Dhaka ০৮:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“জেলা পরিষদ নির্বাচনে বাঁশখালী ওয়ার্ডে ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুললেন নিকটতম প্রতিদন্দী ও পরাজিত প্রার্থীরা”

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৪৩:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর ২০২২
  • ৩৬৮ Time View

“জেলা পরিষদ নির্বাচনে বাঁশখালী ওয়ার্ডে ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুললেন নিকটতম প্রতিদন্দী পরাজিত প্রার্থীরা”

আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধি”
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার বাঁশখালী ওয়ার্ডে ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুললেন পরাজিত প্রার্থীরা। সোমবার উপজেলা সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ইভিএম নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোষ্ট করেন পরাজিত প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। এছাড়াও নির্বাচনে জয়ী হওয়া নুরুল মোস্তফা সংগ্রাম ইভিএমের সহযোগিতায় জয়ী হয়েছেন বলেও সমালোচনা করেন তারা। এদিকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই সদস্য পদে ২য় স্থান অধিকার করা চট্টগ্রাম জেলা যুবলীগের সিনিয়ার সহ সভাপতি ও শীলকূপ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক সিকদার লিখেন, ভোট ডাকাতির শ্রেষ্ঠ আবিস্কার ইভিএম। তবে ২২ মিনিট পর ফেসবুক পোষ্টটি ডিলেট করে দেন তিনি।

অপর সদস্য প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান নুর হোসেনের জামাতা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হামিদ হোছাইন লিখেন, মাত্র এক কোটি টাকায় বিক্রি ইভিএম কার্ড, বাঁশখালী জেলা পরিষদ নির্বাচন। তিনি আরও একটি পোষ্টে লিখেন, সাজানো রেজাল্ট, ইভিএম ভোট ডাকাতির একমাত্র মাধ্যম। ইউনিয়ন পরিষদে যিনি পাঁচশ ভোট পায়নি তিনি কিভাবে এত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। যত ক্যালকুলেশন ইভিএম কার্ডে। মেমোরি কার্ডের মাধ্যমে ডাকাতি করে নির্বাচিত হয়ে এই জগন্য প্রতিনিধিরা জনগণকে মুখ দেখাই কেমনে? অপর প্রার্থী খালেকুজ্জামান লিখেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে আমার প্রাপ্ত ভোট মোট ৫১ টা। নুরুল মোস্তফা সিকদার সংগ্রামের প্রাপ্ত ভোট ৩৯ টা। আমার ৫০ ভোট ওনাকে দিয়ে বিজয় ঘোষণা করা হয়েছে। আমি কোন দিন রেহায় দিবো না। অপর আরেক পোষ্টে তিনি বলেন, বর্তমান সমাজের মুনাফেকী ব্যক্তিরা মুনাফেককে ভোট দে, ভাল মানুষেরা ভাল প্রার্থীর পক্ষে থাকে। যদিও বা ইভিএম মেশিন ভোটগুলো চুরি করেছে। তারা যে আমাকে ভোট দিয়েছে তাহা আমার আত্ববিশ্বাস আছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন প্রার্থীর সমর্থক ও আত্মীয় স্বজনরাও ইভিএম নিয়ে নানা প্রশ্ন ছুড়ে দেন। এ বিষয়ে প্রিসাইডিং অফিসার শওকতুজ্জামান বলেন, সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটাররা তাদের ভোট প্রদান করেছেন। নির্বাচনে কোন বিশৃঙ্খলা হয়নি। প্রার্থীরা একে অপরের প্রতি বেস উদার ছিলেন। তাছাড়া নির্বাচনে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা লাগানো ছিল। নির্বাচন কমিশন সরাসরি পর্যবেক্ষণ করেছে। নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাও সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করেছে। ভোট কেন্দ্রে একজন ম্যাজিট্রেট ও ওসিসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এখানে কারচুপির কোন প্রশ্নও আসেনা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

শেরপুর হাইও‌য়ে পু‌লিশ ক‌্যাম্প প‌রিদর্শন কর‌লেন পু‌লিশ সুপার!

“জেলা পরিষদ নির্বাচনে বাঁশখালী ওয়ার্ডে ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুললেন নিকটতম প্রতিদন্দী ও পরাজিত প্রার্থীরা”

Update Time : ০৭:৪৩:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর ২০২২

“জেলা পরিষদ নির্বাচনে বাঁশখালী ওয়ার্ডে ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুললেন নিকটতম প্রতিদন্দী পরাজিত প্রার্থীরা”

আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধি”
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার বাঁশখালী ওয়ার্ডে ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুললেন পরাজিত প্রার্থীরা। সোমবার উপজেলা সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ইভিএম নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোষ্ট করেন পরাজিত প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। এছাড়াও নির্বাচনে জয়ী হওয়া নুরুল মোস্তফা সংগ্রাম ইভিএমের সহযোগিতায় জয়ী হয়েছেন বলেও সমালোচনা করেন তারা। এদিকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই সদস্য পদে ২য় স্থান অধিকার করা চট্টগ্রাম জেলা যুবলীগের সিনিয়ার সহ সভাপতি ও শীলকূপ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক সিকদার লিখেন, ভোট ডাকাতির শ্রেষ্ঠ আবিস্কার ইভিএম। তবে ২২ মিনিট পর ফেসবুক পোষ্টটি ডিলেট করে দেন তিনি।

অপর সদস্য প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান নুর হোসেনের জামাতা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হামিদ হোছাইন লিখেন, মাত্র এক কোটি টাকায় বিক্রি ইভিএম কার্ড, বাঁশখালী জেলা পরিষদ নির্বাচন। তিনি আরও একটি পোষ্টে লিখেন, সাজানো রেজাল্ট, ইভিএম ভোট ডাকাতির একমাত্র মাধ্যম। ইউনিয়ন পরিষদে যিনি পাঁচশ ভোট পায়নি তিনি কিভাবে এত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। যত ক্যালকুলেশন ইভিএম কার্ডে। মেমোরি কার্ডের মাধ্যমে ডাকাতি করে নির্বাচিত হয়ে এই জগন্য প্রতিনিধিরা জনগণকে মুখ দেখাই কেমনে? অপর প্রার্থী খালেকুজ্জামান লিখেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে আমার প্রাপ্ত ভোট মোট ৫১ টা। নুরুল মোস্তফা সিকদার সংগ্রামের প্রাপ্ত ভোট ৩৯ টা। আমার ৫০ ভোট ওনাকে দিয়ে বিজয় ঘোষণা করা হয়েছে। আমি কোন দিন রেহায় দিবো না। অপর আরেক পোষ্টে তিনি বলেন, বর্তমান সমাজের মুনাফেকী ব্যক্তিরা মুনাফেককে ভোট দে, ভাল মানুষেরা ভাল প্রার্থীর পক্ষে থাকে। যদিও বা ইভিএম মেশিন ভোটগুলো চুরি করেছে। তারা যে আমাকে ভোট দিয়েছে তাহা আমার আত্ববিশ্বাস আছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন প্রার্থীর সমর্থক ও আত্মীয় স্বজনরাও ইভিএম নিয়ে নানা প্রশ্ন ছুড়ে দেন। এ বিষয়ে প্রিসাইডিং অফিসার শওকতুজ্জামান বলেন, সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটাররা তাদের ভোট প্রদান করেছেন। নির্বাচনে কোন বিশৃঙ্খলা হয়নি। প্রার্থীরা একে অপরের প্রতি বেস উদার ছিলেন। তাছাড়া নির্বাচনে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা লাগানো ছিল। নির্বাচন কমিশন সরাসরি পর্যবেক্ষণ করেছে। নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাও সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করেছে। ভোট কেন্দ্রে একজন ম্যাজিট্রেট ও ওসিসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এখানে কারচুপির কোন প্রশ্নও আসেনা।