Dhaka ০২:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“ডিমলায় প্রায় দোকানে বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস, পেট্রোল ও অকটেন”

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:৩৬:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২
  • ৫৪০ Time View
“ডিমলায় প্রায় দোকানে বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস, পেট্রোল ও অকটেন”
মোঃ হাবিবুল হাসান হাবিব, ডিমলা( নীলফামারী) প্রতিনিধি –
নীলফামারীর ডিমলায় প্রায় দোকানে বিক্রি হচ্ছে তরল জাতীয় পেট্রোলিয়াম (এলপি) গ্যাসের সিলিন্ডার, পেট্রোল ও অকটেনের মত দাহ্য পদার্থ। ফলে যেকোনো সময় বিস্ফোরণ ও প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল ও সুধীমহল।
সরকারি অনুমোদিত পেট্রোল পাম্প ছাড়া প্রেট্রোল জাতীয় দাহ্য পদার্থ বিক্রির বিধান নেই। কিন্তু তা উপেক্ষা করে উপজেলাসহ  গ্রাম এলাকার হাটবাজারে এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের পাশাপাশি প্লাস্টিকের জারিকেন ও প্লাস্টিক বোতলে পেট্রোল  দাহ্য পদার্থ বিক্রি হচ্ছে হরহামেশাই। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ডিমলা সদর, পশ্চিম ছাতনাই, পূর্ব ছাতনাই, বালাপাড়া, খগাখড়িবাড়ী, গয়াবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, নাউতারা, খালিশা চাপানি, ঝুনাগাছ চাপানীসহ ১০টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকার জনবহুল ও আবাসিক এলাকায়ও এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে। এমনকি চা-পান বিড়ি সিগারেটের দোকানে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার রেখে বিক্রি করা হচ্ছে। কোন প্রকার অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম ছাড়াই উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছোট বড় সকল হাট-বাজারে চায়ের দোকানে, পানের দোকানে, বাইসাইকেল মেকানিকের দোকানে, মোটরসাইকেল মেকানিকের দোকানে, রাস্তার মোড়ে মোড়ে যেখানে সেখানে যত্রতত্র অবাধে বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস, পেট্রোল ও অকটেন জাতীয় দাহ্য পদার্থ।
সুশীল সমাজ ও একাধিক প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, ডিমলা উপজেলায় সরকারি অনুমোদিত পেট্রোল পাম্প রয়েছে চারটি। এগুলো দিবারাত্রি খোলা রয়েছে। তারপরও বাইরে খোলামেলা এসব দাহ্য পদার্থ  বিক্রির প্রবণতা ক্রমেই বেড়ে চলছে এলাকায়। এতে অগ্নিকাণ্ডসহ যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এসবের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা না করায় দিন দিন বেড়ে চলেছে দোকানের সংখ্যা। বিভিন্ন কোমল পানীয়র বোতলে ভরে পেট্রোল/অকটেন বিক্রি করা হচ্ছে। এসব দোকানের পেট্রোল অকটেন ক্রেতাকে অনেক দোকানি চিনেন না বা জানেন না। এটি খুবই বিপজ্জনক। খুব সহজেই দুষ্কৃতদের হাতে পেট্রোল/অকটেন চলে যেতে পারে। এতে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
ডিমলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ বলেন, সড়কের ধারে সাজিয়ে রেখে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করা খুবই বিপজ্জনক। এ ছাড়া যত্রতত্র পেট্রোল বা দাহ্য পদার্থ বিক্রির কারণে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডসহ প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে।  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, দাহ্য জাতীয় পদার্থ বিক্রির সুনির্দিষ্ট সরকারি বিধিমালা রয়েছে। যত্রযত্র বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

শেরপুর হাইও‌য়ে পু‌লিশ ক‌্যাম্প প‌রিদর্শন কর‌লেন পু‌লিশ সুপার!

“ডিমলায় প্রায় দোকানে বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস, পেট্রোল ও অকটেন”

Update Time : ০৬:৩৬:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২
“ডিমলায় প্রায় দোকানে বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস, পেট্রোল ও অকটেন”
মোঃ হাবিবুল হাসান হাবিব, ডিমলা( নীলফামারী) প্রতিনিধি –
নীলফামারীর ডিমলায় প্রায় দোকানে বিক্রি হচ্ছে তরল জাতীয় পেট্রোলিয়াম (এলপি) গ্যাসের সিলিন্ডার, পেট্রোল ও অকটেনের মত দাহ্য পদার্থ। ফলে যেকোনো সময় বিস্ফোরণ ও প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল ও সুধীমহল।
সরকারি অনুমোদিত পেট্রোল পাম্প ছাড়া প্রেট্রোল জাতীয় দাহ্য পদার্থ বিক্রির বিধান নেই। কিন্তু তা উপেক্ষা করে উপজেলাসহ  গ্রাম এলাকার হাটবাজারে এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের পাশাপাশি প্লাস্টিকের জারিকেন ও প্লাস্টিক বোতলে পেট্রোল  দাহ্য পদার্থ বিক্রি হচ্ছে হরহামেশাই। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ডিমলা সদর, পশ্চিম ছাতনাই, পূর্ব ছাতনাই, বালাপাড়া, খগাখড়িবাড়ী, গয়াবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, নাউতারা, খালিশা চাপানি, ঝুনাগাছ চাপানীসহ ১০টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকার জনবহুল ও আবাসিক এলাকায়ও এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে। এমনকি চা-পান বিড়ি সিগারেটের দোকানে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার রেখে বিক্রি করা হচ্ছে। কোন প্রকার অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম ছাড়াই উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছোট বড় সকল হাট-বাজারে চায়ের দোকানে, পানের দোকানে, বাইসাইকেল মেকানিকের দোকানে, মোটরসাইকেল মেকানিকের দোকানে, রাস্তার মোড়ে মোড়ে যেখানে সেখানে যত্রতত্র অবাধে বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস, পেট্রোল ও অকটেন জাতীয় দাহ্য পদার্থ।
সুশীল সমাজ ও একাধিক প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, ডিমলা উপজেলায় সরকারি অনুমোদিত পেট্রোল পাম্প রয়েছে চারটি। এগুলো দিবারাত্রি খোলা রয়েছে। তারপরও বাইরে খোলামেলা এসব দাহ্য পদার্থ  বিক্রির প্রবণতা ক্রমেই বেড়ে চলছে এলাকায়। এতে অগ্নিকাণ্ডসহ যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এসবের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা না করায় দিন দিন বেড়ে চলেছে দোকানের সংখ্যা। বিভিন্ন কোমল পানীয়র বোতলে ভরে পেট্রোল/অকটেন বিক্রি করা হচ্ছে। এসব দোকানের পেট্রোল অকটেন ক্রেতাকে অনেক দোকানি চিনেন না বা জানেন না। এটি খুবই বিপজ্জনক। খুব সহজেই দুষ্কৃতদের হাতে পেট্রোল/অকটেন চলে যেতে পারে। এতে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
ডিমলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ বলেন, সড়কের ধারে সাজিয়ে রেখে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করা খুবই বিপজ্জনক। এ ছাড়া যত্রতত্র পেট্রোল বা দাহ্য পদার্থ বিক্রির কারণে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডসহ প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে।  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, দাহ্য জাতীয় পদার্থ বিক্রির সুনির্দিষ্ট সরকারি বিধিমালা রয়েছে। যত্রযত্র বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।