁকি বয়ে আনতে পারে। মানব শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে নানা রোগ। তবে নিষিদ্ধের খবর এখনও অজানা সাধারণ মানুষের।
“হাতিয়ায় ৫০ হাজার টাকায়  বিক্রি হলো ৭ মণ ওজনের ‘শাপলাপাতা’ মাছ”
মোঃ হানিফ উদ্দিন সাকিব, হাতিয়া উপজেলা প্রতিনিধি –
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটে বঙ্গোপসাগরে ধরা পড়া সাত মণ ওজনের ‘শাপলাপাতা’ মাছ বিক্রি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে মাঝি আনিস মিয়া মৎস্য আড়তে মাছটি পঞ্চাশ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। এ ব্যাপারে মাঝি আনিস মিয়া বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে সাগরে মাছ ধরি। কিন্তু এখন পর্যন্ত শাপলাপাতা মাছ পাইনি। এত বড় মাছ আমার জালে এই প্রথম ধরা পড়ল। আমি চেয়ারম্যান ঘাটের মেঘনা ফিশিং এজেন্সির মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকায় মাছটি বিক্রি করেছি। মেঘনা ফিশিং এজেন্সির ম্যানেজার মো. হাবিব ভূঁইয়া বলেন, নিলামে অনেক ব্যাপারি অংশগ্রহণ করেন। ব্যাপারি মানিক সওদাগরের কাছে ৭ মণের মাছটি ৭ হাজার টাকা মণ ধরে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।
জানতে চাইলে হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম বলেন, সমুদ্রে মাছটি পাওয়া যায়। বাজারে মাছটির চাহিদা রয়েছে। বিরল প্রজাতির এই সামুদ্রিক মাছটিকে স্থানীয়ভাবে হাউস মাছ বলা হলেও এর নাম রে ফিন ফিস বা স্টিং ফিস। তবে এটি শাপলাপাতা মাছ নামেই পরিচিত।
হানিফ সাকিব
০১৭৭১৪০৩৪০৯
হাতিয়া উপজেলা