“চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমদানী ও রপ্তানী ব্যবসা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।”
ফয়সাল আজম অপু, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সোনামসজিদ-মহদিপুর ইমিগ্রেশন চালু এবং সোনামসজিদ আমদানী রপ্তানী ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে। শনিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টায় জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার সোনামসজিদ এলাকার তালতলায় আমদানি-রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীবৃন্দ এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। এ সময় অনুষ্ঠানে নূরানী এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মো. তাকিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, সোনামসজিদ স্থল বন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মো. আতাউর রহমান রাজু ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের প্রাক্তন সহ-সভাপতি মো. খায়রুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারের সাবেক পরিচালক ও মা এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী জামাল উদ্দিন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়শনর সাবেক প্রেসিডেন্ট মো. হারুন অর রশিদ, সাবেক সভাপতি মো. আব্দুল আওয়াল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ আতপ চাল ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারী জেনারেল মসিউল করিম বাবু, মিনিবাস মালিক সমিতির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মো. মনিরুল ইসলাম ডালিম প্রমুখ। বক্তারা ব্যবসায়ীদের স্বার্থে ভারতীয় ভিসা ৫ বছরকরণ, ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স বন্দরে বসেই নবায়ন করা ও দ্রুততম সময়ে সোনামসজিদ স্থল বন্দরের ইমিগ্রেশন চালুসহ আরো অনেক বিষয় সহজ করার জন্য আগামী ২০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য দি চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের আব্দুল ওয়াহেদ সমর্থিত প্যানেলকে নির্বাচিত করার আহ্বান জানান।
“শিবগঞ্জের মনাকষা হতে আবারও গ্রাহকের ১ কোটি টাকা নিয়ে দুটি এনজিও উধাও”
ফয়সাল আজম অপু, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের সাহাপাড়া বাজার হতে গ্রাহকের প্রায় ১ কোটি টাকা নিয়ে ‘ইতিহাস ফাউন্ডেশন’ ও ‘সোনার বাংলা’ নামের দুটি এনজিও লাপাত্তা হয়েছে। গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে এনজিও দুটির প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় অফিস তালাবদ্ধ। বিষয়টি নিশ্চিত হবার জন্য বিল্ডিংয়ের মূল মালিক ও স্থানীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, প্রায় ১ বছর যাবত এনজিও কর্তৃপক্ষ নিয়মিত অফিস পরিচালনা করেনা। বেশিরভাগ সময় তাদের অফিস তালাবদ্ধ অবস্থায় থাকে। তবে কিছুদিন থেকে তাঁরা অফিসে আর আসেনা৷ স্থানীয়রা আরও জানান, প্রতিদিন অফিসের সামনে গ্রাহকেরা তাদের টাকা ফেরত বা উত্তোলনের জন্য ভিড় করে। কিন্তু এনজিও মালিক ও কর্মীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় তাঁরা তাদের জমানো অর্থ ফেরত না পেয়ে হতাশা নিয়ে গ্রাহকগণ ফিরে যান।
এ বিষয়ে সাহাপাড়া বটতলা মোড় এলাকার মোঃ আফজাল হোসেনের ছেলে মোঃ আমিনুল ইসলাম জমানো ৩ লক্ষ টাকা ফেরত দিচ্ছেনা বলে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন তার স্ত্রী ও বাবা আফজাল হোসেন। আফজাল হোসেন আরও অভিযোগ করেন যে, তাদের লভ্যাংশটাও এনজিও কর্তৃপক্ষ নিয়মিত দেননি।এ ব্যাপারে ইতিহাস ফাউন্ডেশন এনজিও’র মালিক একই এলাকা তারাপুর গ্রামের মোঃ নাসির উদ্দিন জানান, আমরা চরম চাপে রয়েছি। গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে না পারায় প্রতিদিন বিচার শালিস হচ্ছে, আপনারা বিরক্ত করিয়েন না বলে ফোন কেটে দেন।