জামিনে মুক্তি পেলেন কিশোরগঞ্জ হোসেনপুর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আল আমিন ভূঁইয়া ও চন্দন।


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ৩, ২০২৩, ৬:৩৯ অপরাহ্ন / ৪৮৬
জামিনে মুক্তি পেলেন কিশোরগঞ্জ হোসেনপুর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আল আমিন ভূঁইয়া ও চন্দন।

জামিনে মুক্তি পেলেন কিশোরগঞ্জ হোসেনপুর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আল আমিন ভূঁইয়া ও চন্দন।

শামীম সরকার  কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জ হোসেনপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আলামিন ভূইয়াকে ১০ই ডিসেম্বর  গ্রেফতার করেছিলেন হোসেনপুর থানার  পুলিশ। দীর্ঘ ২৩ দিন পর   কিশোরগঞ্জ কারাগারে থাকার পর আজ ২ এ জানুয়ারি  ১২ টা সময় কিশোরগঞ্জ কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান। তার সাথে আরও একজন যাবিনে মুক্তি পান হোসেনপুর এর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক চন্দন। তাদেরকে  ফুলের মারা দিয়ে বরণ বরণ করে নেয় বিএনপি নেতাকর্মীরা।
সূত্রে জানা যায় যে গত ৩ই ডিসেম্বর উপজেলা সদর কড়িঘাট মোড়ে  নিয়মিত মামলার এক আসামিকে ধরতে গিয়ে বিএনপির কর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ বাদে
এ সময় ৪ পুলিশ সদস্য আহত হন। এই  ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা ও গাড়ি ভাঙচুর নাশকতা পবিস্ফোরণ দ্রব্য আইনে বিএনপি নেতাকর্মী অখ্যাত ৭০ থেকে ৮০ জনের নামে হোসেনপুর থানায় মামলা করেন পুলিশ।

আছিয়া-খেলু ফকির দম্পতির পাকাঘর উদ্বোধন,পেলেন এক মাসের খাবার ও শীতবস্ত্র উপহার দেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মসিউর রহমান হুমায়ুন।
শামীম সরকার কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি –
গত বছরের ২ অক্টোবর রবিবার  এস টি বাংলা টিভি ও দৈনিক আমার সংবাদ ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘একটি ঘরের জন্য আকুতি আছিয়ার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি নজরে আসে  প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী কৃষিবিদ মসিউর রহমান হুমায়ুন এর।পরে তিনি বিস্তারিত খোজ খবর নিয়ে অসহায় এ পরিবার টির থাকার জন্য পাকা ঘর করে দেয়ার দ্বায়িত্ব নেন।সেই আছিয়া -খেলু ফকির দম্পতির পাকা ঘর নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার দুপুরে এ পাকা ঘর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মসিউর রহমান হুমায়ুন।
এ সময় আছিয়া ও খেলু ফকির দম্পত্তির এক মাসের খাবার বাবদ চাল,ডাল,তেল,চিনি সহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী ও দেয়া হয়।পাশাপাশি কনকনে শীতে যেন কস্ট করতে না হয় সেজন্য শীত নিবারণে ২ টি কম্বল ও উপহার দেন কৃষিবিদ হুমায়ুন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন হোসেনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া পারভেজ,উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহেল,
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল ইসলাম নুরু মিয়া,সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মোবারিছ  প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সহ সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এ সময় কৃষিবিদ মসিউর রহমান হুমায়ুন বলেন,’হোসেনপুর উপজেলার শাহেদল ইউনিয়নের গকুলনগর গ্রামের আছিয়া বেগম ও তার স্বামী খেলু ফকির অসহায় অবস্থায় দিনানিপাত করছেন।তাদের থাকার জন্য একটি ভাল ঘর নেই।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য ও উদ্যেশ্য,মুজিব বর্ষে গৃহহীন- ভূমিহীন থাকবে না কেউ।এরই প্রেক্ষিতে আমি নিজ উদ্যোগে এ অসহায় পরিবার টি ভাল ভাবে থাকার জন্য পাকা ঘর করে তাদের থাকার ব্যাবস্থা করছি’।
জানা যায়,কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার শাহেদল ইউনিয়নের গকুলনগর গ্রামের আছিয়া বেগমের ৪ শতক ভিটেবাড়ী ছাড়া নেই কোনো সম্বল। আছিয়া তার স্বামী জয়নাল আবেদীন খেলু ফকির কে নিয়ে খুব কষ্টে দিনাতিপাত করছেন।
বৃষ্টি এলেই বাড়ে দুর্ভোগ, টিনের ছিদ্র দিয়ে পানি পড়ে ভেসে যায় ঘর। কালবৈশাখী ও ভারী বৃষ্টি হলেই অসহায় দম্পতি ছুটে যান অন্যের ঘরে।
জয়নাল আবেদীন খেলু ফকির আগে পাড়ায় পাড়ায় কটকটি বিক্রি করতেন।কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ হয়ে এখন মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। তেমন কোনো কথা না বলতে পারলেও শেষ জীবনে একটি ঘরের আকুতি জানিয়েছেন।
আছিয়া বেগম বলেন, জীবনের ৫০ টা বছর স্বামীর সাথে এমন ভাঙ্গা ঘরে কাটাইছি। এখন শেষ বয়সে থাকতে খুবেই কষ্ট হয় ৷প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী কৃষিবিদ মসিউর রহমান হুমায়ুন আমাদেরকে থাকার ঘর করে দিয়েছেন,আমাদের খাবারের ব্যাবস্থা করেছেন,শীত্রবস্ত্র দিয়েছেন,আল্লাহ উনার মঙ্গল করুন সেই দোয়া করি।