Dhaka ০১:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় প্রথম হয়েছে”

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:১৯:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২
  • ৫৭৮ Time View
“চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় প্রথম হয়েছে”

ফয়সাল আজম অপু, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসন আয়োজিত দুই দিনের ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা শেষ হয়েছে। ক্ষুদে উদ্ভাবক, মেলায় অংশগ্রহণকারী স্টলগুলোকে পুরস্কার প্রদান, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে এ মেলা শেষ হয়।
এবারের মেলায় উদ্ভাবনী উদ্যোগ ও স্টার্টআপ ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। তাদের প্রজেক্ট ছিল ‘আইওটি বেইজড হোম অটোমেশন সিকিউরিটি সিস্টেম’। দ্বিতীয় হয়েছে শিবগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিস। তাদের প্রজেক্ট ছিল ‘ডিজিটাল সার্ভিস’ এবং তৃতীয় হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। তাদের প্রজেক্ট ছিল ‘সোলার ট্র্যাকার মুভমেন্ট’।
এছাড়া সেরা স্টল নির্বাচনে প্রথম স্থানটি দখল করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ, দিত্বীয় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং তৃতীয় হয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এছাড়া লাইভ কুইজ প্রতিযোগিতায় ২ দিনে ৬ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
এবারের মেলায় ৪টি প্যাভিলিয়নের অধীনে সরকারি দপ্তর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের সমন্বয়ে মোট ৭০টি স্টল অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে প্যাভিলিয়ন-১ এ উদ্ভাবনী উদ্যোগ ও স্টার্টআপ, প্যাভিলিয়ন-২ এ ডিজিটাল সেবা, প্যাভিলিয়ন-৩ এ হাতের মুঠোয় সেবা এবং প্যাভিলিয়ন-৪ এ শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান প্রদর্শিত হয়। এই মেলার মাধ্যমে সরকারি দপ্তরগুলোয় বিদ্যমান ডিজিটাল সেবা এবং বর্তমান সরকারের আমলে সাধিত প্রযুক্তিগত অগ্রগতিসমূহ প্রদর্শন করে। দুই দিনই বিপুলসংখ্যক মানুষ বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
‘উদ্ভাবনী জয়োল্লাসে স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ মেলার অন্যতম অকর্ষণ ছিল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে লাইভ কুইজ প্রতিযোগিতা। মেলায় সর্বক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে কীভাবে কর্মঘণ্টা কমিয়ে আনা হয়েছে, ই-টেন্ডারিংয়ের ফলে দুর্নীতি এবং ঝুঁকি ঝামেলা না থাকা, আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধীদের সহজেই শনাক্ত করা, জমির খাজনা ও জমি সংক্রান্ত সেবা সহজে প্রাপ্তিসহ নানান বিষয় উঠে আসে দুই দিনের এ মেলায়।
মেলার আয়োজক জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন আশা প্রকাশ করে বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের দিকনির্দেশনায় এবং প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সর্বক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশন হয়েছে। এর সুফল পাচ্ছেন গ্রামের সাধারণ মানুষও। ২০৪১ এর উন্নত বাংলাদেশে পৌঁছাতে আমাদের এখন স্মার্ট হতে হবে। আমি আশা করি এই মেলা উদ্যোমী সৃষ্টিশীল ও দেশপ্রেমিক নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ফয়সাল আজম অপু,
চাঁপাইনবাবগঞ্জ
০১৭১৮৩১৬৬৩১
১৮.১১.২০২২
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

শেরপুর হাইও‌য়ে পু‌লিশ ক‌্যাম্প প‌রিদর্শন কর‌লেন পু‌লিশ সুপার!

“চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় প্রথম হয়েছে”

Update Time : ০৮:১৯:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২
“চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় প্রথম হয়েছে”

ফয়সাল আজম অপু, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসন আয়োজিত দুই দিনের ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা শেষ হয়েছে। ক্ষুদে উদ্ভাবক, মেলায় অংশগ্রহণকারী স্টলগুলোকে পুরস্কার প্রদান, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে এ মেলা শেষ হয়।
এবারের মেলায় উদ্ভাবনী উদ্যোগ ও স্টার্টআপ ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। তাদের প্রজেক্ট ছিল ‘আইওটি বেইজড হোম অটোমেশন সিকিউরিটি সিস্টেম’। দ্বিতীয় হয়েছে শিবগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিস। তাদের প্রজেক্ট ছিল ‘ডিজিটাল সার্ভিস’ এবং তৃতীয় হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। তাদের প্রজেক্ট ছিল ‘সোলার ট্র্যাকার মুভমেন্ট’।
এছাড়া সেরা স্টল নির্বাচনে প্রথম স্থানটি দখল করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ, দিত্বীয় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং তৃতীয় হয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এছাড়া লাইভ কুইজ প্রতিযোগিতায় ২ দিনে ৬ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
এবারের মেলায় ৪টি প্যাভিলিয়নের অধীনে সরকারি দপ্তর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের সমন্বয়ে মোট ৭০টি স্টল অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে প্যাভিলিয়ন-১ এ উদ্ভাবনী উদ্যোগ ও স্টার্টআপ, প্যাভিলিয়ন-২ এ ডিজিটাল সেবা, প্যাভিলিয়ন-৩ এ হাতের মুঠোয় সেবা এবং প্যাভিলিয়ন-৪ এ শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান প্রদর্শিত হয়। এই মেলার মাধ্যমে সরকারি দপ্তরগুলোয় বিদ্যমান ডিজিটাল সেবা এবং বর্তমান সরকারের আমলে সাধিত প্রযুক্তিগত অগ্রগতিসমূহ প্রদর্শন করে। দুই দিনই বিপুলসংখ্যক মানুষ বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
‘উদ্ভাবনী জয়োল্লাসে স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ মেলার অন্যতম অকর্ষণ ছিল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে লাইভ কুইজ প্রতিযোগিতা। মেলায় সর্বক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে কীভাবে কর্মঘণ্টা কমিয়ে আনা হয়েছে, ই-টেন্ডারিংয়ের ফলে দুর্নীতি এবং ঝুঁকি ঝামেলা না থাকা, আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধীদের সহজেই শনাক্ত করা, জমির খাজনা ও জমি সংক্রান্ত সেবা সহজে প্রাপ্তিসহ নানান বিষয় উঠে আসে দুই দিনের এ মেলায়।
মেলার আয়োজক জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন আশা প্রকাশ করে বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের দিকনির্দেশনায় এবং প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সর্বক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশন হয়েছে। এর সুফল পাচ্ছেন গ্রামের সাধারণ মানুষও। ২০৪১ এর উন্নত বাংলাদেশে পৌঁছাতে আমাদের এখন স্মার্ট হতে হবে। আমি আশা করি এই মেলা উদ্যোমী সৃষ্টিশীল ও দেশপ্রেমিক নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ফয়সাল আজম অপু,
চাঁপাইনবাবগঞ্জ
০১৭১৮৩১৬৬৩১
১৮.১১.২০২২