ট্রেন থেকে নেমেই সমুদ্রে পা বাড়াবেন পর্যটকরা।


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ১০, ২০২২, ৮:০১ অপরাহ্ন / ৫৯৫
ট্রেন থেকে নেমেই সমুদ্রে পা বাড়াবেন পর্যটকরা।

ট্রেন থেকে নেমেই সমুদ্রে পা বাড়াবেন পর্যটকরা।
মোঃ ইব্রাহিম শেখ চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ

ট্রেনে চট্টগ্রাম থেকে পর্যটন নগরী কক্সবাজার ভ্রমণের স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে।
ট্রেন থেকে নেমেই সমুদ্রে পা বাড়াতে পারবেন পর্যটকরা।২০২৩ সালের জুন মাসে রাজধানী ঢাকা থেকে কক্সবাজার
রেল চালু হবে। এতে বদলে যাবে কক্সবাজারে অর্থনীতির চিত্র। যোগাযোগ সহজ হলে প্রতি সাপ্তাহে লাখ লাখ পর্যটক ঢাকা
থেকে ছুটবেন কক্সবাজার অভিমুখে। এতে বদলে যাবে জীবনধারা, দেশের অর্থনীতি পাবে নতুন প্রাণ। গার্মেন্টস শিল্পের
মতোই পর্যটন খাত হয়ে উঠবে দেশের অথর্নীতির অন্যতম প্রধান খাত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকা টু কক্সবাজার রেল
যোগাযোগ চালু হলে বিশ্বদরবারে পর্যটন শিল্পে বাংলাদেশের অগ্রগতি হবে। শেষ পর্যায়ে রয়েছে কক্সবাজারে ঝিনুকের আদলে তৈরি করা দেশের প্রথম আইকনিক রেলওয়ে স্টেশনের কাজও। কক্সবাজারের ঝিলংঝা ইউনিয়নের চান্দেরপাড়া এলাকায় তৈরি হচ্ছে ঝিনুক আকৃতির আইকনিক ভবন। ২৯ একর জমির ওপর গড়ে ওঠা রেলস্টেশন ভবনটি ১ লাখ ৮৭ হাজার ৩৭ বর্গফুটের। ভবনটি হবে ছয়তলা। মূল ভবনের সামনে খোলা মাঠে তৈরি হবে ঝিনুকাকৃতির দৃষ্টিনন্দন একটি ফোয়ারা। যাত্রীরা ঝিনুক ফোয়ারা দিয়ে স্টেশনে প্রবেশ করবেন। তারপর চলন্ত সিঁড়ির মাধ্যমে পদচারী সেতু হয়ে উঠবেন ট্রেনে। আবার ট্রেন থেকে নেমে
ভিন্ন পথে বেরিয়ে যাত্রীরা পা বাড়াবেন সৈকত শহরে। এ জন্য তৈরি হচ্ছে গমন ও বহির্গমনের পৃথক দুটি সড়ক।
থাকছে গাড়ি পার্কিংয়ের তিনটি বড় জায়গা।
ভবনের উত্তরে ৬৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১২ মিটার প্রস্থের তিনটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি হচ্ছে। প্রতিটি প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য
৬৫০ মিটার ও প্রস্থ ১২ মিটার। এছাড়া এই স্টেশনটিতে পর্যটকেরা লাগেজ স্টেশনে রেখে সারা দিন সমুদ্রসৈকত
বা দর্শনীয় স্থান ঘুরে রাতের ট্রেনে আবার ফিরতে পারবেন নিজ গন্তব্যে। এছাড়া ভবনটিতে থাকবে টিকিট
কাউন্টার, অভ্যর্থনা কক্ষ, তথ্যকেন্দ্র, মসজিদ, শিশুদের বিনোদনের জায়গা, পেসেঞ্জার লাউঞ্জ,  শপিং মল,
রেস্তোরাঁ, তারকামানের হোটেল, রেস্তোরাঁ, কনফারেন্স হল ও কর্মকর্তাদের কার্যালয়।
২০১০ সালের ৬ জুলাই ‘চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে
মিয়ানমারের ঘুমধুম সীমানা পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প অনুমোদন
দেয় সরকার। প্রকল্পের অধীনে দোহাজারী থেকে কক্সবাজারের রামু পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এবং রামু থেকে
ঘুমধুম পর্যন্ত ২৯ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের কথা ছিল।
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেললাইন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। ২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল
প্রকল্পটি ‘ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। ২০১৮ সালে ডুয়েল গেজ ও সিঙ্গেল ট্র্যাকের রেললাইন প্রকল্পের
নির্মাণকাজ শুরু হয়। তবে মিয়ানমার সরকারের সম্মতি না থাকায় আপাতত রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত ২৯
কিলোমিটার রেললাইনের কাজ হচ্ছে না। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রামু পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেললাইন
নির্মাণে প্রথমে ব্যয় ধরা হয় এক হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। পরে ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে ব্যয়
বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। অর্থায়ন করেছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও
বাংলাদেশ সরকার। প্রথম পর্যায়ে দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত নির্মাণ করা হবে ১০০ কিলোমিটার রেলপথ।
দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ৩৯টি বড় সেতু, ২২৩টি ছোট সেতু ও কালভার্ট, বিভিন্ন শ্রেণির ৯৬টি লেভেল ক্রসিং নির্মাণ করা হচ্ছে। হাতি চলাচলের জন্য থাকবে আন্ডারপাস। নয়টি স্টেশন নির্মাণ করা হবে দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, হারবাং, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ইসলামাবাদ, রামু ও কক্সবাজারে। ২০১৮ সালের ১ জুলাই এ অংশের ভৌত কাজ শুরু হয়। প্রকল্পটির কাজ প্রায় শেষের পথে। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে প্রকল্পটি সম্পন্ন হতে পারে। ইতিমধ্যে কক্সবাজারের রামু, ঈদগাঁও, পেকুয়া ও চকরিয়া অংশে রেলট্র্যাক বসানোর কাজ শেষ হয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, আগামি বছরের আগস্টের মধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল চলাচল শুরু
হবে বলে আশা করছি। সেইসঙ্গে শেষ পর্যায়ে রয়েছে কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনের কাজও।
বৃহস্পতিবার দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শন শেষে রেলমন্ত্রী নূরুল
ইসলাম সুজন বলেন, আগামি জুনের মধ্যে দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন চালু হবে। তখন সারাদেশ থেকে ট্রেন
সরাসরি কক্সবাজারে যাবে।
রেলমন্ত্রী বলেন, ট্রেনে চড়ে কক্সবাজার ভ্রমণ একসময় স্বপ্ন ছিল, এখন বাস্তবায়নের পথে। কক্সবাজারবাসী যেমন
অপেক্ষায় আছে, তেমনি সারা দেশের মানুষ ট্রেনে করে পর্যটন নগরী কক্সবাজার আসার জন্য অপেক্ষায় আছে।
আমরা আশা করছি- নির্ধারিত সময় আগামি বছরের জুনের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ প্রায় ৮০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।
৬০ কিলোমিটার রেললাইন বসানোর কাজ শেষ। বাকি অংশেও রেললাইন বসানোর কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ
হবে। কক্সবাজারে চলাচলের জন্য ট্যুরিস্ট কোচের আদলে উন্নতমানের কোচ দিয়ে ট্রেন পরিচালনা করা হবে।
এজন্য নতুন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
এই প্রকল্পের আওতায় ৫৪টি কোচ কেনা হবে, যেগুলোর জানালা সু-প্রশস্ত। এতে মানুষ অনায়াসে প্রাকৃতিক দৃশ্য
দেখার সুযোগ পাবে। এর আগে রেলমন্ত্রী কক্সবাজারে নির্মাণাধীন আইকনিক স্টেশন বিল্ডিংয়ের বিভিন্ন তলা ঘুরে
দেখেন। এ সময় প্রকল্প কর্মকর্তারা জানান, এপ্রিল মাসের মধ্যে স্টেশন বিল্ডিংয়ের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।
দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মিত হচ্ছে। পুরো
প্রকল্পে ৩৯টি মেজর ব্রিজ এবং ২৪২টি কালভার্ট রয়েছে। হাতি চলাচলের জন্য আন্ডারপাস ও ওভারপাস নির্মাণ
করা হচ্ছে। এই রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা।
আবদুর রহমান নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, ট্রেন আসলে কক্সবাজারের উৎপাদিত লবণ, মাছ, সবজি দ্রুত
ঢাকা-চট্টগ্রাম বিক্রি করা যাবে। এতে আমরা লাভবান হতে পারব এবং আয়ও বাড়বে। পর্যটননগরী
কক্সবাজারকে ঘিরে চলছে সরকারের ১৯১টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ। যার মধ্যে দোহাজারি-কক্সবাজার রেললাইন
অবকাঠামো উন্নয়ন পর্যটন অর্থনীতিতে সুবাতাস বয়ে আনার পাশাপাশি বহুমাত্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের
সূচনা করবে বলে মনেকরেন সংশ্লিষ্টরা। কক্সবাজারের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এখন বছরজুড়েই কক্সবাজারে
পর্যটক আসেন। তবে নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত পর্যটকের আগমন বেশি। রেলের মতো নিরাপদ বাহন চালু হলে
মৌসুমের বাইরেও পর্যটক বাড়বে। পর্যটক যত বাড়বে, তত বেচাকেনা বাড়বে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের
তৈরি পণ্যের বিক্রি বাড়বে। লেনদেনও বাড়বে। কক্সবাজারে যেতে এখন পর্যটকদের প্রধান ভরসা সড়কপথ। আকাশপথে আসা পর্যটকের সংখ্যা সীমিত। পর্যটন অর্থনীতি চাঙা থাকে মূলত শুষ্ক মৌসুমে। রেলওয়ে হলে সারা বছর পর্যটক পাওয়ার আশা করছেন হোটেল-মোটেলের উদ্যোক্তারা। পর্যটনের পর কক্সবাজারের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কয়েকটি খাত হলো-লবণ, কৃষিপণ্য, মৎস্য ও শুঁটকি। এসব পণ্য কম খরচে আনা-নেয়ার সুযোগ তৈরি হবে। কৃষিপণ্য সহজে আনা-নেওয়ার সুবিধা
থাকলে কৃষকেরও দাম পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যেও কিছুটা
গতি আনতে পারে নতুন রেললাইন।

কাটা হচ্ছে টপ সয়েল, হ্রাস পাচ্ছে জমির উর্বরতা।
মোঃ ইব্রাহিম শেখ চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ

আবাদী জমির টপ সয়েল কেটে পোড়ানো হচ্ছে ইটভাটায়। অননুমোদিত ভাবে গড়ে ওঠা
ইটভাটাগুলো নিয়মিত টপ সয়েল ধ্বংস করছে। এতে জমির ঊর্বরতা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে বলে মন্তব্য করে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ফলে ফসল উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সূত্র জানিয়েছে, চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলায় ৪০৫টি ইটভাটা রয়েছে। এসব ইটভাটার অধিকাংশেরই কোনো লাইসেন্স নেই। পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন রয়েছে হাতেগোনা কয়েকটির। আবার রাউজান রাঙ্গুনিয়া মীরসরাইসহ বিভিন্ন এলাকায় বনের পাশে ইটভাটা তৈরি করে কাঠ পোড়ানোরও অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে- চট্টগ্রামের ইটভাটাগুলো আবাদী জমির টপ সয়েল ধ্বংস করছে।
প্রায় প্রতিটি ইটভাটাই টপ সয়েল থেকে মাটির সংস্থান করছে। যে মাটি পুড়িয়ে ইট তৈরি করা হচ্ছে। চট্টগ্রামের শস্য ভাণ্ডার খ্যাত
রাঙ্গুনিয়ার গুমাই বিলের পাশেই গড়ে তোলা হয়েছে বেশ কয়েকটি ইটভাটা। এসব ইটভাটায় হরদম ব্যবহৃত হচ্ছে গুমাই বিলের টপ সয়েল। স্কেভেটরের মতো আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে নিয়মিত টপ সয়েল সাবাড় করা হচ্ছে। ট্রাকে ট্রাকে মাটি তুলে নেয়া হচ্ছে গুমাই বিল থেকে। শুধু গুমাইবিলই নয়, ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, বাঁশখালীসহ বিভিন্ন অঞ্চলে টপ সয়েল সাবাড়ের মহোৎসব চলছে। প্রতিটি ইটভাটাকে কেন্দ্র করে টপ সয়েল কেটে পাহাড়ের মতো করে জড়ো করা হচ্ছে। যা দিয়ে ইট তৈরি হবে। ধানী জমি কিংবা আবাদী জমির টপ সয়েল খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ বলে উল্লেখ করে রাঙ্গুনিয়া কৃষি বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, রাতে দিনে টপ সয়েল কাটা হচ্ছে। আমাদের চোখের সামনেই জমির সর্বনাশ করা হচ্ছে। কিন্তু আসলে আমাদের কিছু করার উপায় নেই। প্রভাবশালী লোকজন সবকিছু ম্যানেজ করে রাতে দিনে টপ সয়েল কাটছে। প্রকাশ্যে দিনের বেলায় স্কেভেটর দিয়ে টপ সয়েল কাটা হলেও কেউ বাধা দেয় না। এতে করে দিনে দিনে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
সূত্র বলেছে, জমির টপ সয়েল কাটার ফলে শুধু ঊর্বরতাই নষ্ট হচ্ছে না, একই সাথে জমি নিচুও হয়ে যাচ্ছে। এতে পানি জমে ফসলহানির ঘটনাও ঘটবে। টপ সয়েল কেটে ফেলা বহু জমিতে পরবর্তীতে ফসল উৎপাদনে ধস নেমেছে বলেও তারা জানান। ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্পষ্ট ঘোষণা রয়েছে, কোনো অবস্থাতেই ফসলি জমির মাটি কাটা যাবে না। যদি বিশেষ প্রয়োজনে কেউ মাটি কাটতে চায় তাহলে মাছ চাষ করা যায় এমন গভীর করে কাটতে হবে। শুধু তাই নয় কাটা জায়গার দুই পাড় বেঁধে দিতে হবে। যাতে মাটি কাটা জমি মাছ চাষের আওতায় চলে আসে। কিন্তু ধানী জমি যেভাবে টপ সয়েল কাটা হচ্ছে তাতে এসব নিয়ম কানুনের কোনো তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। আবাদী জমির টপ সয়েল না কেটে খাল এবং নদী নালার মাটি দিয়ে ইট পোড়ানোর ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র বলেছে, চট্টগ্রামের ইটভাটাগুলোর ব্যাপারে জেলা প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদপ্তর বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করেছে।
বিশেষ করে চিমনি উঁচু করা এবং কাঠ পোড়ানো নিয়ন্ত্রণে আনতে এসব অভিযান পরিচালিত হয়। কিন্তু টপ সয়েল ধংসে বিশেষ কোনো উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয়নি বলেও সংশ্লিষ্টরা মন্তব্য করেছেন। এই ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগের মনিটরিং ও মূল্যায়ন কর্মকর্তা শামীম আহমেদ হেলালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, টপ সয়েল হচ্ছে ঊর্বর জমি। ফসল উৎপাদনে যা খুবই প্রয়োজনীয়। ব্রিকফিল্ডগুলো যেভাবে এই মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে তাতে জমির ঊর্বরতাশক্তি কমে যাচ্ছে। এতে প্রচুর ক্ষতি হচ্ছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, যা কৃষি উৎপাদনেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এই ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলার উপ পরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার বলেন, বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের দেখার কথা। আমরা এখন পর্যন্ত কোনো অভিযান পরিচালনা করিনি। প্রয়োজনে আমরাও অভিযান চালিয়ে টপ সয়েল কাটার অপতৎপরতা বন্ধ করবো।